বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ মুহূর্তে দেশের কোষাগারে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ হিসাবায়ন নিয়ে আপত্তি তুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
সংস্থাটি বলছে, নিট রিজার্ভের হিসাবায়নে রফতানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) অন্যান্য তহবিল এবং সরকারি কয়েকটি সংস্থা ও শ্রীলংকাকে দেয়া ঋণের অর্থ রিজার্ভে দেখানো যাবে না। সেক্ষেত্রে আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী দেশে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২১-২২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। সংস্থাটির ঋণের শর্ত অনুযায়ী, চলতি মাসের মধ্যে এ নিট রিজার্ভ তুলতে হবে সাড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশিতে। আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেও চলতি মাসের মধ্যে এ নিট রিজার্ভের শর্ত পূরণ নিয়ে সন্দিহান খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও।
ডলারের অভাবে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্বালানি আমদানির বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এরই মধ্যে জ্বালানির বিল পরিশোধ করতে না পারায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিড়ম্বনার মধ্যেও পড়তে হয়েছে। চরম এ সংকটের মুহূর্তেও আমদানিনির্ভরতার নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না জ্বালানি বিভাগ। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে রক্ষণশীল উপায়ে হিসাব করে দেখা গেছে, চলতি ২০২৩ থেকে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত শুধু তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও কয়লা আমদানি করতেই সরকারকে অর্থ ব্যয় করতে হবে প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানিতে আমদানিনির্ভর নীতি গ্রহণ না করে স্থানীয় সরবরাহ বাড়ানোয় মনোযোগ ও বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে সংকট অনেকাংশেই এড়ানো সম্ভব ছিল। কিন্তু বহিস্থ প্রভাবকের ওপর অতিমাত্রায় সংবেদনশীল এ আমদানিনির্ভরতা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারছে না জ্বালানি বিভাগ। দেশের গ্যাস খাতের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সময় ডেনমার্কের প্রকৌশল ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান র্যাম্বলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, ২০২১ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর বাংলাদেশে শুধু গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতেই আমদানি ব্যয় করতে হবে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
আমদানি বা আন্তর্জাতিক জ্বালানি কোম্পানির বিনিয়োগের অপেক্ষায় না থেকে এ অর্থ স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস অনুসন্ধান-উন্নয়নে কাজে লাগানো হলে এখান থেকে আরো বেশি মাত্রায় সুফল পেতে পারে বাংলাদেশ। র্যাম্বলের ওই সুপারিশও এখন পর্যন্ত এক প্রকার উপেক্ষিতই থেকে গেছে। অথচ গত বছরও জ্বালানি খাতের উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানিতে (বাপেক্স) মাত্র ৮১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ১ লাখ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাস আমদানির খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
দেশে এলএনজি আমদানি হয় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ও স্পট মার্কেট থেকে ক্রয়ের ভিত্তিতে। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় দেশে এলএনজিবাহী কার্গো আনা হয় ৫৬টি। এর মধ্যে কাতার থেকে ৪০টি ও ওমান থেকে ১৬টি। আর চলতি পঞ্জিকাবর্ষে স্পট মার্কেট থেকে আসার কথা রয়েছে আরো ২১ কার্গো। অতীতে স্পট মার্কেটে দামের ভিত্তিতে এলএনজি আমদানি কমিয়েছে বা বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা। সে অনুযায়ী হিসাব করেও দেখা যায়, প্রতি বছর কমপক্ষে ৭০ কার্গো এলএনজি প্রয়োজন। মাঝারি আকৃতির একটি কার্গোর ধারণক্ষমতা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ।
স্পট ও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির গড় মূল্য ১০ ডলার করে ধরলেও আমদানিতে প্রতি কার্গোয় শুধু এলএনজির দামই পড়বে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। সে অনুযায়ী বছরে ৭০ কার্গো আমদানি করতে প্রয়োজন হবে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সবচেয়ে রক্ষণশীল এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আট বছরে শুধু এলএনজি আনতেই বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়বে অন্তত ১৯ বিলিয়ন ডলার।
জ্বালানি সংশ্লিষ্ট আরেক হিসাবে দেখা গেছে, জাতীয় গ্রিডে যদি পরিকল্পনামাফিক দিনে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করতে হয়, তাহলে পণ্যটি আমদানি করতে হয় বছরে ৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের। সেক্ষেত্রে আট বছরে এলএনজি আমদানি করতে হবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের। জাতীয় গ্রিডে এখন দৈনিক এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে কমপক্ষে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
প্রয়োজন ও পরিকল্পনার চেয়ে অনেক কম এ সরবরাহ বজায় রাখতে হলেও বছরে এলএনজি আমদানি করতে হবে অন্তত ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারের। সেক্ষেত্রেও এলএনজি আমদানি বাবদ আট বছরে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
তবে গতকালই সামিট গ্রুপের এক ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (এফএসআরইউ) স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারের অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি ২০২৭ সালে কমিশনিংয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনায় রয়েছে এক্সিলারেট এনার্জির আরেকটি এফএসআরইউ।
এ দুটি চালু হলে দেশে এলএনজির আমদানি চাহিদা আরো অনেকখানি বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এলএনজি আমদানিতে বাংলাদেশের বার্ষিক ব্যয়ও প্রায় দ্বিগুণে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের বিদ্যুৎ খাতের মোট সক্ষমতার বড় একটি অংশ এখন কয়লাভিত্তিক। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের আগেই দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় সাত হাজার মেগাওয়াট হওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞদের হিসাব অনুযায়ী, এ সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে বছরে কয়লা প্রয়োজন সাড়ে ২৫ মিলিয়ন টন। প্রতি টনের গড় দাম ১৩০ ডলার ধরে এ পরিমাণ কয়লা আমদানিতে বছরে অর্থ প্রয়োজন ৩ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সে অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পরবর্তী সাত বছরে অর্থ প্রয়োজন পড়বে ২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
সবচেয়ে রক্ষণশীলভাবে করা এ হিসাব অনুযায়ী, আগামী আট বছরে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে শুধু এলএনজি ও কয়লা আমদানি করতে হবে প্রায় ৪২ বিলিয়ন ডলারের।
যদিও প্রকৃতপক্ষে জ্বালানি আমদানির খরচ অতিমাত্রায় রক্ষণশীল এ হিসাবের চেয়ে আরো অনেক বেশি হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ম. তামিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তাকে আমদানিনির্ভর করতে হলে মূল্যের ধাক্কা সামলানোর মতো সক্ষমতা থাকতে হবে। অর্থাৎ জ্বালানির মূল্য যত বেশি হোক না কেন সেটি আমরা আমদানি করতে পারব। কিন্তু আমাদের অর্থনীতি তো সেই পরিস্থিতিতে নেই।
আমাদের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সক্ষমতা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং স্থানীয় গ্যাসের সরবরাহ কমে আসছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হবে। সেই হিসেবে তখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি আমদানিতেই খরচ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চলমান রয়েছে। বাকি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগামী বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে উৎপাদনে আসবে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে বছরে সাড়ে ২৫ মিলিয়ন টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে।
বর্তমানে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন কার্যক্রমে রয়েছে। যদিও কয়লা সংকটে সাময়িক বন্ধ রয়েছে কেন্দ্রটি। এছাড়া একই সক্ষমতার রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) চালু রয়েছে। বাকি ৬৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতা এ বছরেই উৎপাদনে আসবে। এছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসএস পাওয়ারের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেন্দ্রটি প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জাপানি অর্থায়নে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে এলে দেশে কয়লা আমদানির পরিমাণ বর্তমানের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়াতে হবে।
অন্যদিকে দেশের জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনার বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে এলএনজি আমদানি। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস সরবরাহের ২০-২২ শতাংশ আসছে আমদানীকৃত এলএনজির মাধ্যমে। দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে। এ দুটি টার্মিনালের দৈনিক সক্ষমতা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট।
এর মধ্যে আবার নতুন করে গতকাল আরেকটি এলএনজি টার্মিনালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাইপলাইনে আছে আরেকটি। জ্বালানির ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে গত বছরও দুটি টার্মিনালে পূর্ণ সক্ষমতায় এলএনজি সরবরাহ দেয়া যায়নি। এরই মধ্যে নতুন টার্মিনালের গ্যাস সরবরাহ দেয়া কতটা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও কেউ কেউ বলছেন, গ্যাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন টার্মিনাল দুটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু কমিশনিংয়ের পরও প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে এগুলোকে বসিয়ে রেখেই ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে বিপুল পরিমাণ অংক পরিশোধ করতে হবে জ্বালানি বিভাগকে। সেক্ষেত্রে এখান থেকেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ।
আমদানিনির্ভরতা অর্থনীতির জন্য টেকসই কিছু নয়, বরং এতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক বদরূল ইমাম। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি আমদানির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ডলার নেই। ডলার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছি। যার খুব খারাপ প্রভাব দেখেছি বিদ্যুৎ খাতে।
আমদানিনির্ভর জ্বালানিতে এটাই সংকট। এখন আমাদের যে পরিমাণ জ্বালানি আমদানিতে অর্থ প্রয়োজন হচ্ছে, আগামী তিন-চার বছর পর দেশের বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনে থাকা বিবিয়ানা গ্যাসের প্রেশার কমে যাবে। তখন কী হবে? এটার কোনো সমাধান আমি দেখি না। জ্বালানি আমদানিতে বিনিয়োগের এ অর্থের বড় অংশই এখন অনুসন্ধানে বিনিয়োগ হওয়া দরকার। তা না হলে একটা বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।’
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার ও ওমানের সঙ্গে বার্ষিক চার মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যেই চলতি বছরের ১ জুন কাতারের সঙ্গে নতুন আরেকটি এলএনজি আমদানি চুক্তি করেছে জ্বালানি বিভাগ। এ চুক্তির আওতায় বিদ্যমান কার্গোর বাইরে ২০২৬ সালে অতিরিক্ত আরো ১২ কার্গো এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো বাড়তি এলএনজি সরবরাহ দেবে কাতার। ১৫ বছরমেয়াদি এ চুক্তি করে জ্বালানি বিভাগের অধীন সংস্থা পেট্রোবাংলা। পাশাপাশি ওমানের কাছ থেকেও এলএনজি আমদানি বাড়াতে এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষের পথে। এসব চুক্তির আওতায় ২০২৬ সালের পর দেশে এলএনজি সরবরাহ বাড়লে জ্বালানি আমদানি ব্যয় আরো বহুলাংশে বাড়বে।
দেশে জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সক্ষমতা সাড়ে ১১ হাজার মেগাওয়াট থাকলেও পাঁচ-ছয় হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার বেশি চালানো যায় না। গ্যাস সংকটের কারণে বাকি সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রাখতে হয়। এরই মধ্যে আরো নতুন দুই হাজার সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত হয়ে আছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গ্যাসের কারণে উৎপাদনে যেতে পারছে না বলে বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দেশে জ্বালানি আমদানি পরিকল্পনার সার্বিক বিষয় নিয়ে জানতে জ্বালানি বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এসডব্লিউ/এসএস/১৬১০
আপনার মতামত জানানঃ