বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ। দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ-এ বিক্রি হচ্ছে বিদেশি ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড ও অনুমোদনহীন ডিজিটাল পণ্য। এর মাধ্যমে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
ইতোমধ্যে অর্থপাচারের অভিযোগে দারাজের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে দারাজ কর্তৃপক্ষকে আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আবারও ডাকা হয়েছে। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল পণ্য বিক্রির নামে দারাজ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। দারাজের কাছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রির নথিপত্র দেখতে চাইলে এখনও পর্যন্ত তারা কোনও কিছু দেখাতে পারেনি।
এই ঘটনায় নড়ে বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দারাজের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে সিআইডি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এদিকে দারাজের ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির আইনী বিষয়গুলো সিআইডি ছাড়াও একাধিক সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
বিদেশ থেকে আনা এসব ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রি করে দারাজ কর্তৃক বিদেশে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাচারের তথ্য সিআইডি কাছে রয়েছে। এদিকে দারাজের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির কথা স্বীকার করলেও, অর্থ পাচারের কথা অস্বীকার করেছেন। দারাজের অনুমোদনহীন অবৈধ পন্য বিক্রির প্রমাণ দীর্ঘ দিন তদন্তের পর সিআইডি হাতে পায়। সিআইডির এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, অর্থপাচার, কর ফাঁকি এবং অনুমোদনহীন পন্য বিক্রির অভিযোগে দারাজের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করা হবে।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর সোমবার (২৯ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দারাজের অর্থপাচারের বিষয়টির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দারাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা কথা বলেছি। তাদের কাছে কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানের পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিআইডি সূত্র জানায়, ডিজিটাল পণ্য বিক্রির নামে দারাজ বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড হিসেবে ফিক্সড কার্ড ও রিচার্জেবল কার্ড বিক্রি করে আসছিল। একইসঙ্গে তারা বিদেশি বিভিন্ন ইন্টারনেট-ভিত্তিক চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন ফি পরিশোধের কার্ড, অ্যামাজনের গিফট কার্ড, গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপস স্টোরের গিফট কার্ড বিক্রি করে আসছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী, বিদেশি ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড আমদানি নিষিদ্ধ। অথচ দারাজ তাদের ওয়েব সাইটে রীতিমতো প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এসব ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করছিল।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল পণ্যের বাজার ছিল ১০ হাজার কোটি টাকার। যার বেশিরভাগই অবৈধ। ফলে ভার্চুয়াল পণ্য কিনতে সহজেই বিদেশে টাকা পাচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ভার্চুয়াল পণ্যের ৯০ ভাগই দারাজের। বাকি ১০ ভাগ বিক্রি হয় এফ-কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অবৈধভাবে ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রি করায় এ থেকে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সিআইডি বলেছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ভার্চুয়াল কার্ড বিক্রির বেশিরভাগ অর্থ বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তা মার্কিন ডলার বা ইউরোতে রূপান্তরিত করে। পরে তা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়ে থাকে। এতে বিদেশে পাচার হচ্ছে দেশের টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশি ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ড হলো এমন একটি ডিজিটাল পণ্য, যাতে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার নাম্বার এবং একটি পাসওয়ার্ড থাকে। এটি ফিক্সড হওয়ার পাশাপাশি রিচার্জও করা যায়। এগুলো কেনাবেচার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এসব কার্ডের গ্রাহকরা সাধারণত বিভিন্ন সফটওয়্যারের অ্যাক্টিভেশন ফি, বিভিন্ন গেমসের ডেভেলপমেন্ট টুলস ইত্যাদি ক্রয় করে থাকে। একইসঙ্গে দুনিয়াজুড়ে ভার্চুয়াল কার্ডের মাধ্যমে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মাদক ও অস্ত্র বেচাকেনা, অবৈধ অর্থের লেনদেন, বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের অর্থ পরিশোধ করা হয়।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে দারাজ দাবি করেছে, তারা পণ্য বিক্রির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। অনুমোদনহীন যেসব ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করেছে তা অন্য প্রতিষ্ঠানের। তারা নিজেরা সরাসরি বিদেশ থেকে এসব আমদানি করেনি। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দারাজ ডিজিটাল পণ্য বিক্রির বিপরীতে সকল অর্থ নিজেদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে নিয়েছে। তাদের দৈনন্দিন বিক্রিত পণ্যের বড় একটি অংশ হলো ডিজিটাল পণ্য। সিআইডি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর কর্মকর্তারা দারাজের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একজন ব্যক্তি বিদেশি ব্যাংকের কার্ড নিয়ে নিজে ব্যবহার না করে তা অন্যের কাছে বিক্রি করতে পারেন না। অনলাইনে বিদেশি ব্যাংকের যে ভার্চুয়াল কার্ড বিক্রি হচ্ছে, সেটার বৈধতা নেই তাদের। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানই বিদেশে টাকা পাঠাতে পারে। অন্য যারা লেনদেন করছেন, তারা অবৈধ পন্থায় করছেন।’
ইতোমধ্যে অর্থপাচারের অভিযোগে দারাজের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে দারাজ কর্তৃপক্ষকে আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ আবারও ডাকা হয়েছে। সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল পণ্য বিক্রির নামে দারাজ অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। দারাজের কাছে ডিজিটাল পণ্য বিক্রির নথিপত্র দেখতে চাইলে এখনও পর্যন্ত তারা কোনও কিছু দেখাতে পারেনি।
বিশ্বায়নের যুগে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বিদেশি ব্যাংকের ভার্চুয়াল কার্ডের বৈধতা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলেই রাতারাতি এটা করতে পারব না। এ জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দারাজে মোবাইল ফোন, জামা-কাপড় কিংবা ভোগ্যপণ্য বিক্রি হয় মূলত ১০ শতাংশ। আর ৯০ ভাগই ভার্চুয়াল পণ্য। এটাই তাদের মূল ব্যবসা। গত এক বছরে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দারাজে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রি হয়েছে। বিক্রি করা ভার্চুয়াল পণ্যের কোনো অনুমোদন নেই। এসব পণ্য বিক্রির জন্য সরকারকে যে কর দেওয়ার কথা, সেটাও তারা দেয় না।
ভার্চুয়াল পণ্য বিক্রির কারণ হিসাবে কর্মকর্তারা বলেন, ই-মেইল কিংবা পেনড্রাইভের মাধ্যমে খুব সহজে দেশে আনা যায়। ভার্চুয়াল পণ্যের কোনো রিটার্ন নেই। পণ্য রাখার জন্য ওয়্যার হাউসেরও দরকার হয় না। লাভও বেশি। তাই এসব অবৈধ পণ্যের দিকে ঝুঁকছে দারাজ।
এদিকে দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশোর নামে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে— তারা কোনও বিক্রেতা, প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী বা পেমেন্ট গেটওয়ে সেবা প্রদানকারী বা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নয়। দারাজ শুধুমাত্র বিক্রেতা এবং ক্রেতার কেনাকাটা সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যেখানে বিক্রেতারা একটি ডিজিটাল শপ খুলে তাদের পণ্যের বিবরণ, ছবি ও দাম উল্লেখ করে তালিকাভুক্ত করে। আর গ্রাহকরা তাদের পছন্দমতো উল্লিখিত একটি পেমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে যেকোনও সময় যেকোনও স্থান থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারে। বিক্রেতাদের সঙ্গে দারাজ একটি ব্যবসা পরিচালনার চুক্তি সম্পাদন করে। যেখানে বিক্রেতারা এই অঙ্গীকার করে যে, তারা দেশের সকল আইন মেনে তাদের পণ্য দারাজের প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করবে। এছাড়াও যেসব পণ্যেও ক্ষেত্রে অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজন, সেসব পণ্যের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, দারাজ কোনোভাবেই নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। নিষিদ্ধ কোনও পণ্য নিজেদের প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করাটাই আইনগতভাবে অপরাধ। এছাড়া দারাজ ডিজিটাল পণ্য বিক্রির বিপরীতে পুরো অর্থই তারা তাদের নিজেদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেছে। তাদের সেই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোজতাহিদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে খোলা। প্রথম দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদে দারাজের কাছে ডিজিটাল পণ্য সরবরাহকারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কোনও তালিকা দিতে পারেনি।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, দারাজের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ তারা পেয়েছেন। এখন তারা কী পদ্ধতিতে মানি লন্ডারিং হয়েছে, তার অনুসন্ধান করছেন।
দারাজের একজন কর্মকর্তা বলেন, দারাজ কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেনি। বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়াল কার্ড ও পণ্য কেনার টাকা বিদেশে পরিশোধ করার সুযোগ না পেয়ে আলী বাবার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিএমসিসি (দুবাই) থেকে টাকা পরিশোধ করা করা হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে দিকনির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। দিকনির্দেশনা পেলে তারা ডিএমসিসিকে টাকা পরিশোধ করে দেবে।
তবে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, দারাজ কোনো বৈধ পথে পণ্য আমদানি করেনি। অবৈধ পথে আনা পণ্য তারা বিক্রি করতে পারে না। এখন যদি বিদেশ থেকে সেই টাকা পরিশোধ করাও হয়, তা হলেও তারা অপরাধ থেকে পার পাবে না।
বিদেশি কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচারের ব্যাপারে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, দারাজ থেকে কার্ড কিনে তার নম্বর ও পিন নম্বরের ছবি তুলে যে কোনো দেশের নাগরিকের কাছে পাঠিয়ে দিলে তারা অর্থ উত্তোলন করতে পারবে। এভাবে লাখ লাখ ডলার দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি সিরিয়ায় অর্থ পাঠাতে চায়, তা হলে শুধু কার্ডের নম্বর ও পিন পাঠিয়ে দিলেও তিনি টাকা তুলতে পারবেন। কার্ডটি যেহেতু নিদির্ষ্ট কারও নামে থাকে না, তাই কে কাকে কোথা থেকে টাকা পাঠাচ্ছে সেটাও জানা যাচ্ছে না। ফলে অর্থপাচার, মাদক ও অস্ত্র বিক্রির অর্থ পরিশোধের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ পণ্য বিক্রির ফলে ই-কমার্স ব্যবসায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে, যা অন্য কোম্পানিগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণে উৎসাহিত করবে। ফলে ভালো ও সৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এক সময় এইখাতের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে।
তারা বলছেন, গ্রাহক ও মার্চেন্ট এর বকেয়া ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এক সময় বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওনা অর্থ না পাওয়ার ঝূঁকি তৈরি হবে এবং এর ফলে সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই খাতে আস্থা ফেরাতে দোষীদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। যারা প্রতারণা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এই ধরনের প্রতারণা সামনের দিনে ঘটতেই থাকবে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬২৭
আপনার মতামত জানানঃ