গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বান্ধবী মোশারাত জাহানের আত্নহত্যার ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রামে পটিয়ার সাংসদ জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হকের ছেলে শারুনের সাথে মুনিয়ার চ্যাটের স্কিন শট।
যদিও শারুন এসব চ্যাটকে উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিত ভাবে এসব ছড়ানো হচ্ছে।
গুলশানের অভিজাত একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের দুদিন যেতে না যেতেই নাটকীয়ভাবে চট্টগ্রামের পটিয়ার এমপি ও সংসদের হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুনের নাম আলোচনায় আনা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হুইপপুত্র শারুনের সঙ্গে মারা যাওয়া মুনিয়ার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের সূত্র ধরে এসব আলোচনাকে ভুয়া, বানানো ও মনগড়া দাবি করে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক শারুন জানান , মোশারাত জাহানের মৃত্যু রহস্যটি ভিন্নখাতে নিতেই আসামি পক্ষ এখন নতুন খেলায় নেমেছে। এর আগেও বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালিয়েছিল। যেসব ভুয়া স্কিনসট ভাইরাল করা হচ্ছে সেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হোক। এমনকি তাকে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও কোন কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি বলে জানান আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির এ সদস্য।
অন্যদিকে একটি জাতীয় পত্রিকায় শারুনকে মুনিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করলেও কারা জানতে চেয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়নি। এ বিষয়ে শারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি স্টেটওয়াচকে জানান, গতকাল হঠাৎ করে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তার কাছে মুনিয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। কারা জানতে চেয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বা তদন্তকারী কর্মকর্তা যদি জানতে চাইতেন তাহলে তারা তাদের পরিচয় দিতো। সাংবাদিক ধারনা করেই তথ্য দিয়েছি।
শারুন আরও জানান, মুনিয়ার সঙ্গে তাঁর সরাসরি পরিচয় ছিল না। গত বছর ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মুনিয়া তাকে জানিয়েছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে তাঁর সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। এসব ছাড়া তার সঙ্গে তেমন কোনও কথাবার্তা হয়নি। মুনিরার সাথে শারুনের তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা সেটা তার কল লিস্ট ও মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তরুণ এ ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা।
কেন এই ঘটনায় তাকে জড়ানোর কথা উঠছে তা জানতে চাইলে হুইপপুত্র শারুন বলেন, ‘বসুন্ধরার এমডি আনভীরের সাথে আমার সাবেক স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। এসব নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। পরে আমাদের সংসারও ভেঙে যায়। এরই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওই গ্রুপের সব মিডিয়াকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রপ্রচারে নেমেছিল। এখন নতুন করে তারা সেই খেলায় মেতে উঠেছে। মুনিয়ার ঘটনায় আসামি নিজেকে আড়াল করে আমাকে জড়াতে চাচ্ছে।’
সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারীর পর ঘটনাপ্রবাহ পরিবর্তন করার নতুন কৌশল হিসেবে শারুনকে সামনে আনা এমন আলোচনা সমালোচনায় ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
মোশারাত জাহান মুনিয়ার আত্নহত্যার তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয় প্রকৃত আলামত ও তদন্তের উপর ভিত্তি করে আসামীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
এসডব্লিউ/নসদ/০৫৫৫
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ