আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদ ও রাজধানী কাবুলে শনিবার পাঁচটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং আরো ৩০ জন আহত হয়েছে। তালিবান সূত্র আল জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছে।
তালিবান এই হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। শনিবার ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে শনিবার তালিবানের গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তালিবানের এক নেতা জানিয়েছেন এ তথ্য।
জালালাবাদের চার বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন এবং কাবুলে অন্তত দুজন নিহত হয়েছে। আর কাবুলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে ওই দুজন নিহত হয়। রয়টার্সের খবরে এই ঘটনাকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালিবানের ওপর বড় ধরনের হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, তিনটি হামলার মধ্যে একটি হামলা সরাসরি তালিবানের টহল গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার না করলেও আইএস (আফগানিস্তান শাখা) এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তালিবানের এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, টহলরত তালিবান সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও তালিবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নানগরহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদ। প্রদেশটি আইএস আফগানিস্তান শাখা জঙ্গিদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তালিবানের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, জালালাবাদ ও কাবুলের বিস্ফোরণগুলো আইএসআইএল-কে-এর কাজ বলে মনে হচ্ছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং বিস্ফোরণের কারণ নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।
পরবর্তীতে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জালালাবাদের বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত অনেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের ফলাফল পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
তালিবান আগস্টের মাঝামাঝি প্রাক্তন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ক্ষমতায় ফিরে আসে। তারা দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আফগানিস্তানে নানগারহারের রাজধানী জালালাবাদ হচ্ছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের প্রাণকেন্দ্র। গত মাসে কাবুল থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরের কাছে শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ২০০ জনের বেশি নিহত হয়। এর দায় স্বীকার করে আইএস খোরাসান শাখা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এই ঘটনা ছাড়া দেশটিতে বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
এসডব্লিউ/ডব্লিউজেএ/১৯৩০
আপনার মতামত জানানঃ