Author: ডেস্ক রিপোর্ট

সেই ’৯০-এর দশক থেকে ভারতের জাতীয় নির্বাচনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। কিন্তু একটা বিষয় আগে কখনোই দেখিনি। আর তা হলো দেশটিতে শুরু হওয়া নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফল আগে থেকে অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলে দেওয়া। বরং এখন বিতর্কটা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কত বড় ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে সাত দফায় চলে ১ জুন শেষ হবে। মোদির সমালোচকেরা বলছেন যে তিনি নির্বাচনের ফল নিজের দিকে আনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছেন, সরকারি গোয়েন্দা ও অন্যান্য সংস্থাকে নিয়োগ করেছেন বিরোধীদের দমন করার জন্য। তারপরও এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তেমন কোনো জনরোষ দেখা যায়নি। আর…

Read More

বিবিসি’র আন্তর্জাতিক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন বলছেন, ইসরায়েলের কথিত হামলা ঘটনাটিকে বেশ খাটো করেই দেখাতে চাইছেন ইরানিরা। যেন এর বিশেষ তাৎপর্য নেই। তারা বলছেন, কোনো হামলা হয়নি। ক্ষুদ্রাকৃতি ড্রোনের রম্য ছবি প্রচার করছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এতে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের অপেক্ষাকৃত কট্টর অংশ কি পাল্টা জবাব দেবে? ইসরায়েল কি আরও হামলার পরিকল্পনা করছে? জেরেমি বোয়েন আরও বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইতিমধ্যেই দূরত্ব বেড়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সেটি হয়তো আর বাড়াতে চাননি নেতানিয়াহু। যে কারণে এই ধরনের হামলার পদক্ষেপটি নিয়ে থাকতে পারেন তিনি। এর আগে ১৩ই এপ্রিল ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেই হামলার জবাব দেয়ার…

Read More

রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে দুবাই। চব্বিশ ঘণ্টার বৃষ্টিতে সৃষ্ট এই বন্যার পর ‘ক্লাইড সিডিং’ বা প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো সম্পর্কে নানা অনুমান ছড়িয়ে পড়েছে, যা এক ধরনের বিভ্রান্তিকর। তবে অনুমান যেমন-ই হোক, দুবাইয়ের এই বৃষ্টিপাত ঠিক কতটা অস্বাভাবিক ছিল এবং এতো ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পেছনে মূল কারণগুলো আসলে কী ছিল? বৃষ্টিপাত কতটা ‘প্রবল’ ছিল? মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলীয় অঞ্চলে দুবাইয়ের অবস্থান। দুবাই সাধারণত খুব শুষ্ক থাকে। বছরে এখানে গড়ে ১০০ মিলিমিটারের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়। তবে মাঝে মাঝে দুবাইকে চরম বৃষ্টিপাতের সম্মুখীনও হতে হয়। দুবাই থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরের শহর আল-আইন। সেখানে…

Read More

বছর দুই আগেও ৯১ দিন মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বিলের সুদহার ছিল আড়াই শতাংশেরও কম। স্বল্পমেয়াদি এ ঋণের সুদহার এখন ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মেয়াদ বেশি হলে ঋণ নিতে সরকারকে আরো বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে। ব্যাংকগুলো এখন ব্যক্তি খাতের চেয়ে সরকারকে ঋণ দেয়াকেই বেশি লাভজনক মনে করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার ছিল ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলতি এপ্রিলে এ বিলের সুদহার ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। সে হিসেবে সবচেয়ে কম মেয়াদি এ বিলের সুদহার বেড়েছে ৩৮১ শতাংশ বা প্রায় পাঁচ গুণ। ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার ২৫৭ শতাংশেরও…

Read More

শুধু মানুষই নয়, জগতের সকল জীবজন্তুই খাদ্য, বাসস্থান এবং স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপনের অনুকুল পরিবেশে থাকার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিরন্তর গমন করেছে। সেখানে ভালো না লাগলে বা প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অথবা অধিকতর ভালো জায়গার সন্ধান ফেলে তাতেই পাড়ি জমিয়েছে। এটি সেই প্রাণিজগতের জীবজন্তুর জীবনযাত্রা শুরু থেকে এখনও চলছে। মানুষ অপেক্ষাকৃত অনুভূতি, বোধ, বুদ্ধি এবং সচেতন হওয়ায় সেও বিবর্তনের কালযাত্রায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে চলেছে। এটি সম্ভবত জীবজগতের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। মানুষ এর থেকে মোটেও ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো কারণ নেই। অন্য জীবজন্তুরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়েছে নিজেদের খাদ্য ও নিরাপত্তার প্রয়োজনে। কিন্তু মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, অধিকতর…

Read More

চীনের প্রায় অর্ধেক বড় শহরই ডুবে যাওয়ার ‘মাঝারি থেকে গুরুতর’ ঝুঁকিতে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে প্রায় লাখ লাখ মানুষ রয়েছে বন্যার ঝুঁকিতে। আজ শুক্রবার প্রকাশিত চীনে দেশব্যাপী স্যাটেলাইট ডেটার সমীক্ষা অনুসারে এসব তথ্য দিয়েছেন গবেষকেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির লেখকেরা দেখেছেন যে, চীনের শহরগুলোর ভূমির ৪৫ শতাংশ প্রতিবছর ৩ মিলিমিটারের বেশি এবং ১৬ শতাংশ প্রতিবছর ১০ মিলিমিটারেরও বেশি হারে ডুবে যাচ্ছে। ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াসহ নির্মিত অবকাঠামোর ওজনের কারণেও এমনটি ঘটছে বলে জানান গবেষকেরা। গবেষক দলের প্রধান সাউথ চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির আও জুরুই বলেছেন, চীনের শহুরে জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই ৯০ কোটির…

Read More

অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে…

Read More

ইরানে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দু’জন মার্কিন কর্মকর্তা। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে হামলা চালানোর খবর পাওয়া গেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের দারা প্রদেশে সামরিক বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এদিকে, ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা শুক্রবার সকাল থেকে তেল আবিবের সামরিক সদর দপ্তরে অবস্থান করছেন। গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের পর থেকেই দেশটির পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারিতে…

Read More

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। আরও বড় পরিসরে এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হবে কি না, সেই সমীকরণ মেলাতে এখন ব্যস্ত সবাই। আপাত এই সংক্ষিপ্ত হামলা ও পাল্টা হামলায় কার কতটুকু লাভ বা ক্ষতি হলো, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা। আসলে এই যুদ্ধ কোন দিকে মোড় নেবে, তা বলা মুশকিল। কারণ, এই যুদ্ধ এখন আর ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে এখন প্রতিবেশী দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বমোড়লেরা জড়িয়ে পড়েছেন। ইরান-ইসরায়েলের সামরিক হামলা ও কথার যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, তুরস্কসহ আশপাশের সব দেশই এই যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছে। কেউ হুমকি দিয়েছে। কেউ শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে।…

Read More

গত শতাব্দীর শুরুর দিককার কথা। জার্মানির অর্থনীতি তখন এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে পার হচ্ছিলো। অন্যদিকে ১৯১৮ সালে শেষ হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ তাদের দেশে বিবাহযোগ্য পাত্রের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছিলো উল্লেখযোগ্য হারে। পরিবারে নতুন সন্তান আসা মানে খরচ আরো বৃদ্ধি পাওয়া, এসব ভেবে জার্মান নারীদের মাঝে জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া ও গর্ভপাতের সংখ্যাও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। অবস্থা এতটাই জটিল হয়ে দাঁড়ায় যে, ১৯৩৩ সালে দেশটির প্রতি হাজারে জন্মহার ছিলো মাত্র ১৪.৭%। এখন তাহলে এই জন্মহার বাড়াতে হবে। আর সেটাও যেনতেন মানুষের জন্ম হলে চলবে না, একেবারে একশভাগ খাঁটি ‘বিশুদ্ধ জার্মান’ দরকার। এমন অদ্ভুত চিন্তাভাবনা থেকেই ১৯৩৫ সালের ১২ ডিসেম্বর জার্মানিতে যাত্রা শুরু…

Read More