Author: ডেস্ক রিপোর্ট

২০০০ সালে দেশে বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগে থাকে। তবে এবার ভয়াবহ। আর এর কারণ হিসাবে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ডেঙ্গুর চারটি ধরন আছে: ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। ২০১৮ সালের পর ডেঙ্গুর ডেন-১ ধরনে মানুষের আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি। ২০২১ সালে সব মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল ডেন-৩ ধরনে। এ বছর ডেন-৪ ধরনের প্রকোপ বেশি। আবার ডেন-৩ ও ডেন-১ ধরনেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। অর্থাৎ ডেঙ্গুর তিনটি ধরন দেশে এখন সক্রিয়। এটি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কুষ্ঠ রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপক অধ্যাপক শাকিল…

Read More

পাকিস্তানে প্রতি দুই ঘণ্টায় অন্তত একজন নারী ধর্ষিত হন বলে দেশটির সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে। দেশটিতে নারীদের জন্য যে অনিরাপদ পরিস্থিতি বিরাজমান সেই চিত্র উঠে এসেছে ধর্ষণের এই পরিসংখ্যানে, যেখানে অনার কিলিংয়ের ঘটনাও অহরহ ঘটে। দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র বিভাগ এবং মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানি চ্যানেল সামা টিভির অনুসন্ধান শাখা (এসআইইউ) এই সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। এতে দেখা গেছে, পাকিস্তানে নারী ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও দোষী সাব্যস্তের হার মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। জরিপ বলছে, নতুন সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ২১ হাজার ৯০০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর অর্থ— সারা দেশে…

Read More

সিনেমায় নায়ক-নায়িকার চুমু খাওয়ার দৃশ্য যেন এই সময়ে খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে যেকালে মেয়েদের সিনেমায় কাজ করাটাও ছিল চ্যালেঞ্জের, সেসময় কিনা পর্দায় চুমু খাওয়ার দৃশ্য করেন এক সাহসী নায়িকা। ১৯৩৩ সালে সর্বপ্রথম ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম চুমু খান এই নায়িকা। প্রায় চার‌ মিনিট ধরে পর্দায় নায়ককে চুমু খেয়েছিলেন তিনি। তবে নায়ক ছিলেন তার-ইস্বামী। বলছি, দেবিকা রাণীর কথা। তবে দেবীকাই প্রথম নন। তার আগেও ভারতীয় চলচ্চিত্রে চুম্বন দৃশ্য দেখানো হয়েছে। ১৯২১ সালে বিলেত ফেরত নামক নির্বাক বাংলা ছবির‌ প্রযোজক ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। বরিশালের ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন তিনি। ছবি পরিচালনা করেছিলে এন সি লাহিড়ি। এই ভারতীয় ছবিতেই প্রথম চুমুর দৃশ্য দেখানো হয়েছিল।…

Read More

এছাড়া পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবেও নারীকে ধর্ষিত হতে হয়। আমরা এসবকে নারীর প্রতি বৈষম্য, নারী নির্যাতন এবং নারীর সম্ভ্রমহানি বলে আখ্যায়িত করছি। কিন্তু ধর্ষণের মতো অপরাধকে নারীর সম্ভ্রমহানি বলে যা বোঝাতে চাই তা কি যথার্থ? নারীর সম্ভ্রমহানি বললেও প্রকৃতপক্ষে এই সম্ভ্রমহানি মানুষের, সমাজের, রাষ্ট্রের তথা মানবজাতির। ফলে একজন নারীর সম্ভ্রম হারাল তো মানবজাতিই সম্ভ্রম হারাল, মানবতা সম্ভ্রম হারাল। যারা নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নেয় তারা পক্ষান্তরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করে। কাজেই এদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগও আনতে পারে রাষ্ট পক্ষান্তরে সরকার। তবে জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের ঘটনার ক্ষেত্রে কথিত সম্ভ্রমহানির বিষয়টি সামনে এনে নারীকে আরও বিপন্ন করে তোলা হয়।…

Read More

প্রতিবছর নানা কারসাজিতে কী পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব সরকারের কাছে নেই। যখন বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সূত্রে এসব পাচারের খবর চাউর হয়ে যায় কিংবা বাজারে ডলার-সংকট দেখা দিলে কর্তাব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসেন। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার আওয়াজ দিতে থাকেন। তারপর সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে বা চলতে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ডলার-সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, সারা দেশে অবৈধ ৭০০ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করছে। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে ঢাকার তিনটি মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের বিরুদ্ধে…

Read More

ইরানে নিকা শাকারামি নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিক্ষোভ করার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। নিকা শাকারামির মা বিবিসি পার্সিয়ানকে বলেন, ভিডিওগুলো তার মেয়ে মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ধারণ করা। সূত্র মতে, নিকা তার হিজাব পোড়ানোর একটি ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিল। নিকা বন্ধুকে বলেছিল, এর পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে অনুসরণ করছেন। নিকার সঙ্গে ১০ দিন আর পরিবারের যোগাযোগ হয়নি। পরে একটি বন্দিশিবিরের মর্গে তাঁরা ওই কিশোরীর লাশ খুঁজে পান। কী বলছে পরিবার? নিকার পরিবার বলছে, নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর একটি মর্গে নিকার লাশ শনাক্ত করেছে তারা। নিকাকে শনাক্ত করতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য তার মুখ দেখতে…

Read More

গত রোববার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আয়োজনে এক ‘বিরাট হিন্দু সভা’র আয়োজন হয় ভারতের দিল্লির অদূরে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন লোনির প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক নন্দ কিশোর গুর্জর। দিল্লি দাঙ্গা ছাড়াও মুসলিমদের নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। সভাটি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। তবে কারও নামে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এদিনের সভার মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে। এদিনের সভায় নন্দ কিশোর বলেছেন, আমরা কাউকে মারি না। কিন্তু আমাদের মারলে আমরা ছেড়ে কথা বলি না। দিল্লিতে সিএএ নিয়ে দাঙ্গা হয়েছিল। হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছিল। তখন আপনাদের ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। তখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, আমি আড়াই লাখ…

Read More

ইতিহাসে প্রথম সফলভাবে আকাশে ডানা মেলেছিলেন যিনি তিনি হচ্ছেন আব্বাস ইবনে ফিরনাস। তিনি ৯ম শতাব্দীতে উমাইয়া খিলাফতের সময় স্পেনের আন্দালুসিয়ার একজন পলিম্যাথ বা বহুশাস্ত্র বিশারদ ছিলেন। তার উড্ডয়ন প্রচেষ্টা সম্পর্কে ঐতিহাসিক ফিলিপ কে. হিট্টি তার হিস্ট্রি অব আরব গ্রন্থে মন্তব্য করেন, “ইবনে ফিরনাসই প্রথম ব্যক্তি যিনি আকাশে ওড়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বৈজ্ঞানিকভাবে।” সর্বপ্রথম আকাশে কোনো বস্তু ওড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন দুই চীনা দার্শনিক মোজি ও লু বান। ঘুড়ি আবিষ্কারের নেপথ্যেও তারা দু’জন। পঞ্চম শতাব্দীতে এর মাধ্যমে তারা শত্রু রাষ্ট্রের ওপর নজরদারি করেছিলেন বলে জানা যায়। আর বাতাসের চেয়ে ভারী কোনো যন্ত্র নিয়ে আকাশে ওড়া প্রথম মানুষ ইবনে ফিরনাস এবং মানুষের আকাশে…

Read More

উচ্চতা ১৩ থেকে ১৫ ফুট। রক্তাভ লাল চুল। দু’হাতে ও পায়ে ৬টি করে আঙুল। সেই সঙ্গে পেশিবহুল চেহারা। এই বর্ণনা শুনে মনের মধ্যে ‘দৈত্য’ বা ‘দানব’ শব্দের কথাই ভেসে ওঠা স্বাভাবিক। তবে এটা কোনও রূপকথা কিংবা কোনও লোককথা গল্প নয়? ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছিল এমনই এক আশ্চর্য দৈত্যাকার মানব! অবিশ্বাস্য হলেও, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নথি এবং মার্কিন সেনাদের বক্তব্য ছিল এমনটাই। কীভাবে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াল এই দৈত্য? কীভাবেই বা এই দৈত্যের সন্ধান পেয়েছিলেন তারা? নিশ্চয়ই এই সব প্রশ্ন ভিড় করছে মনের মধ্যে? তবে শুরু থেকেই বলা যাক ঘটনাটা। ২০০২ সালের কথা। বছর খানেক…

Read More

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের কৌশল নির্ধারণ করতে ব্যস্ত রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের ওপর সরকারের দমনপীড়ন ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের হামলা বেড়ে চলেছে। তবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত আইনের শাসনের প্রতি সম্মান দেখানো এবং বিরোধী সমর্থকদের সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রক্ষা করা। গতকাল সোমবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ‘বাংলাদেশ: রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। যা উল্লেখ আছে প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে গণগ্রেপ্তার ও বিরোধী দলের সদস্যদের বাড়িতে পুলিশের…

Read More