নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার এক রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক। শনিবার (০৩ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টের পাঁচতলার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার বেশকিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তবিদুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রয়্যাল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে ঘিরে রেখেছেন বেশ কয়েকজন। তারা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একজন নারীকে নিয়ে ওই রিসোর্টে অবস্থান করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে মামুনুল হক তাদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওই নারীকে তিনি দুই বছর আগে বিয়ে করেছেন। তাকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছেন। তবে তিনি যে এখানে এসেছেন, সেটি হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা জানেন না।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদেও মামুনুল হক দাবি করেছেন, অবসরকালীন সময় কাটাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাকে তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, মামুনুল হক সকালে রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষটিতে উঠেন। দুপুর থেকেই এলাকায় চাউর হয় মামুনুল হক এক নারীসহ রিসোর্টে অবস্থান করছেন। এই খবরে এলাকার লোকজন রিসোর্টটি ঘেরাও করে।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আগামী রোববারের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করা না হলে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী পিপলস পার্টি আয়োজিত ‘ইসলামের নামে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন।
আলোচনা সভায় মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন বলেন, পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, অযথা জ্বালাও-পোড়াও করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলামের স্বার্থে বা ইসলামিক কোনো দাবি আদায়ের ক্ষেত্রেও ইসলামের প্রকৃত দৃষ্টিভঙ্গি এবং শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত। এক্ষেত্রে দেশে ইসলামী ধর্মীয় দলগুলোকে আরও সচেতন হওয়া দরকার।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৯১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগীতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগীতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
[wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ