মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুইবার অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েও গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল শনিবার অভিশংসন শুনানি থেকে মুক্তি পেয়েছেন ট্রাম্প। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভোটে মোট ৫৭ জন সিনেটর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩টি। কিন্তু দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দুই তৃতীয়াংশ বা ৬৭টি ভোট প্রয়োজন ছিল। জানা গেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির সাতজন ভোট দিয়েছেন। তার পরেও ট্রাম্প উতরে গেলেন।
ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, নির্বাচনের পর থেকেই গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছেন তিনি। জনতাও উত্তেজিত করেছেন। ওই সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের আইনজীবীর দাবি, এই প্রক্রিয়া ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের ‘রাজনৈতিক নাটক’।
এটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন। ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরো একবার অভিশংসনের চেষ্টা হয়েছিল। যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হতেন, সেনেট তাকে আবারও প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হতে বাধা দেওয়ার পক্ষে ভোট দিতে পারত।
ভোটাভুটির পর কংগ্রেসের সিনিয়র রিপাবলিকান, সিনেটর মিচ ম্যাককনেল বলেছেন যে ট্রাম্প ক্যাপিটল হিলে হামলার পেছনে দায়ী ছিলেন এবং তিনি একে ‘অসম্মানজনক এবং দায়িত্বের প্রতি চরম অবহেলা’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়ার পরে ট্রাম্প এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উইচ হান্ট’ হিসাবে নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তার অভিযাত্রা চলবে। ট্রাম্প বলেন, সামনে অনেক কাজ। আমেরিকার উজ্জ্বল ও সীমাহীন সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে দ্রুতই তার আগমন ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে বলেন, যদিও চূড়ান্ত ভোটের ফলে দোষী সাব্যস্ত হননি, তবে অভিযোগের বিষয়টি বিতর্কিত নয়।
এ বছর জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার পর প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়। এরপর সিনেটে অভিশংসন আদালতের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি । এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ক্যাপিটল হিলে হামলার অভিযোগকে ‘ভয়াবহ মিথ্যা’ বলছেন তার পক্ষের আইনজীবীরা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৪৪৭
আপনার মতামত জানানঃ