ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী লেখম মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে এ আইন নিয়ে বিতর্ক এবং সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে। অনেকেরই অভিযোগ এ আইন অধিকাংশ ক্ষেত্রে হয়রানির এবং অপব্যহারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসবের মধ্যেই প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কথিত কটূক্তি করার মামলায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোছাইনকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে র্যাব-৭-এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিএনপি আয়োজিত একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৯ জুলাই পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল সভাপতিসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মামলা দায়েরের পর এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরহাদ হোছাইনকে শাহআমানত ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা নানাভাবে খর্ব হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা কী মানুষের আছে? রাজনৈতিক দলের নেতারাই যদি কথা বলতে না পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কথা বলবে কীভাবে? ডিএসএর ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। মুক্তভাবে তথ্য, কথা আদান-প্রদানের যে জায়গা ছিল, তা সংকুচিত হয়ে গেছে।
তারা বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। এই আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের যেসব ঘটনা ঘটছে, পরিষ্কারভাবে তা গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮১৯
আপনার মতামত জানানঃ