প্রাচীনকাল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানার আগ্রহ রয়েছে সবার মনেই। বর্তমান যুগে সবকিছুই হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছি আমরা। তবে অতীতে কেমন ছিল সেসবের ব্যবস্থা, কখনো ভেবে দেখেছেন কি? সবার মনেই প্রাচীনকাল নিয়ে কিছু ভুল, সঠিক, অন্ধবিশ্বাস বা অর্ধসত্য বিষয় রয়েছে। তেমনি কয়েকটি ঘটে যাওয়া অদ্ভুত বিষয় রয়েছে যা মারাত্মক এবং বর্তমান সময়ে হাস্যকরও বটে।
ভ্রু কেটে বিড়ালের প্রতি শোক প্রকাশ
প্রাচীনকালে মিশরীয়দের প্রিয় পোষ্য ছিল বিড়াল। তাদের মতে, বিড়ালই নাকি তাদের সৌভাগ্য বয়ে আনত। প্রিয় পোষ্যটি মারা গেলে তারা সেটির মমি বানাত। অতঃপর তাদের ভ্রু কেটে ফেলে বিড়ালটির প্রতি শোক প্রকাশ করতেন।
রসুনের সাহায্যে গর্ভধারণ পরীক্ষা
রসুনের সাহায্যে গর্ভধারণ পরীক্ষা করতেন চিকিৎসকরা। অতীতে এমনই রীতি ছিল। এই প্রক্রিয়ায় নারীর যৌনাঙ্গে একদিনের জন্য রসুনের কোয়া রেখে দেয়া হত। চিকিৎসকরা পরবর্তীতে সেই রসুনের কোয়ার গন্ধ পরীক্ষা করেই গর্ভধারণ নিশ্চিত করতেন।
একই টয়লটে হাজারো জন
প্রাচীন রোমের চিত্র এমনই ছিল। মাত্র পাঁচ শতাংশ বড়লোকদের ব্যক্তিগত টয়লেট ব্যবহারের সক্ষমতা ছিল। বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের ভরসা ছিল পাবলিক টয়লেট। সেগুলোতে ছিল না কোনো দরজা। ভাবতেই অবাক লাগছে তাইনা? উপরের ছবিটির চিত্রই ছিল প্রাচীন রোমের গণ শৌচাগারের।
বাবা তার সন্তানকে তিনবার বিক্রি করতেন
রোমে এমনই এক বর্বর রীতি ছিল। বাবা তার পুত্রকে দাস হিসেবে বিক্রি করতেন। যদি ক্রেতা কিছুদিন পর সেই সন্তানকে আবার ফিরিয়ে দিতেন, তবে আবারো অন্যত্র বিক্রি করা হত তাকে। এমন করে তিনবার তারা নিজ পুত্রদের বিক্রি করার সুযোগ পেতেন।
কন্যার প্রেমিককে হত্যা করার বৈধতা ছিল
পুরুষদের উপর বরাবরই দায় রয়েছে পুরো পরিবার ও কন্যার ভালোমন্দ বিবেচনা করার। তাই বলে কন্যার প্রেমিককে হত্যা! প্রাচীন রোমে এমনই এক ঘৃণিত নিয়ম ছিল। যদি কোনো বাবা তার মেয়েকে অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পেত তবে ওই প্রেমিককে হত্যা করত। রোমান সমাজের রীতি অনুযায়ী, একজন নারীর বিয়ে হলেও সে তার পিতার পরিবারেই বাস করে।
মাথার খুলি গর্ত করে প্রেতাত্মার বিনাশ
ছুরি দিয়ে মাথার খুলি গর্ত করে প্রেতাত্মা নিধন সম্পর্কে কখনো শুনেছেন কি? এভাবেই দুষ্ট আত্মা ধ্বংস করতেন কবিরাজরা।
পশুর মল দিয়ে চিকিৎসা
একথা সত্যিই যে, পশু-পাখির মল মানব শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। যেমন অতীতে কুমিরের মল নারীরা জন্মনিরোধক হিসেবে ব্যবহার করত। আবার স্কটল্যান্ডে ভেড়ার গোবর ব্যবহার করা হত গুঁটিবসন্তের চিকিৎসায়। অন্যদিকে, শুকরের মল ব্যবহৃত হত নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধের ওষুধ হিসেবে।
নারীরা যেভাবে চুলে রং করতো
ভাবা যায়, প্রাচীনকালেও নারীরা চুলে রং করতেন। যদিও তাদের কেমিকেল ব্যবহার নিয়ে তেমন কোনো জ্ঞান ছিল না। তবে তারা চুল রাঙাতে সালফার ব্যবহার করতেন।
তিল বিভিন্ন আকৃতির করা হতো
কখনো ভেবেছেন তিল কেন গোল হয়? কেনই বা তারার মত হয় না বা চার কোণা হয় না? ১৭০০ সালের দিকে তিলের গুরুত্ব ছিল ব্যাপক। এজন্য তিলকে বিভিন্ন আকৃতিতে রুপ দেয়া হত।
এসডব্লিউ/এসএস/২০৪৫
আপনার মতামত জানানঃ