ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক এমদাদ উল্যাহ (২৭) দাগনভূঁঞা উপজেলার এয়াকুবপুর ইউনিয়নের একটি আবাসিক মাদ্রাসার শিক্ষক। সোমবার বিকেলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ তাকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
আটককৃত এমদাদ উল্যাহ রশিদপুর মদিনাতুল উলুম মাহমদিয়া সুলতানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামের মাওলানা আকবর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী (১৬) মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষকও মাদ্রাসায় শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত একটি ঘরে থাকতেন। গত কয়েক মাসে নানা কৌশলে ওই শিক্ষক উল্লেখিত ছাত্রকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন।
দুদিন আগে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে আর মাদ্রাসায় ফিরতে অস্বীকৃতি জানালে পরিবারের সন্দেহ হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রকে মাদ্রাসায় যেতে না চাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে শিক্ষককর্তৃক জোরপূর্বক ধর্ষণের কথা জানতে পারেন অভিভাবকরা। ছাত্রের অভিভাবকরা গতকাল মাদ্রাসায় কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থেকে খবর পেয়ে দাগনভূঁঞা থানা পুলিশ মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক এমদাদ উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দাগনভূঁঞা থানায় মামলা করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানোসহ সবধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
এসডব্লিউ/নসদ/২২১৫
ছড়িয়ে দিনঃ
আপনার মতামত জানানঃ
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনার মতামত জানানঃ