ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে সমর্থন বন্ধ করতে ব্যাংক এবং অর্থ আদান-প্রদানের প্ল্যাটফর্মগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে চীন। ১৮জুলাই দেশটির সিচুয়ান প্রদেশে বিটকয়েন মাইনিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পর এই আদেশ এলো। এর আগে সিচুয়ান প্রদেশে বিটকয়েনের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
২২জুলাই পর্যন্ত এশিয়ান ট্রেডিংয়ে বিটকয়েনের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। গত এপ্রিলে সর্বোচ্চে উঠেছিল বিটকয়েনের মান। সে হিসাবে এখন তা প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) জানিয়েছে, সম্প্রতি তারা বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাংক ও অর্থ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তলব করেছিল। সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয়েছে, যেন তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন, বাণিজ্য বা নিষ্পত্তির মতো কাজে না জড়ায়।
পিপলস ব্যাংক অফ চায়না এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের জন্য বাণিজ্য, ক্লিয়ারিং ও নিষ্পত্তির মতো পণ্য বা পরিষেবা না দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
চীনের তৃতীয় বৃহত্তম এগ্রিকালচার ব্যাংক অফ চাইনা বলেছে, তারা পিবিওসির নির্দেশনা মেনে কাজ করবে। এমনকি অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের মতো কাজে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করতেও কাজ করবে।
চীনের পোস্টাল সেভিংস ব্যাংকও জানিয়েছে, তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন আর করবে না।
চীনের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ও অনলাইন পেমেন্ট প্লাটফর্ম আলি পে’র মূর প্রতিষ্ঠান চীনের আর্থিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যান্ট গ্রুপ বলেছে, তারার অবৈধ ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের বিষয়টি নজরদারি করবে।
চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের সিচুয়ান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বিটকয়েন মাইনিং বন্ধ ঘোষণা করলে এমন ব্যবস্থা নিতে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, বিশ্বের মোট বিটকয়েনের ৬৫ শতাংশই গত বছর উৎপাদন করে চীন। যার বেশিরভাগই কার হয় সিচুয়ান প্রদেশ থেকে। প্রযুক্তিক্ষেত্রে চীনের যে কয়েকটি অঞ্চল সবচেয়ে অগ্রসর তার মধ্যে সিচুয়ান প্রদেশ অন্যতম।
বিটকয়েনের দাম কমলেও গত কয়েক মাসে বেড়েছে ডজকয়েনের দাম। বিশেষ করে টেসলা প্রতিষ্ঠাতা ইলোন মাস্কের একটি টুইটের পর থেকে জনপ্রিয় হতে থাকে মুদ্রাটি। মাস্ক তার মহাকাশ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের চাঁদে অভিযান পরিচালনার ব্যয় ডজকয়েনে করবেন ঘোষণা দিলে মুদ্রাটির দাম বাড়ে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি এক ধরনের সাংকেতিক মুদ্রা, যেটি কেবল অনলাইনে বিদ্যমান। বাস্তবে এ মুদ্রা ধরে দেখা যায় না। পুরো লেনদেনটিই হয় অনলাইননির্ভর। পিয়ার টু পিয়ার পদ্ধতিতে এ লেনদেন সরাসরি প্রাপক থেকে প্রেরকের কাছে যায়। ফলে তৃতীয় কোনো পক্ষের এতে সংশ্লিষ্টতা থাকে না। অন্য কেউ জানতেও পারে না লেনদেনের বিষয়ে। এ কারণেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৩০৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ