মহাবিশ্বের উজ্জ্বলতম বস্তুর সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি মূলত কৃষ্ণগহরের শক্তিচালিত একটি ‘কোয়েসার’- অত্যন্ত দূরবর্তী মহাকাশীয় বস্তু যা বিপুল পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে। দূরবীক্ষণ যন্ত্রে একটি কোয়েসার দেখতে নক্ষত্রের মতো হলেও এটি থেকে বিপুল পরিমাণ রেডিও তরঙ্গ বিকিরিত হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাবিশ্বের অনেক দূরে অবস্থিত এই কোয়েসার খালি চোখে দেখা যায় না। এটি সূর্যের চেয়ে ৫০০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি উজ্জ্বল। আর একে শক্তি দেয় যে ব্ল্যাক হোল, তা সূর্যের চেয়েও ১ হাজার ৭০০ কোটি গুণ বড়।
কোয়েসারটির প্রথম খোঁজ পান অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি থেকে যে আলো নির্গত হয়, তা পৃথিবীতে পৌঁছতে ১ হাজার ২০০ কোটি বছরের বেশি সময় লাগে। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) বিজ্ঞানীরা তাদের ২ দশমিক ৩ মিটার টেলিস্কোপ ব্যবহার করে প্রথম এর সন্ধান পান। সোমবার ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে তাদের গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান উলফ ‘টাইম ম্যাগাজিন’কে বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি তা হলো, কোয়েসারটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর স্থান। গবেষক দলটির মতে, কোয়েসারটি দিনে প্রায় একটি ও বছরে ৩৭০টি সূর্যের জায়গা গিলে খাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক প্রিয়মভাদা নাটরাজন বলেন, এই কোয়েসারের রোমাঞ্চকর বিষয় হলো, এটি দৃষ্টিসীমার খুব কাছেই লুকিয়ে ছিল। তবে এর আগে ভুলবশত একে একটি নক্ষত্র হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছিল।
কোয়েসারটির অবস্থান এক হাজার দুইশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। পাশাপাশি মহাবিশ্বের প্রাথমিক দিনগুলোতেও এর অস্তিত্ব ছিল। একটি আলোকর্ষের দূরত্ব মূলত ৯ লাখ ৩৩ হাজার কোটি কিলোমিটার।
আপনার মতামত জানানঃ