নারীদের সৌন্দর্যের প্রতি সব পুরুষই আকর্ষিত হয়। আর তাই এখনকার নারীদের মতোন প্রাচীন যুগেও রানিরা নিজেদেরকে রাজাদের কাছে আকর্ষিত করতে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করতো। তবে সেগুলো এই যুগের মতো এমন সহজলভ্য প্রসাধনী ছিল না। এর জন্য তাদের করতে হত অনেক কষ্ট।
মধ্যযুগীয় সময়ে রানিরা অত্যন্ত সুন্দরী এবং তাদের শরীর সুগঠিত ছিল। তাদের বয়স বাড়া সত্ত্বেও তাদের যৌবন কম হতো না। তাদের অভাবনীয় সুন্দর ত্বক আর মোটা চুল ছিল। তারা সব প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করত যা ছিল সব সমস্যার উত্তর। এই কারণে রাণীদের পুরু দীর্ঘ চুল ছিল, ছিল সুন্দর শরীর ও ত্বক।
রাজারা রানিদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতেন! তাদের সৌন্দর্য সম্পর্কে কথা বলা হলে বলা হয় যে, চিতোরগড়ের রানি পদ্মাবতি এত সুন্দরী ছিলেন যে, একজন মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি চিতোড়গড়কে আক্রমণ করেছিলেন শুধু তাকে পাওয়ার জন্য।
তাদের সৌন্দর্যের রহস্য
ধারণা করা হয় যে রানির সুশৃঙ্খল শারীরিক গঠন এবং সুন্দর রূপ রাজাদের আকর্ষণ করত। আর তাই যত্ন নেয়ার জন্য রানিরা বৈদিক শাস্ত্র প্রদত্ত ঔষধ গ্রহণ করতেন। শরীর সুগঠিত রাখার জন্য রাজ বৈদ্যরা রানিদের এই ওষুধগুলো ব্যবহার করতে বলতেন যাতে তাদের যৌবন বজায় থাকে।
গোলাপ জল দিয়ে গোসল
রানিরা গোসলের পানিতে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতেন, যা তাদের চামড়ার ওপর প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করত, যখনই রাজা একজন রানিকে স্পর্শ করতেন তখন তার মনে হত যে, কোনো ভেলভেট’র মতন নরম কিছু স্পর্শ করছেন। আর এটাই রাজাদের পাগল করে তুলত।
মদ দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক
মদের মধ্যে দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর রস মেশানো প্যাক ব্যবহার হত মৃত চামড়া এবং কঠোরতা অপসারণের জন্য, যা চামরা নরম করে।
এভোক্যাডো মাস্ক
শরীরের দাগ সারাবার জন্য এবং মুখ থেকে কলুষতা সরানোর জন্য এভোক্যাডো ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হতো। এছাড়াও, এভোক্যাডো বাঁকানো শরীর পেতে সাহায্য করতো।
আখরোটে বয়সের ছাপ দূর করা
রানিরা দৈনিক আখরোট এবং গাজর ব্যবহার করত তাদের শারীরিক অঙ্গগুলো ভালো রাখার জন্য, বিশেষ করে এটি শরীরকে সুস্থ ও বক্র শরীর গঠনে সাহায্য করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট অনুযায়ী- তাই তখন কেউ তাদের বয়স নির্ধারণ করতে পারত না।
লম্বা মোটা চুলের রহস্য
সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল সবসময় সৌন্দর্যের আসল প্রতীক। প্রাচীনকালে রানিরা তাদের চুলের যত্ন নিতে মধু এবং জলপাই তেল ব্যবহার করতেন।
গোলাপের সুবাস
রানিরা তাদের ত্বকের শুষ্কতা অপসারণের জন্য গোলাপের সুগন্ধি ব্যবহার করতো। এটা নিশ্চিত যে, এর জন্য তারা সারা দিন স্বর্গীয় গন্ধ উপভোগ করতো।
গোসলের জন্য গাধার দুধ
সেই সময়ে রানিরা মধু এবং জলপাই তেল গাধার দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করতেন। দুধে এন্টি-ফিডিং প্রোডাকশন থাকে যার ফলে বার্ধক্য বৃদ্ধির কারণ হ্রাস পায়।
আপনার মতামত জানানঃ