মানুষকে মহাকাশে পাঠানো কখনোই সহজ কাজ ছিল না। প্রায় ৫২ বছর আগে, চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এখন আবার চাঁদে মানব মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রমের পর চীন তার মহাকাশচারীদের নিজস্ব নির্মিত মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীরাও মহাকাশে গিয়েছে। মহাকাশে এখনও পর্যন্ত বহু মহাকাশচারী প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু কখনো কি মনে এমন প্রশ্ন এসেছে, চাঁদ, মঙ্গল বা মহাকাশের কোথাও কোনো নভোচারী মারা গেলে তার শরীরের কী হয়?
দ্য কনভার্সেশন রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬০ বছর আগে শুরু হওয়া মহাকাশ মিশনে ২০ জন মহাকাশচারী প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জন মহাকাশচারী ১৯৮৬ এবং ২০০৩ সালে নাসার স্পেস শাটল ট্র্যাজেডিতে মারা গিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে ‘সয়ুজ ১১’ মিশনের সময় তিনজন মহাকাশচারী মারা যান। ১৯৬৭ সালে ‘অ্যাপোলো ১’ লঞ্চ প্যাডে আগুন লেগে আরো তিনজন মারা যান।
তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে মহাকাশে যাওয়ার পথে কোনো নভোচারীর মৃত্যু হলে বা মহাকাশ স্টেশনে হঠাৎ কারো মৃত্যু হলে তার শরীরের কী হবে? রিপোর্ট অনুযায়ী, এর জন্য নিয়মকানুন ইতোমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে।
এতে মহাকাশে থাকাকালীন যদি কেই প্রাণ হারায়, তাহলে তার দেহ পৃথিবীর একদম নিম্ন কক্ষপথে নামিয়ে এনে একটি ক্যাপসুলে রেখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে এটা এখনো পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। তবে ক্রুদের পৃথিবীতে ফিরে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
আপনার মতামত জানানঃ