গত ১৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত ফোরকানীয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ওই ছাত্রীর মা। আসামি মাওলানা নুরুল্লাহ ওরফে নুরুল হক রাইতলা গ্রামের মাওলানা আবদুল হামিদের ছেলে।
ধর্ষিত ছাত্রীর মায়ের মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত ১০ এপ্রিল উপজেলার রাইতলা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত ফোরকানীয়া মাদরাসার সুপার মাওলানা নুরুল হকের কাছে গ্রামের অন্য ছাত্রীর সঙ্গে ওই ছাত্রীও আরবি পড়তে যায়। সকালে আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় ছুটি শেষে ওই ছাত্রীকে ডেকে কক্ষটি ঝাড় দিতে বলেন নুরুল্লাহ। অন্য ছাত্রীরা বাড়িতে চলে গেলে একা পেয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মাদ্রাসা শিক্ষক নুরুল হক নুরুল্লাহ।
শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষিত ছাত্রী কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে মায়ের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন নুরুল্লাহর ভাই ছফিউল্লাহকে বাড়িতে ডেকে এনে অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পাওয়ার পর ধর্ষকের পরিবার কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিষয়টি গ্রামের মুরুব্বি ও সালিশদারদের জানান মেয়েটির অভিভাবকরা।
ধর্ষকের পরিবারের সদস্যদের প্রভাবে গ্রামের সালিশদাররা ধর্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে গত ১৩ এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা কসবা থানায় মাওলানা নুরুল্লাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
শনিবার কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা গ্রহণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামি মাওলানা নুরুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
অপরদিকে ছাত্রীর বাবা স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, মামলা তুলে নিতে মাওলানা নুরুল্লাহর পরিবারের লোকজন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা সামাজিকভাবে বেশ চাপের মধ্যে আছি।
অভিযোগ পাওয়ার পর কসবা থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ