আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন প্রসিকিউটর কারিম খান।
এই পরিস্থিতিতে পরোয়ানা জারি হলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ের সরকার। এ খবর দিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
এতে বলা হয়েছে, নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে আইসিসির পরোয়ানা জারি হলেই নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে ‘বাধ্য’ তারা। এছাড়া ইসরইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকেও গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে নরওয়ে।
এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে বলেছেন, হেগ ট্রাইব্যুনালে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে এবং তারা নরওয়েতে আসলে তাদের গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে তার দেশ।
নরওয়ের একটি অনলাইন সংবাদপত্র বলেছে, নেতানিয়াহু নরওয়ে সফরে আসলে তাকে (গ্রেপ্তার করে) প্রত্যর্পণ বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পনের ঝুঁকি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুরোধ সত্ত্বেও মার্কিন কংগ্রেসে আমন্ত্রিত হতে যাচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রসিকিউটর কারিম খান গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগে আইসিসিতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এরমধ্যেই নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে আমন্ত্রণ জানানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। এতে আরেকবার ইসরাইলকে পূর্ণ সমর্থনের দৃশ্যপট আঁকলো মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন এখনও আমন্ত্রন পত্র পাঠানো হয়নি। ডেমোক্র্যাটিক নেতা চাক শুমারের যৌথ অধিবেশনে আমন্ত্রণপত্রে স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছেন জনসন। তবে শুমার যদি স্বাক্ষর নাও করেন নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে আমন্ত্রণ জানানো থেমে থাকবে না। এমনটিই বলেছেন কংগ্রেস নেতা জনসন।
উল্লেখ্য, বিদেশী নেতাদের কংগ্রেসে যৌথ সভায় ভাষণ দেয়া একটি বিরল সম্মাননা। যা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর নেতাদের জন্যই সংরক্ষিত। নেতানিয়াহু এর আগে ২০১৫ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছিলেন।
আপনার মতামত জানানঃ