মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুরে সরকারি গাছ কাটায় ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম মানিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে তাকে জরিমানা করা হয়। মানিক জেলা ছাত্রলীগের উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে।
মহম্মদপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানান, মানিক ও তার লোকজন বেশ কিছুদিন ধরে বিনোদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে সরকারি মালিকানাধীন মেহগনি গাছ অবৈধভাবে কেটে আসছিল। সোমবার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যরা তাকে গাছ কাটতে বাধা দেন। এতে মানিক উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন ও হুমকি দেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা ছয়টি মেহেগনি গাছের ৫৫টি অংশ (লগ) জব্দ করেন। অবৈধভাবে গাছ কাটা ও হুমকি দেওয়ায় তাকে ১০ হাজার টাকা জমিমানা করা হয়েছে।
মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মুক্তা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো কিছুতেই থামছে না ছাত্রলীগ। ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জুয়া, চাঁদাবাজি, জমি দখল, নারী নির্যাতন, নির্মাণকাজ থেকে কমিশন দাবিসহ নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ এ সংগঠনের র বিরুদ্ধে। ছাত্রদের দ্বারা গঠিত এই রাজনৈতিক সংগঠনটি এখন এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে রুপ নিয়েছে। ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে আতঙ্কে আছে দেশবাসী। তারা মনে করেন, ছাত্রলীগ দেশের প্রচলিত আইনের উর্ধে চলে গেছেন যার ফলে কোনো জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন।
ছাত্রলীগের এই আইনের উর্ধে চলে যাওয়ার পেছনে অবশ্য রাজনৈতিক নেতাদের কুৎসিত হাতের ভূমিকা উল্লেখ করতে চান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, ছাত্রলীগ সংগঠনটির ছাত্রদের ধীরে ধীরে উগ্র এবং একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে রুপদানের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের অনৈতিক মদদ ও উস্কানি। বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ছাত্রদের ব্যবহার করে ফায়দা নিতে গিয়ে ছাত্রলীগকে এমনি এক সংগঠনে পরিণত করেছেন যাদের লাগাম টেনে ধরা এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দেশের অসুস্থ রাজনীতিকে দায় দিতে চান সংশ্লিষ্টরা।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৩৩৯
আপনার মতামত জানানঃ