পৃথিবীকে নিয়ে রহস্য যেন থামছেই না। ভয়াবহ বিভিন্ন পূর্বাভাসের পর এবার পৃথিবীর চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে রহস্যময় এক বস্তু। এটি গ্রহাণু নাকি ধূমকেতু; তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন, এর লেজের অংশ থেকে এটিকে ধূমকেতুর লেজ বলে মনে হচ্ছে। আবার কারও মতে, এটি মূল গ্রহাণু থেকে ছিটকে বের হওয়া আরও একটি গ্রহাণু। কেউ আবার মনে করছেন, মহাকাশে স্রেফ ধুলার স্তর ছাড়া তা আর কিছুই নয়।
ফলে নতুন মহাজাগতিক বস্তু ‘২০০৫ কিউএন১৭৩’ কে নিয়ে গবেষণা এখন তুঙ্গে। চলতি বছরের জুলাই মাসেই এই গ্রহাণু-ধূমকেতুর অস্তিত্ব ভালভাবে টের পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
দেখা যায়, প্রায় ৭ লাখ ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ জুড়ে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘২০০৫ কিউএন১৭৩’। পরে তা নিয়ে গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন, মঙ্গল, বৃহস্পতির কক্ষপথে গ্রহাণুদের চলাচল যেমন একটা নির্দিষ্ট পথজুড়ে রয়েছে, নবআবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তুর গমনপথ তেমনও নয়।
আরেকদল বিজ্ঞানীর মতে, ‘২০০৫ কিউএন১৭৩’ শুধুমাত্র ৭ লক্ষ ২০ হাজার কিলোমিটার ধুলার পথ তৈরি করেছে। যার খানিকটা বরফাবৃত।
তবে চলতি বছরই শুধু নয়। ২০০৫ সাল থেকে এই রহস্যময় গ্রহাণু-ধূমকেতুর মধ্যবর্তী বস্তুটি বিজ্ঞানীদের বেশ ধাঁধায় ফেলেছিল। তার গতিবিধি মোটেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তারা। তার উপর মঙ্গল, বৃহস্পতিদের কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ানো গ্রহাণুদের অবস্থান আর ‘২০০৫ কিউএন১৭৩’-এর অবস্থানের তারতম্যই তাদের ভাবিয়ে তুলছিল বেশি।
অনেকদিন ধরে এই রহস্যময় বস্তুটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের পর বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, এর গঠন মোটেই সৌরজগতের আর পাঁচটা ধূমকেতুর মতো নয়, শুধুমাত্র লেজের অংশ বাদ দিলে। হতেই পারে, ‘২০০৫ কিউএন১৭৩’ আমাদের সৌরজগতে ‘বহিরাগত’। বিশেষত তার দীর্ঘ ৭ লক্ষ ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ জমা ধুলার লেজ দেখে তেমনই ধারণা বিজ্ঞানীদের একাংশের। সেইসঙ্গে এই সম্ভাবনাও দেখছেন তারা।
এসডব্লিউ/এসএস/১৭১৫
আপনার মতামত জানানঃ