কবির হোসেন : ২০২০-২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির হিসাব মতে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের বোঝা ৭৯ হাজার টাকা। দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ এ ঋণ নেননি যদিও। কিন্তু যেভাবেই হোক শেষ পর্যন্ত তাদেরকেই এ ঋণ ফেরত দিতে হবে।
এদিকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জানাচ্ছে, দেশে বৈদেশিক অর্থায়ন বেড়ে হয়েছে ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা, যা গত বাজেটের চেয়ে ২৫ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা বেশি।
ইআরডি জানায়, বর্তমানে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বৈদেশিক অর্থায়ন ৯২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে ঋণ ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। গত বাজেটের যা ছিল ৬৩ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান চার হাজার ১৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন সহযোগীরা খাদ্যে ৬১৩ কোটি ও প্রকল্প সাহায্যে তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুদান দেবে।
২০১৮-১৯ সালে বাজেটে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল মাত্র ৪৪ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে বাজেটে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের বোঝা বেড়েছে। ঋণের বোঝা বৃদ্ধির সঙ্গে সুদ পরিশোধের চাপও বেড়েছে।
২০২০-২১ সালে বাজেটে বৈদেশিক ঋণে সুদ পরিশোধের টার্গেট পাঁচ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে বৈদেশিক সুদ পরিশোধের টার্গেট ছিল চার হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বৈদেশিক সুদ পরিশোধের টার্গেট ছিল মাত্র তিন হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে দুই হাজার ১০২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বৈদেশিক সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে।
মূলত বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা), সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), চায়না এক্সিম ব্যাংক, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকসহ (আইডিবি) অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের সুদ পরিশোধ করতে হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক ঋণের ডেট স্টক ২৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এসব ঋণ দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। কোনো কোনো ঋণের বয়স ৩০-৪০ বছর।
ইআরডি সূত্র জানায়, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশের ক্রেডিট রেটিংও ভালো।
দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণপ্রবাহ বেড়েই চলেছে। তবে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণেই বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ দিতে দ্বিধাবোধ করছে না বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআরডি জানায়, সামনে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে। চীন আগামীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে। বর্তমানে ঋণের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে রাশিয়া। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল পর্বের কাজ বাস্তবায়নে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৪ শতাংশ সুদহারে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। মূলত এসব কারণে বাড়ছে বৈদেশিক ঋণ, বাড়ছে সুদ পরিশোধের চাপ। উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বৈদেশিক সুদ পরিশোধের চাপ।
গত বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরার সময় জানান, বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫৩ শতাংশের সমান। দেশের জনসংখ্যা যদি ১৭ কোটি হয়, তাহলে মাথাপিছু ঋণের বোঝা ৭৯ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, মোট ঋণের মধ্যে সরকারের বোঝা ২৫ শতাংশ, যেটা তিন লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। আর ৭৫ শতাংশ বেসরকারি খাতের ঋণ। বেসরকারি খাতের মালিকরা যে ঋণ নিয়েছেন তার মধ্যে খেলাপি এবং মওকুফ আছে। এটার পরিমাণ ১০ লাখ কোটি টাকার ওপরে।
এর মধ্যে শ্রেণিকৃত -মওকুফ হচ্ছে এক লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণের অধিকাংশই বড় ঋণগ্রহীতা। এ বড় ঋণগ্রহীতারা এমনিতেই ফেরত দিতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেন না। আর করোনার সুযোগে আরও আগ্রহী হবেন না। ক্ষমা চাইবেন, মাফ চাইবেন, পারলে বেশি চাইবেন, পারলে ঋণ না অনুদান চাইবেন, পারলে অনুদান না আরও বেশি কিছু চাইবে বলে জানান আবুল বারকাত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের দলিলপত্র প্রকাশ হয় না এটা বড় কথা। বড় ঋণগ্রহীতা যারা সমাজে খুবই সম্মানিত, তারা ঋণ বাজারে একচেটিয়া কর্তৃত্ব করে। যেমন সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা ২০ জনের কাছে আছে এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। যা মোট ব্যাংক ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। একজন আছেন যার কাছে ঋণ, অগ্রিম, মওকুফসহ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
‘এখন দেশের মানুষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা কত নিঃসন্দেহে জানেন না। ৬৭ হাজার কোটি টাকা হলো এখন আমাদের বর্তমানে যে স্বাস্থ্য বাজেট আছে তার ২ দশমিক ৬ গুণ বেশি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ তার ১৫ গুণ বেশি। আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় যে বরাদ্দ তার তুলনায় ২ দশমিক ৬ গুণ বেশি। করোনা পরবর্তী সময়ে মন্দা অবস্থার কারণে তারা যদি বলেন ঋণ ফেরত দেবো না। আমাদের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ’ বলে জানান জনতা ব্যাংকের সাবেক এ চেয়ারম্যান।
এবার আসা যাক মাথাপিছু জাতীয় আয় প্রসঙ্গে । বিশ্বব্যাংকের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে নিম্নমধ্যম আয় থেকে উচ্চমধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়ার সীমা হলো মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ৪৫ মার্কিন ডলার (এটলাস পদ্ধতিতে)। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার (উত্স :বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০)। স্বাধীনতার পর থেকে মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ১৫ গুণ বেড়েছে এবং মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এই তিনটি সূচকের দুটিতেই উত্তরণ ঘটলেই একটি দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের সুযোগ পাবে, যা বাংলাদেশ অনেক আগেই তা অর্জন করেছে।
অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর অন্যতম আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স । গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে চলতি বছরের জুলাইয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে ৩ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থনীতির সব সূচকই, যেমন—আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স, রিজার্ভ, প্রবৃদ্ধি অর্থবছরের শুরু থেকেই ভালোভাবে ঊর্ধ্বমুখী। করোনা মহামারির মধ্যে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেশি হয়েছে অন্তত ৩ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তা-ই নয়, করোনার বাস্তবতা সামনে রেখে জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বাড়ার মধ্য দিয়ে নেতিবাচক ধারা থেকে বেরিয়ে এলো এই খাত, অর্থাতৎ সাত মাস পর বাংলাদেশ রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল রপ্তানি আয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে জুলাইতে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গেলো বছরের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১১.৭০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা এর আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
২০২০ সালের অর্থনীতিকে বলা হয় করোনাকালের অর্থনীতি এবং এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখের বেশি, সুস্থ হয়েছে ৪ (৮৮.০৮%) লাখেরও বেশি, মৃত্যুবরণ করেছে ৭ (১.৪৫%) হাজারেরও বেশি, যার মধ্যে রয়েছেন অনেক বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, যাদেরকেও আমরা এই নতুন বছরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। অনেক অর্থনীতিবিদ এবং সমাজতত্ত্ববিদ মনে করেন, এই মুহূর্তে অর্থনেতিক ক্ষতির হিসাবনিকাশের চেয়ে মানবসভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার জন্য করোনা মোকাবিলায় বেশি জোর দেওয়া উচিত। তার পরও পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই সংকটে থাকলেও ঘুরে ফেরার সামর্থ্য দেশটি রাখে।
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাবে স্থির মূল্যের সমতায় জিডিপির আকার ৩০তম এবং চলতি ডলার মূল্যে অবস্থান ৩৯তম। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মাথাপিছু জাতীয় উৎপাদনে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। যদিও করোনার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতেও ধস নামার আশঙ্কা করেছিল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। তবে সরকার দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২০ শতাংশই পুনর্নির্ধারণ করে। বিগত ৫০ বছরের মধ্যে গত দশকে গড় প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল (৬.৭৬ শতাংশ)। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে প্রতি দশকে ১ শতাংশ পয়েন্ট প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এটি একটি অনন্য অর্জন। যদিও প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ ধরা হয়েছিল।
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি সত্ত্বেও ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, আমাদের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, যারা ১৫-২৯ বছর বয়সের এখনো ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষা, কাজে ও প্রশিক্ষণে যুক্ত নেই। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল কাজে লাগাতে হবে। ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হতে হলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বিকল্প নেই বলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের ওপর জর দেন তারা। রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি যার প্রমাণ অনলাইন শ্রমবাজারে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। রপ্তানি পণ্যের ভেতরে ও বাইরে বহুমুখীকরণে নজর দিতে হবে, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে প্রতিযোগ সক্ষমতা বাড়াতে হবে, আমাদের অবকাঠামো খাতে আরো বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে মনে করেন তারা। বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে করোনা মহামারি নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক দারিদ্র্য বৃদ্ধি, শ্রমজীবী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবীদের অনেকের কর্মসংস্থান হারানো এবং নতুন কর্মসংস্থানে ধীরগতি, ভোগ চাহিদায় স্থবিরতা। ফলে কর জিডিপি হার কমে গিয়ে সরকারি আয়ে সীমাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর যথোচিত ও সতর্ক পরিচালনা এবং ব্যবসায়ী মহলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশ শিগিগরই সংকট কাটিয়ে উঠে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবে বলে আশা করা যায় বলে ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমাদের একটি আবর্তনিক সমস্যা হলো নীতির সঙ্গে বাস্তবায়নের বিস্তর ব্যবধান, নীতি-পরিকল্পনায় অনেক সুন্দর সুন্দর কিন্তু তার যথাযথ বাস্তবায়ন হয় না। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। আশা করি এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের পথ চলার পথটি সুগম হবে এই প্রত্যাশা রইল।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২৩৩০
আপনার মতামত জানানঃ