
অনেক সিরিয়াল কিলারদের গল্পকেও হার মানানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন মার্কিন নাগরিক ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। ৩০ বছর ধরে কমপক্ষে ৭০ জন নারীকে খুন করেছেন তিনি। আর এই তথ্য ফাঁস করেছেন তারই মেয়ে লুসি স্টুডিও। সিএনএন, নিউজউইক্সহ অনেক গণমাধ্যমেই প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া শহরে ঘটেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান লুসির বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টুডি।
মেয়ে লুসির দাবি, বাবার কথামতো ঠেলাগাড়ি করে মরদেহগুলোকে একটি ১০০ ফুট গভীর কুয়া এবং একটি পাহাড়ে নিয়ে যেতেন তিনি। এই কাজে তাকে সাহায্য করতেন ভাই-বোনরা। কাপড় ও গয়না পরা অবস্থাতেই বেশিরভাগ নারীর মরদেহ কবর দিতেন ডোনাল্ড।
অধিকাংশ মরদেহ ফেলা হতো কুয়ায়। এরপর ভাই-বোনদের সঙ্গে সেগুলোর উপর মাটি ফেলতেন লুসি।
অধিকাংশ মরদেহ ফেলা হতো কুয়ায়। এরপর ভাই-বোনদের সঙ্গে সেগুলোর উপর মাটি ফেলতেন লুসি।
শুধু তাই নয়, ট্রফি হিসেবে নিজের শিকারের একটি দাঁত বাড়িতে সাজিয়ে রাখতেন ডোনাল্ড। যদিও স্থানীয় পুলিশ এই ব্যাপারে এখনও কিছুই জানায়নি।
পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেছেন, ‘আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটিতে সত্যিই প্রচুর মৃতদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে। আগামী দিনে আরও বিশদে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে, সেকথাও জানিয়েছেন এইস্ট্রোপ।’
আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, ডোনাল্ড স্টুডি হত্যার পূর্বে নারীদের ধর্ষণ করেছিল। তার শিকার নারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল যৌনকর্মী বা ট্রানজিয়েন্ট, এদেরকে নেব্রাস্কার ওমাহা থেকে তুলে আনা হতো।
লুসি স্টুডি বলেন, ‘আমি চাই এই জায়গাগুলো খনন করা হোক এবং জনসাধারণের জন্য প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হোক। পাশাপাশি খুন হওয়া প্রতিটা নারীকে যেন সঠিকভাবে কবর দেওয়া হয়। পরবর্তী পদক্ষেপে যেন সোনার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের দেহাবশেষ অনুসন্ধানের জন্য সাইটগুলো খনন করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডোনাল্ড হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’।
দেশটির দুই কুখ্যাত ‘সিরিয়াল কিলার’ হলেন জেফরি ডাহমার ও টেড বান্ডি। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে সিরিয়াল কিলার ও নরখাদক জেফরি ১৭ জনকে হত্যা করেন। আর টেড ৩৬ জনকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হয়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৮৩০
আপনার মতামত জানানঃ