বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে আসামীপক্ষ। ৩ ডিসেম্বর ২০২০, গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষীকে জেরা করার নির্ধারিত শুনানিতে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এ আবেদন করেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলায় ৩৪ নম্বর সাক্ষীকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা জানিয়ে একটি দরখাস্ত দিয়ে আইনজীবীরা এজলাস ত্যাগ করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
অনাস্থার বিষয়ে আদালতে দেওয়া আবেদনে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উল্লেখ করেছেন, আইনবহির্ভূতভাবে মামলার ৩৩ নম্বর সাক্ষী সিআইডির এসআই রকিবুল হাসানের জবানবন্দি দ্বিতীয়বার গ্রহণ করায় আদালতের নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মামলার বিচারকাজ দুই সপ্তাহ মুলতবি রাখার আবেদন করেন ওই আইনজীবীরা।
আসামীপক্ষের আইনজীবীরা আরো জানিয়েছেন, ভিন্ন আদালতে মামলাটি বদলির জন্য প্রয়োজনে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভুঞা জানিয়েছেন, মামলার শেষ পর্যায়ে এসে আসামিপক্ষ বিচার বিলম্বিত করার জন্য নানা পাঁয়তারা করছেন। তবে আসামীপক্ষ বলছে, তারা ন্যায়বিচার পেতে সব চেষ্টাই চালাবে।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২২ জন কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনজন পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন চকবাজার থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা। সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ থাকায় এই মামলায় ন্যায়বিচারের প্রশ্নটি স্পর্শকাতর।
এসডাব্লিউ/এমএন/আরা/১৬১০
আপনার মতামত জানানঃ