বাংলাদেশে গুমের কারণে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। যদিও এ ক্ষতিটা সরকার মেনে নিয়েছে একপ্রকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের বিপরীতেও লাগাতার সবকিছু অস্বীকার করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
কিন্তু কেন? কেন হজম করছে? এর কারণ নিশ্চয়ই এই যে সরকার মনে করে, গুমের মাধ্যমে যে অর্জন হচ্ছে, তার বিনিময়ে ভাবমূর্তির এ ক্ষতি মেনে নেয়াই যায়! গুমের বিরুদ্ধে সারাদেশে ক্ষোভ বিরাজ করলেও তা মূলত দমিত অবস্থায় আছে। যদিও দেশে এ ক্ষোভ দমিত অবস্থায় থাকলেও গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কণ্ঠস্বর সুউচ্চ এবং প্রকাশ্য।
তারপরও গুম বন্ধে এ সমালোচনা বা চাপ যে যথেষ্ট নয়, সেটাও স্পষ্ট। বাংলাদেশে গুমের কাজটা করে আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে এদের দিয়ে গুম বন্ধ করা সম্ভব না। এ চর্চা বন্ধের ক্ষমতা আছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের হাতেই; এখানেও আছে কিন্তু। দলীয় স্বার্থ উদ্ধারই যখন গুম বা বিচারববহির্ভূত হত্যার অন্যতম কারণ, তখন রাজনীতিবিদদের উপর কতটা ভরশা করা যায়, এটাই বড় প্রশ্ন এখন।
সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যা
বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন বলছে, গত ১১ বছরে মোট ৫৮৭ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। দেশটিতে রাজনৈতিক নেতাদের নিখোঁজ হওয়ার পর পর কয়েকটি ঘটনা তুমুল আলোড়ন তুলেছিল।
কিন্তু এখন সাধারণ ব্যক্তিরাও গুম হচ্ছেন বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকার-বিরোধী মনোভাব নির্মূল করা এবং তাদের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে গুমকে এখন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তারা বলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন বাহিনীই বিচার বহির্ভূত হতাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে মুক্ত নয়। কিন্তু মূলত সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এসব ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।
তারা মনে করেন, সরকারগুলো এই ইস্যুতে রাজনৈতিক নানা বক্তব্য দিলেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কখনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও সরকার এসব অভিযোগ মানতে রাজি নয়।
সূত্র মতে, ২০০২ সাল থেকে আমরা বিবেচনায় আনি তাহলে দেখবো যে প্রায় চার হাজার মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব বলছে, ২০০১ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় বিশ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ৪০০২ জন মানুষ। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ২ হাজার ১৬৩ জন পুলিশের হাতে এবং ১২শ ২৪ জন র্যাবের হাতে নিহত হয়।
২০০২ সাল থেকে এপর্যন্ত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়গুলো যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো, সেনা বাহিনী ক্লিন হার্ট অপারেশনের সময় যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে র্যাব, পুলিশ- কোন বাহিনীরই এই অভিযোগ থেকে সম্ভবত মুক্ত হওয়ার আর সুযোগ নেই।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালে অপরেশন ক্লিন হার্ট নাম দিয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযানে ৩৯জন নিহত হয়। তৎকালীন বিএনপি সরকার তাতে দায়মুক্তি দিয়েছিল।
বিএনপি সরকারের সময়ই র্যাব গঠন করা হলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অনেক ঘটনা ঘটে। তখন বিরোধী দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এর বিরোধীতা করেছিল।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অঙ্গীকারেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পুলিশ র্যাবের হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে ।
কারা দায়ী গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য
নেত্র নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় ধরনের গুমের ঘটনাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশেই হয়ে থাকে। যেমন হুম্মাম কাদের চৌধুরীর গুম। তাকে ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স) তুলে নিয়ে গিয়েছিল।
এ ধরনের বড় গুম বাদে অন্যান্য গুমের নির্দেশ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর নেতৃত্বাধীন ব্যক্তি ও কমান্ডার অর্থাৎ ডিজিএফআই, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান এবং পুলিশের (বিশেষত পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ বা ডিবি) কাছ থেকে আসার কথা। কিন্তু এসব গুমেরও বেশিরভাগই রাজনৈতিকভাবে হুকুম প্রাপ্ত।
যেমন ধরা যাক ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়কার কথা। এ সময় দুই সপ্তাহের মধ্যে ২১ জন বিরোধী দলীয় কর্মীকে ঢাকা এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মূলত র্যাব এবং ডিবি।
এরপর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ২১ জনের মধ্যে ১৮ জন এখনো নিখোঁজ। কোন সুস্পষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অনুমোদন ছাড়া এই গুমগুলো কিভাবে ঘটতে পারে, তা কল্পনা করা মুশকিল।
তবে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং বাহিনীগুলোর নিজস্ব উদ্যোগেও গুমের ঘটনা ঘটছে। যেমন, শহিদ উদ্দিন খানের ঘটনা। ইউকেতে বসবাসরত ব্যবসায়ী এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শহিদ উদ্দিন খান যখন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং তার প্রাক্তন ব্যবসায়িক অংশীদার মেজর জেনারেল (অব:) তারিক সিদ্দিকের প্রতিহিংসার মুখে পড়েন, তখন ফল হিসেবে গুমের শিকার হন শহিদ উদ্দিন খানের কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যরা। এই গুমগুলোর পেছনে কোন রাষ্ট্রীয়/সরকারি প্রয়োজনীয়তা ছিল না, বরং অতি ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির নিজস্ব স্বার্থ জড়িত ছিল।
গুমের উপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বাংলাদেশে এখনো ৮৬ জন গুম হয়ে আছেন। এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনে গুমের জন্য বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে দায়ী করা হয়েছে।
জুলাই ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মোট ১১৫টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এইচআরডব্লিউ ‘নো সান ক্যান এন্টার: আ ডিকেড অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এটি প্রকাশিত হয় ১৬ আগস্ট।
এইচআরডব্লিউর ৫৭ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ধারাবাহিকভাবে গুম করে আসছে এবং এর বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষ্য–প্রমাণ আছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া মহাদেশের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের উপহাস করেন এবং নিয়মিত তদন্তে বাধা সৃষ্টি করে থাকেন। এর অর্থ নিরাপত্তা বাহিনী যে গুমের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে, সেটিকে বন্ধ করতে অর্থপূর্ণ কোনো কাজ করার ইচ্ছা নেই সরকারের।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই গুমের শিকার হতে হবে, এ ভয় নিয়ে বাঁচতে হয় সমালোচকদের। যারা গুম হয়েছেন, তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা ক্ষীণ। সে কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের উচিত বাংলাদেশে গুম নিয়ে তদন্ত শুরু করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো বহু বছর ধরেই নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। বিগত সরকারের আমলেও এমনটি ঘটেছে। কিন্তু গত এক দশকে ‘গুম’ এই সরকারের ‘হলমার্ক’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ গুম বা গুমের ভয় দেখানোর কাজটি করছে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এবং বাক্স্বাধীনতা হরণ করতে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ পরে ফিরে এসেছেন। আবার কাউকে কাউকে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কেউ কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
কী বলছে আ’লীগ
গুমের ঘটনায় রাষ্ট্র জড়িত থাকার অনস্বীকার্য সব প্রমাণের জবাবে সরকার কেবল অভিযোগগুলো অস্বীকার করে গিয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ভট ও অতি সহজে খণ্ডনযোগ্য নানা দাবি করেছে। সরকারের এসব যুক্তি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দ্য ডিপলোম্যাটে শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রকাশিত একটি লেখা। আরও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের টম ল্যানটস হিউম্যান রাইটস কমিশনের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (যুক্তরাষ্ট্র) শহিদুল ইসলামের লিখিত একটি চিঠিতেও সরকারের সেসব যুক্তি ও দাবি প্রকাশ পায়। এই চিঠিতে দাবি করা হয়:
— “দেশে ঘটিত যেকোন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় খতিয়ে দেখতে বদ্ধপরিকর” বাংলাদেশ সরকার।
— “আমরা [গুমের] বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখেছি।”
— “অনেক ক্ষেত্রেই ‘ধারনাকৃত’ [গুমের] ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে পরবর্তীতে পাওয়া গিয়েছে। [ফলে] প্রমাণিত হয় যে তথাকথিত ‘গুমের’ অভিযোগ মিথ্যা ছিল।”
— “দেখা গিয়েছে যে ‘গুম’ হওয়া অনেকেই আসলে বিভিন্ন নৃশংস অপরাধের বিচার থেকে বাঁচতে আত্মগোপনে ছিল।”
— “দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যেমন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নাম ব্যবহার করে ও ছদ্মবেশ ধারণ করে এসব ‘অপহরণ’ করে থাকে”। সরকার এসব ঘটনার জন্য দায়ী নয়।
— এছাড়াও সরকার “বিচারবহিৰ্ভূত হত্যার অভিযোগ ছিল” এমন বিভিন্ন ঘটনা “খতিয়ে দেখেছে” এবং “প্রায় কোন অভিযোগেরই সত্যতা পায়নি।”
— এছাড়া পুলিশও “বিচারবহিৰ্ভূত হত্যা ও গুমের বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে দেখেছে। তারা সরকারের জড়িত থাকার কোন প্রমাণ পায়নি।”
— “যদিও বাংলাদেশ নিখোঁজের প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং তদন্ত করে, তথাপি ব্যবস্থাপনা ও আইনি দিক বিবেচনা করলে [হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচের প্রতিবেদনে] বেনামি অভিযোগ [সরকার] বিশ্বাস করতে পারে না।”
বাস্তবতা কী?
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কখনোই গুম নিয়ে কোন যথাযথ তদন্ত করে না। অবশ্য এতে খুব অবাক হবারও কিছু নেই। যেহেতু তারাই গুম করে এবং তদন্ত করলে তাদের নিজেদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করতে হবে, তাই তদন্ত না করাটাই স্বাভাবিক।
খুব বিরল কোন ক্ষেত্রে যদি কোন তদন্ত হয়ও, তবে তা শুধু মাত্র লোক দেখান; আসল ঘটনার সুরাহা করতে হয় না। কোন তদন্তই যখন হয় না, তখন তদন্ত করে “সরকারের জড়িত থাকার কোন প্রমাণ পায়নি” এই দাবি করাটা উপহাস মাত্র।
যারা গুম হয়েছে তাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই কোন ফৌজদারি অভিযোগ/মামলা নেই। তাহলে কেন তারা আত্মগোপন করবে?
তৃতীয়ত, এত মানুষকে যদি আসলেই অপরাধীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেজে ধরে নিয়ে থাকে, তবে সত্যিকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংগঠিত ও যৌথ ভাবে এসব গুমের তদন্ত করে না কেন? এবং কেন এসব ছদ্মবেশী অপরাধীদের ধরেনা, যারা সরকারি বাহিনী সেজে অপহরণ করে বেড়াচ্ছে?
চতুর্থত, একথা সত্য যে অনেকেই নিখোঁজ হবার পর আবার ফিরে আসে। কিন্তু এর কারণ এই না যে তাদের কখনো ধরে নেয়া হয়নি। বরং তাদের নিয়ে যাবার পর কয়েক সপ্তাহ বা মাস আটকে রেখে তারপর গোপন বন্দিখানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ছেড়ে দেয়া ব্যক্তিকে সাধারণত সঙ্গে সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের যখন ছেড়ে দেয়া হয়, তারা ভয়ে প্রকাশ্যে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আর কিছু বলে না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কথা বললে তাদের অভিজ্ঞতা জানা যায়।
এসডব্লিউ/এসএস/১৬১০
আপনার মতামত জানানঃ