করোনা মহামারির প্রকোপ কমে যাওয়ার পর বিশ্বে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে এখন খুব কমসংখ্যক মানুষই সংক্রামক রোগে মারা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, কিডনি জটিলতা ও দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ। আর এসবের পেছনে কারণ হিসাবে অনেকটা অংশজুড়েই আমাদের খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস।
চিপস, চানাচুর, বিস্কুট, ভাজা মটর ও ডাল, দুধের চকলেট, আইসক্রিম, ললিপপ বা লজেন্স, চাটনি, ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিংক—শিশু, কিশোর ও তরুণদের পছন্দের তালিকায় এই খাবারগুলো থাকবেই। তবে দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া এসব খাদ্যপণ্যে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছেন গবেষকেরা। তারা বলছেন, বেশি দামে বাজে জিনিস খাচ্ছে মানুষ।
বাজারে বেশি বিক্রি হওয়া ৯টি প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য, ৫টি ব্র্যান্ডের ফ্রায়েড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং ১০টি ভিন্ন কোম্পানির কোমল পানীয় এবং ৫টি কোম্পানির এনার্জি ড্রিংক নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি তিনটি গবেষণা হয়েছে। গবেষণায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি পুষ্টিবিজ্ঞানীরাও যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই তিনিটি গবেষণা করা হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। আর দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের কারণ অসংক্রামক রোগ।
তিনটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল সোমবার(১৪ মার্চ) বিএসএমএমইউতে ‘স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ: বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য স্ন্যাকস এবং পানীয়র উপাদান বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এই গবেষণা কারও বিরুদ্ধে না বা এমন কিছু বলা হচ্ছে না যে ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তবে পরিমাণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা ভাবতে হবে।
বর্তমান জীবনযাপনে প্রক্রিয়াজত খাবারে মানুষ ভীষণভাবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে বলে জানান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আবদুল আউয়াল। তিনি বলেন, এসব গ্রহণে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারে লবণ, চিনি ও চর্বির পরিমাণ মূল্যায়ন এবং খাদ্যপণ্যের মোড়কে (চিপস, চানাচুর, বিস্কুটসহ অন্যন্য) দেওয়া তথ্য আর বাস্তবতা কী, এ নিয়ে করা গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ গবেষণার জন্য আটটি বিভাগের ২৪টি বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালরি, লবণ, চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিডের সঠিক পরিমাণ কোনো পণ্যেই পাওয়া যায়নি। ৭০ শতাংশের বেশি নমুনায় কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ১০০ গ্রাম লজেন্স বা ললিপপ, ভাজা মটর বা ডাল ও দুধের চকলেটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের তুলনায় দৈনিক গ্রহণযোগ্য চিনি, লবণ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে।
পাঁচটি ব্র্যান্ডের ফ্রাইড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে কি না, এ–সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন সেমিনারে তুলে ধরেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসক সাজিয়া ইসলাম। তিনি বলেন, ১০০ গ্রাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মধ্যে শূন্য দশমিক ৪৫ গ্রাম এবং একই ওজনের ফ্রাইড চিকেনে শূন্য দশমিক ৪৬ গ্রাম সোডিয়াম পাওয়া গেছে। যা মানুষের দৈনিক অনুমোদিত মাত্রার (সোডিয়াম গ্রহণ) চার ভাগের এক ভাগ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে আর্সেনিক পাওয়া গেছে দশমিক শূন্য ৯৩ মিলিগ্রাম। একবারে একজন মানুষ গড়ে ১০০ গ্রাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেলে তা অনুমোদিত মাত্রার (আর্সেনিক) ৪২ শতাংশের বেশি খাওয়া হবে। এ ছাড়া ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে ট্রান্সফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া গেছে দশমিক ১১ গ্রাম ও সিসার পরিমাণ ছিল দশমিক শূন্য শূন্য ৩ মিলিগ্রাম। এক বসায় ১০০ গ্রামের বেশি ফ্রাইড চিকেন খেলে দিনে আর্সেনিক ও সিসার অনুমোদিত মাত্রার ৩ শতাংশ গ্রহণ করা হয়ে যায়।
উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, ট্রান্সফ্যাট, সিসা শরীরের প্রবেশ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, স্ট্রোক, ক্যানসারের কারণ হতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়।
ফাস্ট ফুড নিয়মিত খেলে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। আর দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশের কারণ অসংক্রামক রোগ।
তৃতীয় গবেষণাটি ছিল কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে। এই গবেষণার ফলাফল সেমিনারে তুলে ধরেন বিএসএমএমইউর চিকিৎসক এ এইচ এম গোলাম কিবরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় তিন–চতুর্থাংশ পানীয়ের ‘পিএইচ’ মাত্রা পাওয়া গেছে ৩–এর নিচে, যা দাঁতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, একজন মানুষ দিনে সর্বোচ্চ ২৫ গ্রাম চিনি গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সংগৃহীত নমুনার কোমল পানীয়তে (২৫০ মিলিগ্রাম) ২০ দশমিক ৮ থেকে ২৮ দশমিক ৮ গ্রাম চিনি এবং এনার্জি ড্রিংকে ২২ দশমিক ৬ থেকে ৩৭ গ্রাম চিনির উপস্থিতি রয়েছে। এনার্জি ড্রিংকে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি। এ ছাড়া কোমল পানীয়তে দশমিক শূন্য ৫৩ মিলিগ্রাম এবং এনার্জি ড্রিংকে দশমিক শূন্য ৪৮ মিলিগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাজারে বিক্রি হওয়া পানীয় পান করার কারণে শিশুদের স্থূলতা বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।
প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবার, ঠান্ডা পানীয় ও ফাস্ট ফুড ভালো না—শুধু মুখে মুখে এসব কথা না বলেও খাবার গ্রহণে সচেতনতা দরকার বলে সেমিনারে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, এই গবেষণায় উঠে আসা ফলাফল মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারলে হয়তো পরিবর্তন আসবে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আলোচকেরা বলেন, এসব খাদ্যে ভারী ধাতব পদার্থের উপস্থিতি কীভাবে আসছে, তা ভাবার বিষয়। খাদ্যের গুণগত মান ঠিক করতে সরকারের উদ্যোগ দরকার।
দ্য গার্ডিয়ানের এক খবরে জানা যায়, বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ কোষ এবং শরীরে অনুপ্রবেশ করা অণুজীবের মধ্যে আর পার্থক্য করতে পারছে না। ফলে রোগের বিরুদ্ধে যা এক সময় প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করেছে তা এখন মানুষের টিস্যু এবং প্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করছে।
এই প্রবণতা মোকাবিলায় বড় বড় আন্তর্জাতিক গবেষণা হয়েছে। একে বলা হচ্ছে অটোইমিউন অসুখ। লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের দুই বিশেষজ্ঞ এই প্রবণতার সুনির্দিষ্ট কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছেন। এই দুই বিশেষজ্ঞ হলেন জেমস লি এবং ক্যারোলা ভিনুয়েসা।
জেমস লি জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে পশ্চিমে অটোইমিউন রোগীদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে এই রোগ বাড়তে দেখা যাচ্ছে, সেসব দেশে আগে এই ধরণের রোগের অস্তিত্ব ছিল না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় পেটের প্রদাহ জনিত অসুস্থতা বেড়েছে। অথচ আগে এসব অঞ্চলে এধরণের রোগের কথা কমই জানা যেত।
অটোইমিউন রোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে আর্থারাইটিস, পেটের প্রদাহ থেকে শুরু করে ধমনীর অস্বাভাবিকতা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রমণকারী অণুজীবের বদলে সুস্থ কোষ আক্রান্ত করে। কেবল যুক্তরাজ্যেই এই ধরণের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। কেউ কেউ ভুগছেন একাধিক রোগে।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীর বিশ্বাস এই বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে পরিবেশগত প্রভাবক। জেমস লি বলেন, ‘গত কয়েক দশকে মানুষের জিন বদল হয়ে যায়নি। ফলে বাইরের দুনিয়ার কিছু একটা অবশ্যই বদলেছে যাতে করে অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত বাড়ছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনার বছরে (২০২০) দেশে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু সাড়ে ২২ ভাগ বেড়েছে। ব্রেইন ক্যান্সারে মৃত্যু বেড়েছে ৪৮ ভাগ, ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৮৮ শতাংশ। কিডনি রোগে মৃত্যুহার দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আত্মহত্যাও।
বিবিএস জরিপে দেখা যায়, করোনাকালে হৃদরোগ, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্র ও কিডনিসহ অসংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যু বেড়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে ২০১৯ সালে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন। ২০২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন। ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৫০২ জন, ২০২০ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার ৩৬০ জনের। ব্লাড ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২০ থেকে এক বছরের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৪৭১ জনে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে যে প্রাক্কলন তুলে ধরা হয় তাতে দেখা যায়, অসংক্রামক রোগে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে হৃদরোগ, ক্যান্সার, কিডনি রোগ, ডায়বেটিস, শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ আরও কিছু রোগ। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া এবং কায়িক পরিশ্রম কম করায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সম্প্রতি বহু দেশে করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। কম বয়সিরাও ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছেন। তবে আগে থেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন না এমন মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস ছড়ানোর জন্য করোনা দায়ী কিনা, তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভাস এই অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়ার জন্য প্রধান দায়ী। খাদ্যাভাস আগে বাংলাদেশে যে রকম ছিল তার থেকে অনেক বদলে গিয়েছে এখন।বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড, রিচফুডসহ রাস্তার ধারের পোড়া তেলের খাবার আমাদের শরীরের যে ক্ষতি করে সেটাই এই রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবার প্রমাণ।
তারা বলেন, একই সঙ্গে আমাদের কায়িক পরিশ্রম কম। জীবন যাপনে নানামুখি চাপ বেড়ে গেছে এখন। আমরা পরিশ্রম করি কম। কিন্তু খুব সহজেই দিনের তিন বেলাতেই রিচ ফুড খেয়ে যাচ্ছি, কায়িক পরিশ্রম হয় না। কিন্তু শরীর তো মেশিন না, তার জন্য সঠিক খাদ্য দরকার। সেটা আমরা নিচ্ছি না। অপরদিকে শাকসবজি যতোটা খাচ্ছি সেখানেও কেমিক্যাল খাচ্ছি। এসব কারণেই মূলত অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাচ্ছে। আর এ থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইল অবশ্যই বদলাতে হবে।নয়তো দিন দিন অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাবে। একই সঙ্গে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। তা হলেই আমরা কিছুটা সুস্থ জীবন কাটাতে পারবো।
তারা বলেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বয়স্কদের মধ্যে এখন অসংক্রামক রোগটাই মূল ইস্যু। তবে শিশুদেরও কম নয়। শিশুদের অসংক্রামক রোগের মধ্যে ওবেসিটি (স্থূলতা) অন্যতম।ওবেসিটির বাইরে শিশুদের এবং বয়ঃসন্ধিকালে কিছু মানসিক সমস্যাও এখন অসংক্রামক রোগের মধ্যে পড়ে।খাদ্য অভ্যাসের কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে শিশুদের। যেমন-ঘনঘন পেট ব্যথা।। পরিবার বিশেষ করে বাবা মায়ের মধ্যে যদি সমস্যা থাকে সেগুলোও শিশুদের অসংক্রামক রোগ হিসেবে দেখা দেয়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১১৩০
আপনার মতামত জানানঃ