চট্টগ্রামে বিনা ভাড়ায় রোগী ও স্বজনদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন অটোরিকশা চালকেরা। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগীকে বিনা ভাড়ায় হাসপাতাল কিংবা বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে তিনটি অটোরিকশা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, জেনারেল হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে থাকে গাড়িগুলো।
১৮ এপ্রিল থেকে এই সেবা চালু করেছে ইমাম মোটরস নামে নগরের হালি শহরের একটি প্রতিষ্ঠান।
অটোরিকশার সামনে পেছনে ডিজিটাল ব্যানারে বড় করে লেখা আছে, ‘মানবিক সেবায় বিনা মূল্যে রোগী পরিবহন’। সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগের নম্বরও। গাড়ির ভেতর তিনজন চালকের মুঠোফোন নম্বরও লেখা রয়েছে।। সেখানে বলা হয়েছে, যাত্রীদের কোনো অভিযোগ থাকলে মালিককে জানানোর জন্য।
এই সেবার উদ্যোক্তা ইমাম মোটরসের স্বত্বাধিকারী ইমাম হোসেন বলেন, লকডাউনে রোগীদের, বিশেষ করে গরিব রোগীদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি থাকলেও ভাড়া বেশি। এ জন্য এটি চালু করা হয়েছে।
তিনটি গাড়ির মালিক তিনি। গাড়িগুলো দৈনিক ৯০০ করে ২ হাজার ৭০০ টাকা আয় দেয়। এখন ভাড়ায় না খাটিয়ে মানুষের জন্য দিয়েছি। গাড়ির জ্বালানি ও চালকের বেতন নিজ থেকে দেন।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে মানুষের কষ্টের বিষয়টি জেনে আমি ও আমার বাবা রফিকুল ইসলামের সিদ্ধান্তে এটি চালু করি। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা থাকবে।’
গাড়ি তিনটির চালক নুর ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ এবং আবুল বাশার। তারা তিন জনই রোগীদের এই পরিবহন সেবা দিতে পেরে ভীষণ খুশি।
পেশায় চালক আবুল বাশার অটোরিকশা মেকানিক। লকডাউনে গ্যারেজ বন্ধ থাকায় রোগী সেবার এই সুযোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, বাসায় বসে না থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে পারছি, এটাই বড়। মালিক বেতন দিলে নেন, কোনো দাবি করেন না।
গাড়িগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর চালক নুর ইসলাম ০১৮২৮৫৭১০৫৫, আবুল বাশার ০১৮৩২৮০৮০৬৭, মো. আবদুল্লাহ ০১৮২৪৮৮২৭৬০। নগরের যে কোনো জায়গায় গরিব অসহায় রোগী ওই নম্বরে ফোন করলে হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পৌঁছে দেবে গাড়িগুলো।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২০১৩
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ