গ্রাহকের তথ্য চুরির অভিযোগে ফেসবুক ও মাইক্রোসফটের তৈরি জুম, স্কাইপে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম আরটি এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত রোস্টেক কোম্পানির কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশেষ করে প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে জড়িত কোনও ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জুম, স্কাইপে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রোস্টেকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোস্টেকের অধীনে একশ’র বেশি কোম্পানি রয়ছে। এসব প্রতিষ্ঠান বিমান, ট্যাঙ্ক, সমরাস্ত্র এবং রেডিও প্রযুক্তি থেকে শুরু করে যানবাহনও তৈরি করে থাকে। এরমধ্যে কালাশনিকভ কনসার্ন অস্ত্র তৈরির জন্য সারাবিশ্বে জনপ্রিয়। রোস্টেকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারে যেকোনো বিদেশি মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ঘরে বসে কাজ করছেন অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা। এজন্য বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। রাশিয়ার তার ব্যতিক্রম নয়।
রুশ গণমাধ্যম আরবিকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়ে, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতিমালা পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মেসেজিং অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিভিন্ন রুশ প্রতিষ্ঠান।
এদিকে রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশনের প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ বলেছেন, তার দেশের কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার চুক্তি বাতিলের বিষয়ে তুরস্কের ওপর আমেরিকার যে চাপ রয়েছে তার কাছে নতিস্বীকার করবে না আঙ্করা।
মার্কিন নতুন প্রশাসন যখন রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে তুরস্ককে হুঁশিয়ার করছে তখন গতকাল শুক্রবার শীর্ষ পর্যায়ের রুশ কর্মকর্তা এ আশা প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দেশের কাছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করার জন্য আমেরিকা সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে তুরস্কের সাথে তাদের সমস্যা রয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এটি তাদের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। আমি বিশ্বাস করি আমরা এগিয়ে যেতে পারব।”
এর এক দিন আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু বলেছেন, তার দেশের জন্য আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দরকার এবং সেগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৮১৪
আপনার মতামত জানানঃ