বিচ্ছুটির দেহ পঞ্চভুজ আকৃতির ছিল এবং এতে গোলাকৃতির স্পাইরাকলস (শ্বাসপ্রশ্বাসের ছিদ্র) ছিল, যা আধুনিক এশিয়ান বিচ্ছুর কিছু গোত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে।
চীনের এক জীবাশ্ম ভাণ্ডার থেকে নতুন প্রজাতির বিচ্ছুর সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। এটি আনুমানিক ১২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত বলে ধারণা করছেন তারা। খবর ইয়াহু নিউজের।
গবেষকরা নতুন পাওয়া জীবাশ্মটি চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইক্সিয়ান ফর্মেশন থেকে উদ্ধার করেছেন। নতুন প্রজাতিটির নাম রাখা হয়েছে জেহোলিয়া লংচেঙ্গি। এরমধ্যে ‘জেহোলিয়া’ এসেছে জেহোল বায়োটার নাম থেকে। এটি মূলত চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১৩ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১২ কোটি বছর আগের একটি পরিবেশগত ব্যবস্থা বা জীববৈচিত্র্য। আর ‘লংচেঙ্গি’ নামটি নেয়া হয়েছে চাওয়াং অঞ্চলের লংচেং জেলা থেকে, যেখানে এ জীবাশ্মটি সংরক্ষিত আছে।
২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত সায়েন্স বুলেটিন জার্নাল অনুযায়ী, এটি চীনে পাওয়া চতুর্থ স্থলজ বিচ্ছুর জীবাশ্ম। এর আগে দেশটিতে মেসোজোয়িক যুগের (২৫ কোটি ২০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগের) প্রথম বিচ্ছুর জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
নানজিং ভূতত্ত্ব ও জীবাশ্মবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সদস্য দিইয়িং হুয়াং নামের এক গবেষক বলেন, মেসোজোয়িক যুগের অধিকাংশ বিচ্ছু অ্যাম্বারে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু বিচ্ছুরা সাধারণত পাথরের নিচে ও ডালের নিচে লুকিয়ে থাকে। তাই তাদের জীবাশ্ম পাওয়া খুব কঠিন।
এ বিষাক্ত বিচ্ছুটি প্রাচীন ও আধুনিক অনেক বিচ্ছুর চেয়ে আকারে বড় ছিল। জেহোলিয়া লংচেঙ্গি ছিল প্রায় ১০ সেন্টিমিটার (৪ ইঞ্চি) লম্বা। গবেষক হুয়াং লাইভ জানান, অন্যান্য মেসোজোয়িক যুগের বিচ্ছুরা সাধারণত অনেক ছোট। তাদের বেশিরভাগই নতুন প্রজাতিটির তুলনায় অর্ধেকেরও কম আকারের।
বিচ্ছুটির দেহ পঞ্চভুজ আকৃতির ছিল এবং এতে গোলাকৃতির স্পাইরাকলস (শ্বাসপ্রশ্বাসের ছিদ্র) ছিল, যা আধুনিক এশিয়ান বিচ্ছুর কিছু গোত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে। তবে আধুনিক বিচ্ছুদের তুলনায় এর পা ছিল তুলনামূলক লম্বা এবং এর পেডিপাল্পস (পিঞ্জর বা চিমটি) ছিল সরু। এটির প্যাটেলা অংশে কোনো কাঁটা ছিল না।
আপনার মতামত জানানঃ