আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য ও কটূক্তি করায় নোয়াখালীতে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টায় ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তর লামছি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান ওরফে সম্রাট (৩৫) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস (ডিপিডি) বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার (১৮ জুন) কবিরহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জিয়াউর রহমান সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগের সঙ্গে দেওয়া ফেসবুকের স্ক্রিনশট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
অভিযোগের বিষয়ে জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আপত্তিকর একটা পোস্ট দেওয়া হয়। পরে আইডি পুনরুদ্ধার করে আমি পোস্টটা ডিলিট করি। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আমি বিব্রতবোধ করছি, সঙ্গে দুঃখও প্রকাশ করছি। আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক। নিজের থেকে পোস্ট দিলে আমি ডিলিট করতাম না।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া বলেন, জিডির পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমানকে শনিবার বেলা ২টার দিকে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে থানায় আছেন। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের বিরুদ্ধে যে জিডি হয়েছে, তার আলোকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮মিনিটের দিকে জিয়াউর রহমান তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে (সম্রাট এসএফ) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দীর্ঘদিনের অর্জিত মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করেন। অভিযোগে বলা হয়, বিবাদী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়ে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করেছেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তা ছাড়া ওই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস না করেই এক নেতার দাপট দেখিয়ে মাস শেষে বেতন নিয়ে যান বলেও অভিযোগ আছে। নানা কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে জানান উপাচার্য।
এসডব্লিউ/এমএন/এফএ/১৯০৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ