৯/১১ এর সন্ত্রাসবাদী হামলার ভবিষ্যদ্বাণী তিনি আগেই করে গিয়েছিলেন। সেটি মিলেও গেছে হুবহু। এখানেই শেষ নয়। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিপর্যয় এবং আইএসআইএস -এর উত্থান সহ একাধিক ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
বুলগেরিয়ার এই রহস্যময় ব্যক্তি বেঁচেছিলেন ১৯১১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। তার মধ্যেই ২০২৩ সালে পারমাণবিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়ে গেছেন তিনি।
অটোমান সাম্রাজ্যের সময় জন্মগ্রহণকারী দৃষ্টিহীন এই নারী বাবা ভাঙ্গা বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলে কথিত রয়েছে। তার ভবিষ্যদ্বাণী তার মৃত্যুর অনেক পরেও সত্য হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে।
বাবা ভাঙ্গা ১৯৯৬ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান, তবে দাবি করা হয় যে তিনি তার জীবদ্দশায় কোভিড -১৯ মহামারী, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু এবং চেরনোবিল বিপর্যয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। কিংবদন্তি এই রহস্যময়ী বর্তমানে উত্তর মেসিডোনিয়া নামে পরিচিত একটি অঞ্চলে খামারে বেড়ে ওঠেন এবং ১২ বছর বয়সে ধুলোর ঝড়ে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। তার অনুসারীরা দাবি করেন যে তখনই তিনি নাকি ভবিষ্যৎ দেখার মতো অলৌকিক উপহার পেয়েছিলেন। যা মানুষ খোলা চোখে দেখতে পায় না।
তার অনুসারীরা দাবি করেছেন যে বাবা ভাঙ্গা একটি বিধ্বংসী পারমাণবিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যা এই বছর সংঘটিত হতে পারে। তিনি ২০২৩ সালে একটি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন যা এশিয়ায় বিষাক্ত মেঘের সৃষ্টি করবে বলে জানা গেছে।
তার অনুগামীরা বিশ্বাস করেন যে বিষাক্ত মেঘ বাতাসে পূর্ণ হওয়ার কারণে মারাত্মক রোগের জন্ম দেবে যার প্রভাব পড়বে অন্যান্য দেশেও।
এদিকে, পারমাণবিক বিপর্যয় ছাড়াও, বাবা ভাঙ্গা ২০২৩ সালের জন্য আরও চারটি প্রধান ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
প্রথমত, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে পৃথিবীর কক্ষপথ পরিবর্তন হবে। সূর্যের চারপাশে আমাদের গ্রহের কক্ষপথ কয়েক হাজার বছর ধরে সামান্য পরিবর্তিত হলেও, নতুন নাটকীয় পরিবর্তনটি হবে ধ্বংসাত্মক। সূর্যের কাছাকাছি আসার জন্য আমাদের গ্রহের হিমবাহগুলি গলতে শুরু করবে যা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বরফ যুগে।
বাবা ভাঙ্গা বলে গেছেন যে, ২০২৩ সালে এই পৃথিবীতে একটি ভয়ঙ্কর সৌড়ঝড় আসতে পারে। সেই ভবিষ্যদ্বাণীও সত্যি হতে চলেছে। কারণ, বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন সূর্য উদিত হওয়ার সময়ে বেশ কিছুটা হেরফের হতে পারে, যা প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলবে এবং তার ফলে পৃথিবীতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। সূর্যের এই অ্যাক্টিভ ফেজে সৌর শিখাগুলি বিস্ফোরিত হয় এবং তা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তির উত্থান ঘটায়, যা পাওয়ার গ্রিড এবং GPS সিগন্যাল-সহ বিভিন্ন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। সূর্যের এই অ্যাক্টিভ ফেজটিকে বলা হয় সোলার ম্যাক্সিমাম যা প্রতি ১১ বছর অন্তর ঘটে। অর্থাৎ, এই ঘটনা আগেও ঘটেছে কিন্তু তখন এতটা উদ্বেগজনক ছিল না।
বুলগেরিয়ান রহস্যবাদী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ২০২৩ সালে একটি পরাশক্তি দ্বারা ব্যবহৃত জৈবিক অস্ত্র কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ হবে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের মতো অণুজীব দিয়ে তৈরী হয় জৈবিক অস্ত্র। এর দ্বারা উত্পাদিত বিষাক্ত পদার্থ মানুষ, প্রাণী বা গাছপালার মৃত্যুর কারণ হয়। এই অস্ত্রের ব্যবহার জৈবিক অস্ত্র কনভেনশন দ্বারা নিষিদ্ধ।
সবশেষে, বাবা ভাঙ্গা এই বছর প্রাকৃতিক গর্ভধারণের সমাপ্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার অনুসারীরা দাবি করেন যে সমস্ত শিশু পরীক্ষাগারে বেড়ে উঠবে, রাজ্য এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নেবেন কারা তার অভিভাবক হবে। অভিভাবকরা শিশুদের চুল এবং চোখের রঙের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে নিজেদের সন্তানকে বেছে নেবেন। মূলত ২০২৩-এর সাত মাসে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে!
এসডব্লিউএসএস/০৯২০
আপনার মতামত জানানঃ