মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে জাতিগত নির্মূলের সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের সাবেক একজন সদস্য।
সামি আবু শাহাদেহ নামে ওই পার্লামেন্ট সদস্য মঙ্গলবার বলেন, ‘তারা (ইসরাইল) ধ্বংসাত্মক ও প্রতিশোধমূলক মনোভাব নিয়ে চলে। তাদের এটা করার সব শক্তি রয়েছে এবং গত চার দিনে তা করে দেখিয়েছে।’
‘ইসরাইল শুধু হামাস নেতাদের হত্যা করছে না, হামাসের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে না, তারা ২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিত শাস্তি দিচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখুন, অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি কী করা হচ্ছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বসবাস করা ইসরাইলি ফিলিস্তিনিদের প্রতি! উগ্র ডান ফ্যাসিস্টদের কারণে আমাদের জীবন এখন মহাবিপদে,’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইসরাইলের প্রতি সর্বদা তাদের অটুট সমর্থন বজায় থাকবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমরা কখনো তাদের (ইসরাইল) ব্যর্থ হতে দেব না।’
কী বলছে জাতিসঙ্ঘ?
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক গাজায় ইসরাইলের পূর্ণ অবরোধের ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, খাবার ও পানি বন্ধ করাসহ গাজাকে পূর্ণ অবরুদ্ধ করার ইসরাইলের ঘোষণা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সমর্থন করে না।
তিনি আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার বিষয়ক আইন মেনে চলতে বিরোধীয় পক্ষ দু’টির প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, যে অবরোধ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে, তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে বঞ্চিত করে, তা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরাইলের আক্রমণে ইতোমধ্যেই গাজায় ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেখানে মানবিক পরিস্থিতিকে গুরুতর জটিল করে তুলেছে। আহতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ