Author: ডেস্ক রিপোর্ট

কিছুদিন আগে পর্যন্তও আমরা ঠিকঠাক জানতাম না, ঠিক কত সংখ্যক লোক কোন ধর্মে বিশ্বাস করে । সতেরো শতক থেকে ইউরোপে (এবং উনিশ শতকের শেষে এদেশেও) চালু হয় আধুনিক অর্থে ‘সেন্সাস’ বা লোকগণনা । তাতে ধরা পড়ে বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা । তবে, সে সব লোকগণনায় কার ধর্ম কী সেটা প্রতিটি ব্যক্তিকে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করা হত না, সেটা ধরে নেওয়া হত তার পারিবারিক পরিচয় থেকে । ফলে তাদের মধ্যে কেউ নাস্তিক আছে কিনা বোঝা যেত না, অবশ্য তখন সম্ভবত প্রায় কেউই নাস্তিক ছিল না । বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ধর্মবিশ্বাসের বিস্তারিত সমীক্ষা শুরু হল ইউরোপ ও আমেরিকায়, এবং তখনই প্রথম…

Read More

পৃথিবীতে অনেক আবিষ্কার রয়েছে যা নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। এদের মধ্যে এমন একটি আবিষ্কার রয়েছে, যা মানুষ হত্যার প্রধান উপকরণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। এর নাম হলো গানপাউডার। এই লেখাটিতে গান পাউডারের আবিষ্কার এবং কিভাবে এটি আধুনিক যুদ্ধের মূল অস্ত্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে তা জানানো হবে। নবম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। চীনা বিজ্ঞানীরা এমন একটি ওষুধ বানাতে চেয়েছিলেন, যা মানুষকে অমরত্ব দান করবে। নানা রকম প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে তারা পরীক্ষা করতে থাকেন। এরকম বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে একটি ছিল সল্টপিটার। এই সল্টপিটারের সাথে অন্যান্য কিছু উপাদান মেশানোর পর তা দাহ্য পদার্থে পরিণত হয়। আগুনের সংস্পর্শে আসলেই তা প্রচন্ড আলো…

Read More

গত মে মাসে আমাদের মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ১০ শতাংশের কাছকাছি। এই মূল্যস্ফীতির কারণে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এজন্য প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে ধরে রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু বাজেট দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, এর জন্য মুদ্রানীতিরও একটি গঠনমূলক ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তার মেয়াদে দ্বিতীয় বারের মতো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য ঘোষণা করেন মুদ্রানীতি। অর্থবছর ২০২৩-২৪–এর প্রথম ছয় মাসের জন্য যে মুদ্রানীতি, তার মূল উদ্দেশ্য একটি সহনীয় মাত্রায় মূল্যস্ফীতি (৪ থেকে ৫ শতাংশ) নিশ্চিত করে অর্থনীতির নিয়োগ সর্বোচ্চ করা। যেহেতু নিয়োগের তথ্য–উপাত্ত বিভ্রান্তিকর, তাই এর…

Read More

দুর্ভিক্ষের মুখে আফগানিস্তান। ডব্লিউএফপি’র প্রতিবেদন বলছে, আফগানিস্তানের ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখই কোনোমতে খেয়ে বা না খেয়ে দিন পার করছে। অপুষ্টিতে ভুগছে ২০ লাখেরৱ বেশি শিশু। আশ্রয়হীন পাঁচ লাখ ৭০ হাজারের বেশি, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের এক বছরেরও বেশি সময় পর তালেবান আফগানিস্তান জুড়ে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু তালেবান সরকারের স্বীকৃতি না মেলায় বৈশ্বিক উন্নয়ন সহায়তা ও বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত রিজার্ভ স্থগিত হয়ে আছে। এ অবস্থায় দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস দমনের নামে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘকে এড়িয়ে আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল। এরপর ২০টি বছর…

Read More

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৬০ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরীক্ষামুলক উৎপাদন শুরু হয় গত ২৫ মে। এরমধ্যে গেল একমাসে ২৭ লাখ কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। দৈনিক জাতীয় গ্রিডে ২০ মেগাওয়াট সরবরাহ করছে দেশের একমাত্র বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। উল্লেখ্য, কক্সবাজারের খুরুশকুল গেলে সহজেই চোখে পড়বে দীর্ঘ ১০টি বায়ুকল। আশেপাশের ভূচিত্র থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ২০০ মিটার উঁচু টাওয়ারগুলো চোখ এড়ানোর উপায় নেই। বাতাসের গতি বাড়লেই, ঘুরতে থাকে টার্বাইনের ব্লেড বা পাখা। আগে অবশ্য পুরো এলাকায় ছিল জলমগ্ন, আর বায়ুর প্রবাহকে বাধা দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না এখানে। সেই পরিবর্তন এনেছে এসব বায়ুকল। যা দেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের অংশ ।…

Read More

প্রিগোজিন বলেছেন, ‘এটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়, বরং রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বে ‘শয়তানি’ বন্ধ এবং ন্যায়বিচারের মিছিল। আমাদের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সেনাদের ওপর হস্তক্ষেপ করে না।’ রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সংগঠন ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। প্রিগোজিন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, রোস্তভ সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তার সেনারা। সিএনএনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওয়াগনার অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে প্রিগোজিন বলেছেন, আমরা সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলের সদর দপ্তরে রয়েছি। বিমানঘাঁটিসহ রোস্তভের সামরিক সুবিধাগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ ভিডিও বার্তায় প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তার সেনারা এই শহর অবরুদ্ধ করবে এবং রাজধানী মস্কোর দিকে এগিয়ে যাবে—যতক্ষণ প্রতিরক্ষামন্ত্রী…

Read More

জাহাঙ্গীরের সময় আঁকানো ছবিগুলোতে এই মোগল সম্রাটের বিচিত্র স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। অনেকগুলোতে তার রাজনৈতিক স্বপ্নের প্রতিফলন দেখা গেছে। যেমন শাহ আব্বাসের সঙ্গে বসা ছবিটি পুরোপুরি কাল্পনিক। বাস্তবে দুই শাসকের কখনো মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি। শিল্প ইতিহাসবিদ ইবা কোচ বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে এ ধরনের প্রতীকী চিত্রের মাধ্যমে বাদশারা কতটা মহান তা দেখানোর চেষ্টা করেছে। রোবোটিক্স নিয়ে চলতি শতাব্দীতে উন্মাদনার কমতি নেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এই উন্মাদনাকে নিয়ে গেছে নতুন উচ্চতায়। তবে বিষয়টি কেমন হয় যদি মধ্যযুগীয় ভারতের কোন শিল্পকর্মেই দেখা পান স্বয়ংক্রিয় এই যন্ত্রের ব্যবহার? ‘জাহাঙ্গীর এন্টারটেইনস শাহ আব্বাস’ নামের একটি চিত্রকর্মে ঠিক এমনটাই দেখতে পাওয়া যায়। যেটাকে…

Read More

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে ১১৫টি মামলায় ২২৯ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬ জন সাংবাদিককে। মামলা দায়েরের পরপরই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে এমন চিত্র তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন আর্টিকেল-১৯। এই সংগঠনটি মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে কাজ করে। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগই এখন অপপ্রয়োগ। এই আইনে করা মামলার আসামিদের মধ্যে বড় অংশই সাংবাদিক। আর বেশির ভাগ মামলার বাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী বা সমর্থক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাগুলোর মধ্যে…

Read More

মহাকাশের বুকে জ্বলন্ত এক অগ্নিকুণ্ড। আয়তন গোটা সৌরজগতের থেকেও একশো গুণ বড়ো। তবে কি এই বিশাল অগ্নিকুণ্ড কোনো দৈত্যাকার নক্ষত্র? নাকি অন্য কোনো মহাজাগতিক বস্তু? না, কোনোটাই নয়। বরং, এই আগুনের গোলা প্রকাণ্ড এক মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। আরও ভালো করে বলতে গেলে, মানব ইতিহাসে নথিভুক্ত হওয়া সবচেয়ে বড়ো এবং দীর্ঘস্থানীয় মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় যাকে বলা হয় সুপারনোভা। ২০২০ সাল। ক্যালিফোর্নিয়ার জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটির টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রথম এই অগ্নিগোলককে শনাক্ত করেছিলেন গবেষকরা। তবে সেটি যে কোনো মহাজাগতিক বিস্ফোরণ, তা তখনও জানা ছিল না গবেষকদের। ৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত মহাজাগতিক বস্তুটির ছবিও যে সেই টেলিস্কোপে খুব একটা স্পষ্ট ছিল, এমনটাও নয়।…

Read More

পঁচিশ বছর আগেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ছিল একটি লাভজনক সংস্থা। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে সংস্থাটি যে টাকা আয় করত, তা দিয়ে ট্রেন পরিচালনার সব ব্যয় মেটানোর পরও কিছু টাকা উদ্বৃত্ত থাকত। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর সংস্থাটিতে এমন উদ্বৃত্ত ছিল প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা। এরপর সময় যত গড়িয়েছে, লাভজনক থেকে ক্রমেই লোকসানি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে রেল। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে সংস্থাটির লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি টাকায়। লোকসানের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে রেলওয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও। ২৫ বছর আগে যেখানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে ৯৬ পয়সা ব্যয় করতে হতো সংস্থাটিকে। সেখানে বর্তমানে ১ টাকা আয় করতে গিয়ে রেলওয়ের ব্যয়…

Read More