ফ্রিজে গো-মাংস রাখার অভিযোগ। পুলিশের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত মান্দলায়। মধ্য প্রদেশে প্রকাশ্যে মাছ-মাংস, ডিম বিক্রি নিষিদ্ধ।
পাশাপাশি ২০১২ সালেই গো-হত্যা প্রতিরোধ আইন কঠোর করা হয়েছে রাজ্যে। গরুর মাংস কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। যদি কেউ গো-হত্যায় অভিযুক্ত হয়, তবে ৭ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল নইনপুরের ভাইওয়াহি এলাকায় বিপুল সংখ্যক গরু এনে রাখা ছিল কুরবানির জন্য। এই খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালায়। উদ্ধার করা হয় ১৫০টিরও বেশি গরু।
১১টি বাড়িই সরকারি জমির উপরে তৈরি ছিল। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় গরুর চামড়া ও হাড়গোড়। স্থানীয় সরকারি পশুচিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে, উদ্ধারকৃত মাংস গরুর। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য হায়দ্রাবাদে দ্বিতীয়বার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ১০ জন পলাতক। রাজ্যে বেআইনিভাবে গো-মাংস বিক্রি রুখতেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এসপি সাকলেচা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গরু এবং গরুর মাংস উদ্ধারের পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস রয়েছে এবং বাকিদের পরিচয় খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশিষ্টরা বলছেন, বিজেপি শাসিত দেশটিতে ধর্মীয় নির্যাতনের ভয়াবহতা বেড়েছে। সবসময় আতঙ্কে থাকে সংখ্যালঘুরা। প্রায় প্রতিদিনই দেশটির কোথাও না কোথাও সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই দৃশ্য দেখা যায়। দেশটিতে সংখ্যালঘুরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের উত্তাল পরিস্থিতিতে ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি আরও উত্তেজিত করে তুলেছে। আর এসবের দায় বিজেপি সরকারের ঘাড়েই দিতে চান বিশিষ্টরা।
আপনার মতামত জানানঃ