রাজধানী ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৌহিদি জনতা ঐক্য পরিষদ-এর ব্যানারে ১৩ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুরান ঢাকার ধোলাইপাড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে ভাস্কর্য স্থাপনের পরিবর্তে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি তোলে তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদ।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় গণসামবেশে যোগদানের পথে আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরীকে সমাবেশ স্থানে আসতে প্রথমে বাধা দেয় পুলিশ। পরে এক পর্যায়ে পুলিশ পাহারায় আল্লামা আব্দুল হামিদ সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছান। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরি বলেন, ভাস্কর্যের নামে দেশে কোনো মূর্তি স্থাপন করা যাবে না। ৯৯ শতাংশ মুসলমানের দেশে এসব শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, এখানে কেবল আল্লাহর ৯৯ নামের একটি ফলক স্থাপন করা যেতে পারে। আর কিছু নয়। মসজিদের শহর ঢাকাকে আমরা মূর্তির শহর বানাতে দেব না।
সমাবেশের পর উত্তেজিত মুসল্লিরা মিছিল বের করে। প্রত্যক্ষদর্শী বেসকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাইয়াজ আহমেদ জানান, ‘ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি ভাস্কর্ষ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে হুজুররা অনেক দিন ধরেই এলাকার লোকজনকে বোঝাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে দেখলাম, তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শুক্রবার ধোলাইপাড় চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। আজ দেখলাম, কেউ বাধা দিল না। তারা ঠিকই সমাবেশ করল এবং মানুষকে বুঝাল যে, ভাস্কর্য স্থাপন হলে ঈমান থাকবে না।’
সমাবেশে বক্তৃতা করেন, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শাহ আব্দুল আউয়াল, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাইতুন নূর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মনিরুজ্জামান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সমাবেশের আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ সর্তক ছিল বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে এলাকার একটি মহল জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। অর্থ ব্যয় করে লোক লাগিয়ে তারা প্রচারণা চালাচ্ছে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরও এখানে ইন্ধন থাকতে পারে।
Available for everyone, funded by readers. Every contribution, however big or small, makes a real difference for our future. Support to State Watch a little amount. Thank you.
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ