প্রবাসে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, ব্লগার, এক্টিভিস্টসহ মোট জনের ১৬ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে রোববার এই হিসাব তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও পৃথক আরও ৪টি চিঠিতে আরও ১৮ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব চাওয়া হয়েছে।
প্রবাসে আশ্রয় নেওয়া যেসব সাংবাদিক ও ব্লগারের হিসাব তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন কনক সারওয়ার, ইলিয়াস হোসেন, শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, পিনাকী ভট্টাচার্য, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, আসাদুজ্জামান নুর (ব্লগার আসাদ নুর), আসিফ মহিউদ্দিন, মাহমুদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, শিপন কুমার বসু, তুহিন মালিক, মির জাহান, সানিউর রহমান, রবীন্দ্র ঘোষ, গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার গোল্ডেন মনিরের হিসাবও তলব করা হয়েছে। চিঠিতে নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ছাড়া আর কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকার ফলে সবার পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এছাড়াও পৃথক আরও ৪টি চিঠিতে আরও ১৮ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব চাওয়া হয়েছে। এরা হলেন- সুস্মিতা সাহানা জামান, মোছা. সেলিনা খাতুন, জিন্নাত রহমান, নাজিয়া রহমান, মো. পারভেজ রানা, মো. সাইদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মীর মো. কাইজার হোসেন, মো. আবদুল বারিক সরকার, বেগম সামছুন্নাহার, বেগম আনার কলি, মো. সোহানুর রহমান, সেতারা পারভীন, রেক্টো লিমিটেড, ফেরদৌসী বেগম, মো. আল আমিন, শারমিন আক্তার, মো. ইসহাক এবং সুরুজ মিয়া।
এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ লেনদেন, কেওয়াইসি ফরম এবং ট্রান্সজেকশনের প্রোফাইল চাওয়া হয়েছে। সাধারণ মানিলন্ডারিং নিয়ে কাজ করে বিএফআইইউ। তবে কেন তাদের হিসাব তলব করা হয়েছে সে ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ।
সরকারি একটি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের হিসাব তলব করা হয়েছে বলে বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে তবে এখন পর্যন্ত তাঁদের নামে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে ব্যাংকগুলোর সূত্রে জানা যায়।
বিএফআইইউ সাধারণত নিজেদের তদন্তের প্রয়োজন ছাড়াও সরকারী বিভিন্ন সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে হিসাব তলব করে থাকে।
আপনার মতামত জানানঃ