‘আমার বাবাকে ছাড়া আমি থাকতে পারিনা, তাকে ছাড়া খেতেও কষ্ট হয়। ঈদ আসে, চলে যায়, আমারও তো ইচ্ছে হয় বাবাকে নিয়ে ঈদ করতে। বাবাকে ছাড়া দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি কাটিয়েছি। আমার একটি ছোট ভাই আছে, সে-ও বাবাকে খুঁজছে।’
কথাগুলো বলছিল বলপূর্বক গুমের শিকার পারভেজের ১২ বছর বয়সি মেয়ে আদিবা ইসলাম হৃদি। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলে সে।
পারভেজ হোসেন ছিলেন বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শাহবাগ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে যায়
মানববন্ধনে আরেক গুম হওয়া ব্যক্তি কাউসারের মেয়ে লামিয়া আক্তার বলে, ‘আমার মাত্র দেড় বছর বয়সে বাবা গুম হয়। দশ বছর হয়ে গেছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাবাকে খুঁজছি, আমারও তো ইচ্ছে করে বাবার হাত ধরে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে।
‘যখন স্কুলে যাই বন্ধুদের দেখি বাবার সাথে হাত ধরে স্কুলে আসছে, আমি কেন পারছি না? আমার কি সেই ভাগ্য নেই, বাবার সাথে স্কুলে যেতে, ঘুরতে। আমিও তো এই দেশেরই নাগরিক, তাহলে কেন আমার বাবাকে পাব না?’
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “মায়ের ডাক”-এর ব্যানারে জড়ো হয়ে বলপূর্বক গুম বন্ধ ও নির্যাতিতদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের দাবি জানান।
গুমের শিকার সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন আফরোজা ইসলাম আঁখির নেতৃত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিল গুমের শিকার মো. সোহেলের মেয়ে সাফা, গুমের শিকার মো. কাউসারের মেয়ে মিম।
এক দশক ধরে নিখোঁজ বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানায় অপহৃত সোহেলের মেয়ে সাফা। সে বলে, ‘১০ বছর ধরে বাবা নিখোঁজ, আমি আমার বাবাকে দেখিনি। বাবাকে বিনা দোষে নেওয়া হয়েছে, বাবার তো কোনো দোষ ছিল না। আমি শুধু আমার বাবাকে চাই। শেখ হাসিনার কাছে একমাত্র দাবি, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন।’
রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন চৌধুরী আলম। ২০১০ সালে ইন্দিরা রোড থেকে সাদা পোশাকে ডিবি তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে মানববন্ধনে জানান তার ভাই। নিখোঁজ ভাইকে ফিরিয়ে আনতে মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার এখন বেশ বিপদে আছে। সরকারের প্রতি দেশের মানুষের কোনো সমর্থন নেই। বিদেশেও তাদের সব সমর্থন চলে গেছে। এই ১৪-১৫ বছর ধরে গুম, খুন অপহরণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেও ব্যর্থ সরকার টিকতে পারছে না।
স্বাধীনতা আপনাআপনি আসে না মন্তব্য করে প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আমাকেও গুম করা হয়েছিল। পরে বলা হয়, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার করার নিয়ম আছে। সেগুলোর কোনো কিছু মানা হয়নি। রাতের অন্ধকারে এসে আমাকে মাঝরাতে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়। আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয়েছিল। এটা আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। স্বাধীনতা আদায় করে নিতে হয়। যে নিপীড়ক, সে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা হস্তান্তর করে না।’
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সরকারের কাছে গুমের শিকার হওয়া যে ৭৬ জনের তালিকা দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:
১. মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ মোনায়েম। তাঁকে ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর বরিশাল থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২. মো. হাসান খান। গাজীপুর থেকে ২০০৮ সালের ২৫ মে তাঁকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৩. মোহাম্মদ চৌধুরী আলম। তাঁকে ঢাকা থেকে ২০১০ সালের ২৫ জুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে কিছু লোক তুলে নিয়ে যায়।
৪. সানায়াইমা রাজকুমার ওরফে মেঘেন। জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক। তাঁকে ২০১০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাদাপোশাকের কিছু ব্যক্তি ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় পোশাকধারী পুলিশও ছিল।
৫. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। র্যাব পরিচয়ে ২০১১ সালে তাঁকে ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
৬. তপন দাস। ২০১১ সালের ৩ আগস্ট তাঁকে কিছু ব্যক্তি ডিবির সদস্য পরিচয় দিয়ে ঢাকা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৭. হাবিবুর রহমান হাওলাদার। তাঁকে ২০১২ সালের বাগেরহাট থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৮. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৯. আল মোকাদ্দাস হোসেন। ঢাকার সাভার থেকে ২০১২ সালে ডিবি ও র্যাব পরিচয়ে দিয়ে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি।
১০. মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ। ঢাকার সাভার থেকে ২০১২ সালে তাঁকে ডিবি ও র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
১১. কে এম শামীম আখতার। ২০১২ সালে তাঁকে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
১২. মোহাম্মদ ইমাম হাসান। ২০১২ সালে ঢাকা থেকে অপহৃত হন।
১৩. পারভেজ হুমায়ুন কবির ও ১৪. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (হিরো)। দুজনকে ২০১৩ সালে কুমিল্লা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৫. মোহাম্মদ তৈয়ব প্রামাণিক। নাটোর থেকে ২০১৪ সালে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৬. মোহাম্মদ কামাল হোসেন পাটোয়ারী। নাটোর থেকে ২০১৪ সালে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৭. মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। নাটোর থেকে তাঁকে ২০১৪ সালে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
১৮. কেইথেল্লাকপাম নবচন্দ্র (শিলহেইবা)। জন্মসূত্রে ভারতীয়। তাঁকে ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে যায়।
১৯. মো. সেলিম রেজা (পিন্টু)। তাঁকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়।
২০. মো. আসাদুজ্জামান রানা (বাবু)। ২০১৫ সালে ঢাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২১. করিম জাহিদুল ওরফে তানভীর, ২২. মো. মাজহারুল ইসলাম ওরফে রাসেল, ২৩. আল–আমিন, ২৪. ইসলাম সাজেদুল ওরফে সুমন ও ২৫. মোহাম্মদ আবদুল কাদের ভূঁইয়া ওরফে মাসুম। এই পাঁচজনকে ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৬. মো. কাওসার হোসেন। তাঁকে ঢাকা থেকে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৭. এ এম আদনান চৌধুরী। র্যাব পরিচয়ে তাঁকে ঢাকা থেকে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৮. মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। ২০১৩ সালের ১১ মে ঢাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
২৯. নুরুল আমিন। লক্ষ্মীপুর থেকে তাঁকে ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩০. শামীম উদ্দিন প্রধান। বগুড়া থেকে তাঁকে ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩১. নুর আলম। গাজীপুর থেকে তাঁকে ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩২. সোহেল রানা। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩৩. সাজ্জাদ হোসেন শেখ। গাজীপুর থেকে ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট র্যাব পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৩৪. মো. হোসেন চঞ্চল। ঢাকা থেকে তাঁকে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৩৫. পারভেজ হোসেন। ঢাকা থেকে ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৩৬. মাহফুজুর রহমান সোহেল। ২০১৩ সালে ২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৩৭. জহিরুল ইসলাম। ২০১৩ সালে ২ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৩৮. মো. নিজাম উদ্দিন। র্যাব ও ডিবি পরিচয়ে তাঁকে ঢাকা থেকে ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর তুলে নিয়ে যায়।
৩৯. মীর আহমদ বিন কাশেম। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট ঢাকা থেকে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৪০. মাহাবুব হাসান। ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৪১. কাজী ফরহাদ। ২০১৫ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাঁকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৪২. সম্রাট মোল্লা। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকা থেকে তাঁকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৪৩. খালেদ হাসান। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকা তাঁকে তুলে নেওয়া হয়।
৪৪. মোহাম্মদ তারিকুল আলম। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ তাঁকে যশোর থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।
৪৫. আবদুল্লাহিল আযমী। ডিবি পরিচয়ে ঢাকা থেকে ২০১৬ সালের ২ আগস্ট তাঁকে তুলে নেওয়া হয়।
৪৬. মোহাম্মদ আখতার হোসেন। ডিবি পরিচয়ে রংপুর থেকে তাঁকে তুলে নেওয়া হয় ২০১৬ সালের ৩ মে।
৪৭. এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন। ঢাকা থেকে তাঁকে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজন অস্ত্রধারী তুলে নিয়ে যায়।
৪৮. মো. আবদুল কুদ্দুস প্রামাণিক। রাজশাহী থেকে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে চার ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়।
৪৯. মোহাম্মদ জাকির হোসেন। ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৫০. মো. মাহাবুবুর রহমান ওরফে রিপন। ২০১৪ সালের ২১ মার্চ ঢাকা থেকে তাঁকে র্যাব তুলে নিয়ে যায়।
৫১. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান (নাহিদ)। নরসিংদী থেকে তাঁকে ২০১৭ সালের ৯ জুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ৮ থেকে ১০ জন তুলে নিয়ে যায়।
৫২. মো. রেজাউন হোসেন। যশোর থেকে ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৫৩. শেখ মোকলেসুর রহমান। সাতক্ষীরা থেকে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট সাতক্ষীরা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫৪. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফারুখ (রশিদ)। রাজশাহী থেকে ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই র্যাব পরিচয়ে পাঁচ ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৫৫. মো. হাসিনুর রহমান। ঢাকা থেকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ১০ থেকে ১৫ জন সশস্ত্র ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৫৬. মোহাম্মদ আলতাফ হাওলাদার। যশোর থেকে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট র্যাব পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫৭. রাজু ইসলাম। ২০১৫ সালের ২০ মার্চ ঢাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫৮. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সরকার। নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল তাঁকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৫৯. মোহাম্মদ জায়েদুর রহমান। নারায়ণগঞ্জ থেকে ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল তাঁকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৬০. মাইকেল চাকমা। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৬১. ইসমাইল হোসেন। ২০১৯ সালের ১৯ জুন তিনি ঢাকায় নিখোঁজ হন।
৬২. মো. তারা মিয়া। ঢাকার মিরপুর থেকে ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৬৩. মনির হোসেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে ২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৬৪. মোহাম্মদ নুর হোসেন (হিরু)। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ২০১১ সালের ২০ জুন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৬৫. মোহন মিয়া। ২০১৮ সালের ১০ জুন ঢাকা থেকে ডিবি পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৬৬. জাকির হোসেন। ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকার গুলশান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৬৭. ইফতেখার আহমেদ দিনার। ২০১২ সালের ২ এপ্রিল ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৬৮. জুনায়েদ আহমেদ। ২০১২ সালের ২ এপ্রিল ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়।
৬৯. এম ইলিয়াস আলী। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সদস্য পরিচয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭০. আনসার আলী। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
৭১. সাইদুর রহমান কাজী। ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল যশোর থেকে তাঁকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭২. মোহাম্মদ মোরশিদুল ইসলাম। ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল রাজশাহীর তাহেরপুর থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭৩. আবদুল কুদ্দুস মোহাম্মদ। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল র্যাব পরিচয়ে তাঁকে রাজশাহী থেকে তুলে নিয়ে যায়।
৭৪. ফরিদ আহমদ সৈয়দ। কুমিল্লা থেকে তাঁকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭৫. আলমগীর হোসেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি কুমিল্লা থেকে তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়।
৭৬. কল্পনা চাকমা। রাঙামাটি থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অস্ত্রধারীরা তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
এসডব্লিউএসএস/১৫৩০
আপনার মতামত জানানঃ