মামুন আব্দুল্লাহ
পৃথিবীর স্থায়ী মহামারী হ’ল ধর্ষণ। সব মহামারী পৃথিবী থেকে চিরস্থায়ী রূপে বিদায় নিতে পারে না। এর কোন প্রতিষেধকও নেই। একটি কেস স্টাডি আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণ শুরু করা যেতে পারে। পারভেজ গাজীপুরের শ্রীপুরে বসবাস করে। এলাকার ছোটখাটো চুরিচামারি থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি, খুন খারাবি সবই করত। ২০১৮ সালে তার বয়স যখন ১৮ তখন এলাকার নীলিমা নামের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পুলিশ সেই বার তাকে গ্রেফতার করলেও আদালতে বয়স বিবেচনায় জামিন পেয়ে যায়। জামিন পাওয়ার পর নীলিমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। নীলিমার বাবা কাজিম উদ্দিন ছদ্মনামে পারভেজের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। জামিনে থাকা অবস্থাতেই শ্রীপুরের প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী দুই কন্যা ও এক বাক-প্রতিবন্ধী ছেলেকে ঘরে ঢুকে প্রথমে ধর্ষণ এরপর ধারালো ছুরি দ্বারা হত্যা করে। পুলিশ পারভেজকে গ্রেফতার করলে তার দেওয়া তথ্যমতে পারভেজের ঘর থেকে রক্তমাখা কাপড়, মাটির নিচে পুতে রাখা মোবাইল ফোন, এছাড়া একটি পায়জামার পকেট থেকে তিনটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করে।
এখানে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হ’ল ধর্ষণের পর হত্যার মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। ধর্ষকের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও ধর্ষণের পর খুন এবং খুনি ধর্ষকের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দুইটি আলাদা জিনিস। আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা ধর্ষকরা সাময়িক যৌন উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে অ-পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে, যৌন শিক্ষার অভাবের কারণে বা পর্ন আসক্তির কারণে ধর্ষণে আগ্রহ বেড়েছে, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজন বা বখাটে ছেলেরা কিংবা অশিক্ষিত লোকজন ধর্ষণের মতো অপরাধ করে বসে, মেয়েদের পোশাক ও চলাফেরার কারণে সমাজে ধর্ষণ বাড়ে, কখনো কখনো কোন বিশেষ ধর্ম গোষ্ঠীর নারীদের টার্গেট করা হয়। বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ধর্ষক ও সিরিয়াল কিলারদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মাঝে পর্নগ্রাফী ভিডিও, ম্যাগাজিন, পত্র-পত্রিকা ইত্যাদি খুঁজে পেয়েছে। তবে গবেষকরা পর্নগ্রাফীকে ক্লিন চিট দিয়ে রেখেছেন। কিছু গবেষকরা গবেষণা করে ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফির মাঝে কোন সম্পর্ক পান নাই।
রজত মিত্রের গবেষণায় উঠে এসেছে, ধর্ষকরা সাধারণত দীর্ঘ পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা করেই ধর্ষণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে টার্গেটকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে। ধর্ষণের শিকার হতে পারেন ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, হিন্দু-মুসলিম, শিশু-বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ, পোশাক সমৃদ্ধ-পোশাকহীন সকলেই। ধর্ষণের কারণ যৌন শিক্ষার অভাব নয় বরং সচেতনতা। ইভটিজার-স্টকার সকলকে আগেই চিহ্নিত করে কাউন্সিলিং করানো ধর্ষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধর্ষক কখনো বিশেষ চরিত্রের লোক হয় না। তাকে শক্তিশালী হতেই হবে, সন্ত্রাসী হতেই হবে, বখাটে হতেই হবে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। একজন গোবেচারা লোকও ধর্ষক হয়ে উঠতে পারে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে পোশাক কোন ভূমিকা রাখে না। সিনেমার নায়িকা থেকে শুরু করে মাদ্রাসায় হাফেজী পড়ছে এমন নারী এমনকি ছেলে শিশুরাও ধর্ষণের শিকার হয়।
ধর্ষকের মনস্তত্ব কেমন? ধর্ষকের সাইকোলজিক্যাল অবস্থা যেমনই হোক না কেন তা কখনোই অন্য আরেকজন মানুষকে ধর্ষণ করতে বাধ্য অথবা প্রলুব্ধ করে না। যিনি ধর্ষণের শিকার হোন কেবল তিনিই জানেন তিনি কী পরিমাণ নির্যাতন, অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন। ভিক্টিম এক পর্যায়ে নিজেকে ঘৃণা করতে শুরু করেন, নিজেকে দোষারোপ করতে শুরু করেন, অনিয়ন্ত্রিত ক্ষোভ তাকে পোস্ট-ট্রমাটিক সিন্ড্রোম ডিজঅর্ডারের মতন জটিল মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে যায়।পোস্ট ট্রমাটিক ডিজঅর্ডার ভিক্টিমকে এক পর্যায়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। কিন্তু ধর্ষকরা ধর্ষণ কেন করে? এটি একটি কমপ্লিকেটেড প্রশ্ন, যার উত্তর রয়েছে বহু। ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা যেকেউ করতে পারে। এর মানে এই নয় যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আপনি র্যান্ডম একজন ব্যক্তিকে দেখিয়ে বলতে পারেন না ঐ লোক ধর্ষক মানসিকতার। কোন নির্দিষ্ট মানসিকতার মানুষ ধর্ষণ করে না।
আমেরিকার ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ড. স্যামুয়েল ডি স্মিথহাইমেন জেলখানায় ধর্ষণ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খাটা ৫০ জন কয়েদীর সাথে আলাপ করে ধর্ষণকারীদের মেন্টাল বিহ্যাভিয়ার কেমন তা একটি গবেষণা পত্রে প্রকাশ করেন। তার গবেষণার উপর ভিত্তি করে তিনি চারটি এমন ইস্যু চিহ্নিত করেন যা প্রতিটি ধর্ষকের মাঝে পাওয়া গেছে। ঐ সমস্ত অপরাধীদের সমৃদ্ধ অতীত, সোশাল স্ট্যাটাস, এবং অবশ্যই শক্তিশালী ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্ব ছিল। তিনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যখন ক্রিমিনাল অফেন্সের ব্যাপারে সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তখন তাদের প্রতিক্রিয়া ছিল প্রায় একই রকম। ধর্ষণের মোটিভ বের করা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। গবেষণায় যে চারটি কমন বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে তা নিন্মরূপঃ
Lack of Empathy
কোন ধর্ষকের ভেতরেই সহানুভূতি বা সহমর্মিতা ছিল না। তারা ধর্ষণকে কোন বড় অপরাধ হিসেবেও বিবেচনা করে না। ধর্ষণের শিকার হওয়া নরী যতটা গিল্টি অনুভব করে, ধর্ষক তার সিকি ভাগও করে না। ভিক্টিম তার এই অপকর্মের কারণে মানসিক ভাবে কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে সে এসব ভাবে না। বরং ধর্ষক ভাবে সে ভিক্টিমকে আনন্দ দিয়েছে, পুলক দিয়েছে, মজা দিয়েছে, যৌন কামনা পূরণ করেছে।
Narcissism
নার্সিসিজিমের সংজ্ঞা কী এর উল্লেখ অপ্রয়োজনীয়।নার্সিসিজমে আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু নিজেকে নিয়েই মেতে থাকে, নিজের প্রশংসা শুনতে চায়, সে পৃথিবীর সমস্ত কিছু তাকে কেন্দ্র করে ঘোরাতে চায়। সকল ধর্ষকদের মাঝে নার্সিসিজমের বৈশিষ্ট্য পাওয়া গিয়েছিল।
Feelings of Hostility towards Women
তৃতীয়ত সকল ধর্ষকদের মাঝে নারীর প্রতি ও নারীত্বের প্রতি সম্মানের অভাব লক্ষ্য করা গেছে। ধর্ষকরা প্রতিটি নারীকে একটি সেক্স অবজেক্ট হিসেবেই দেখে। তাদের ধারণা পৃথিবীব্যপী যত নারী রয়েছে সবার কাজ হ’ল পুরুষের মনোরঞ্জন করা, যৌন বাসনা পূরণ করা।
Toxic Masculinity
টক্সিক মাসকুলিনিটি হ’ল পুরুষত্বের অহংকার। যেহেতু ধর্ষক একজন পুরুষ এবং নারীর উপর পূর্ণ অধিকার তার রয়েছে তাই সে সেক্স করেছে, এতে সমস্যাটা কোথায়? ধর্ষক ভাবে ধর্ষণ করা তার ব্যক্তিস্বাধীনতা। ধর্ষক ধরেই নেয়, সে একজন পুরুষ ভিক্টিম একজন নারী। নারী তার সামনে এসেছে যৌন বাসনা পূরণের লক্ষ্যে, তাকে মনোরঞ্জনের লক্ষ্যে, তার সেবার লক্ষ্যে। অতএব নারীকে দিয়ে এই কাজটিই সে করবে এতে অন্যায়ের কিছু নেই, মন্দের কিছু নেই, এটি তার অধিকার।
ধর্ষকের প্রকারভেদ রয়েছে বহু। সুযোগ সন্ধানী ধর্ষকেরা অনেক সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা সুযোগ পেলে আত্মনিয়ন্ত্রণ হীনতার অজুহাতে অনেক সময় ভিক্টিমের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে বিষয়টিকে এমনভাবে জাহির করে যেন ধর্ষণটা করে ফেলেছে ঠিকই কিন্তু ধর্ষণের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা তার ছিল না। ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ভাবে ঘটে গেছে। আরেক ধরণের ধর্ষক থাকে যারা হয় স্যাডিস্ট। ভিক্টিমকে নির্যাতন নিপীড়ন ও অনেক ক্ষেত্রে হত্যা তাদের আনন্দ দেয়। প্রতি-হিংসাপরায়ণ ধর্ষকেরা রাগী ও উন্মাদ প্রকৃতির হয়। তারা নারীর উপরে হামলে পড়ে কারণ তার বিশ্বাস সে অতীতে নারীর দ্বারা অপমানিত, আঘাতপ্রাপ্ত, প্রত্যাখ্যাত, ও অন্যায় আচরণের শিকার হয়েছে। ধর্ষকরা তাদের ধর্ষণকে প্রায়ই অস্বীকার করে, নিজের অপরাধের পক্ষে বিভিন্ন সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যে সমস্ত পুরুষেরা ধর্ষণকে স্বীকার করে, তারা অনেক সময় ধর্ষণের বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধান করে নিজের অপরাধের পক্ষে সাফাই গায়।
ধর্ষণের পর হত্যার মাত্র হাতে গোণা কয়েকটি রিসার্চ করা হয়েছে। কনটেম্পোরারি ক্রিমিনাল জাস্টিস একটি জার্নাল প্রকাশ করে সেটি বেশ বিখ্যাত। ’৮০ দশকে আমেরিকান ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও এ ব্যাপারে একটি গবেষণা করেছে। উত্তর আমেরিকায় ঘটে যাওয়া ৩৬ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষণা করে এটি প্রকাশ করে। তাদের মতে, এই অপরাধগুলো অর্গানাইজ অথবা ডিজঅর্গানাইজ উভয়ই হতে পারে। অর্গানাইজড হত্যাকাণ্ডগুলো হয় পূর্ব পরিকল্পিত। এখানে ভিক্টিমকে টার্গেট করে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। কিন্তু ডিজঅর্গানাইজ হত্যাকাণ্ডগুলো পূর্বপরিকল্পিত নাও হতে পারে। বেশিরভাগ সময় অপরাধী শিকারের আশায় ওঁত পেতে থাকে। এর শিকার হতে পারে যেকেউ। অপরাধগুলো হয় অপরিপক্ব, কাঁচা হাতের। অনেকক্ষেত্রে, অপরাধী মানসিক বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত থাকতে পারে। কিন্তু ধর্ষণ ইচ্ছা, ধর্ষকাম অথবা ধর্ষণের পর হত্যা কোন অবস্থাতেই মানসিক ও আচরণগত সমস্যা না। এটি একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। ধর্ষকের মাঝে বিভিন্ন ধরণের এক বা একাধিক মানসিক সমস্যা থাকলেও সেই সমস্যা কখনোই একজন ব্যক্তিকে ধর্ষণ করতে অনুপ্রাণিত অথবা বাধ্য করে না। যারা ধর্ষণ করে তারা যে ধরণের মানসিক অবস্থাতেই থাকুক না কেন ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। এবং এটিকে অপরাধ বিবেচনা করেই মোকদ্দমা চালানো হয়।
হিকি এবং হোমসের গবেষণায় উঠে এসেছে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক মতাদর্শ, অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মানসিক সমস্যা ও অর্থিক নীতির মতো বিষয়গুলোও ভূমিকা রাখে। ধরা যাক ধর্ষক কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের, এক্ষেত্রে সে ধর্ষণের ক্ষেত্রে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার করে। বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা যতটা না যৌন আকাঙ্ক্ষার কারণে সংঘটিত হয় তার থেকে বেশি ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের কারণে ঘটে। গবেষকরা এক্ষেত্রে দুই ধরণের ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন। ‘পাওয়ার রেপ’ যেখানে অপরাধীর উদ্দেশ্য থাকে ভিক্টিমকে নিয়ন্ত্রণ করা, ও ‘অ্যাংগার রেপ’ যেখানে অপরাধীর উদ্দেশ্য থাকে ভিক্টিমকে শাস্তি দেওয়া। গবেষণায় উঠে এসেছে এই দুই ধরণের ধর্ষকই সিরিয়াল কিলারে পরিণত হতে পারে।
কান্টার এবং হেরিটেজের গবেষণায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে। তাদের মতে পাঁচ ধরণের সেক্সুয়াল হোমিসাইড হতে পারে। ধর্ষকের সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গতা’ থেকে ভিক্টিম নির্যাতনের শিকার হতে পারে, যা দেখা গেছে অতি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কলাবাগানের ছাত্রীর যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে রক্তক্ষরণের মাধ্যমে নিহত হওয়ার ঘটনায়। ‘যৌন ক্রিয়া কর্ম’ যখন ক্রুসিয়াল পর্যায়ে চলে যায় তখন ভিক্টিম মারা যেতে পারে।‘ভায়োলেন্স’ এর ক্ষেত্রেও ভিক্টিম নিহত হতে পারে। আবার ভিক্টিমকে যখন ‘বস্তু’ বা শুধুই ‘সেক্স অবজেক্ট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় তখন ভিক্টিম নিহত হতে পারে। এবং পরিশেষে অপরাধী যদি স্বাভাবিক যৌনাচার না করে ‘অস্বাভাবিক যৌন আচরণ’ করে তখন ভিক্টিম নিহত হতে পারে। কান্টার এবং হেরিটেজের এই গবেষণা পূর্বের সকল গবেষণা থেকে আলাদা ও সমৃদ্ধ ছিল। আমাদের সমাজে ধর্ষণের পর যে সমস্ত হত্যাকাণ্ডগুলো দেখা যায় সবই উপরের কোন না কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটে।
মনে রাখতে হবে সকল পুরুষ ধর্ষক না। প্রতিটি পুরুষকে ধর্ষক খেতাব দেওয়াটা আরেকটি টক্সিক মাসকুলিনিটি চরিত্রের হয়ে যায়। পুরুষ মানুষ আজ নয়তো কাল কারও না কারও ধর্ষণ ঠিকই করবে এটা ভাবাটাও পুরোপুরি ভুল হবে। শুধুমাত্র ধর্ষকরাই ধর্ষক হয়। তবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভালো ও মন্দ আচরণের জ্ঞান রাখতে হবে। বাংলাদেশের মতন সমাজ ব্যবস্থায় উপরের ড. স্যামুয়েল ডি স্মিথহাইমেনের নির্দেশিত চারটি বৈশিষ্ট্যের সবকটিই একজন সাধারণ মানুষের মাঝে এক বা একাধিক দেখা যায়। এটা রীতিমতো আতঙ্কের ব্যাপার। এ থেকেই বাংলাদেশে ধর্ষণের হার অনুমান করা যায়। সংবাদ মাধ্যমে শুধু সেই সকল ধর্ষণ ঘটনা সামনে আসে যা কোন ক্রমেই সমাজে লুকিয়ে রাখা যায় না। আমরা ধর্ষণের যে নিউজগুলো পাই তা সামগ্রিক ধর্ষণের অংশ মাত্র।
আপনার মতামত জানানঃ