জনস্বার্থ বিবেচনায় ঈদুল ফিতরের আগে গণপরিবহন চালু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১ মে) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের এসময় বলেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষের পর সরকার গণপরিবহন চলুর বিষয়য়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। পরিহন শ্রমিকদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন-বিক্ষোভে যাবেন না। আপনারা ধৈর্য ধরুন। সরকার আপনাদের কথাও ভাবছে।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রবিবার (২ মে) সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকেই গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ৭ এপ্রিল থেকে কেবল সিটি করপোরশনগুলোতে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। ১৪ এপ্রিল সরকার আরো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করলে ওই দিন থেকে ফের বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন।
সরকারের এই কঠোর বিধি-নিষেধ প্রথমে ২১ এপ্রিল, এরপর ২৮ এপ্রিল এবং সবশেষ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে একাধিকবার গণপরিবহন চালুর বিষয়ে কথা উঠেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকরা উপার্জনহীন হয়ে পড়লে তারা বারবারই গণপরিবহন চালুর দাবি তুলেছেন। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই তারা পরিবহন চালাতে চান। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
করোনায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল ৮টা) আরও ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৫২ জন। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বুলেটিনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১১ হাজার ৫১০ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ হাজার ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৬।
গত বছর ৮ই মার্চ স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আর কোভিড-১৯ রোগে মৃত্যুর কথা প্রথম ঘোষণা করা হয় সে বছরের ১৮ই মার্চ।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক৫১। আর যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৭ ও নারী ২৩ জন।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/২০৩৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ