চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর থেকে সারাবছর লুকিয়ে-পালিয়ে অথবা গা-ঢাকা দিয়ে জীবনবাজি রেখে সাংবাদিকতা করছেন মিয়ানমারের মুক্তকণ্ঠী সাংবাদিকরা। জান্তার ভয়ে পালিয়ে জঙ্গলে আসা এক সাংবাদিক বলছেন, এখানেই ভালো আছি। পিপাসায় পান করেন নদীর পানি, ক্ষুধা মেটাতে নির্ভর করেন জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ফলমূল।
‘গণতন্ত্র খেঁকো’ বর্বর জান্তা সরকারের বড় বাধা মুক্তবুদ্ধি ও বাকস্বাধীনতা। লুটপাট, গুম-হত্যা, ধর্ষণের খবর যেন কেউ জানতে না পারে, এ কারণেই সাংবাদিকদের ওপর মরিয়া হয়ে উঠেছে সেনারা। একমাত্র চক্ষুশূল রাজনৈতিক বিরোধী ও গণমাধ্যম।
উপরন্তু গণহারে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। অভ্যুত্থান, বিরোধীদের ওপর চড়াও হওয়ার খবর বিশ্বকে জানতে দিতে চায় না জান্তা। আর জান্তার গ্রেপ্তার নির্যাতন এড়াতেই পালিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আর দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিকরা।
ডেল্টা নিউজ এজেন্সির প্রধান সম্পাদক সোয়ে ইয়া রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বর্তমান অভাবের কারণে পালিয়ে বেড়ানো সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার হওয়া এবং না হওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ, পালিয়ে থেকেও স্বস্তিতে নেই তারা।
২০২১ সাল ছিল মিয়ানমারের সাংবাদিক নির্যাতনের বছর। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হত্যা, হুমকি, ধরপাকড় আর নির্যাতনের মুখে দায়িত্ব পালন করেছেন স্থানীয় ও বিদেশি সাংবাদিকরা। সামরিক অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রতিবাদ বিক্ষোভ আর গণহত্যার সংবাদ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে প্রাণবাজি রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
জান্তার নির্যাতনে জেলেই প্রাণ হারিয়েছেন এক সাংবাদিক। ৮৭ জন সাংবাদিককে আটকের ঘটনা ঘটেছে। এদের অধিকাংশ এখনও কারাগারে রয়েছেন। পাশাপাশি তারা ‘গলা টিপে’ হত্যা করেছে ৪০টি অনলাইন সংবাদমাধ্যম। ৪৯টি দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে নির্যাতন আর ধরপাকড়ের জন্য টার্গেট করেছে তারা।
১০ ডিসেম্বের ইয়াঙ্গুনে অভ্যুত্থানবিরোধী এক মৌনবিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার হন ফ্রিল্যান্স ফটো সাংবাদিক সোয়ে নাইং। তার ঠিক ৪ দিন পর, ১৪ ডিসেম্বর সেনা কাস্টডিতেই মারা যান কো সোয়ে নাইং। এটাই জান্তা সরকারের হেফাজতে প্রথম সাংবাদিক হত্যা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) বলেছে, ‘এ বছর বিশ্বে সাংবাদিকদের জেল দেওয়ার দিক দিয়ে সবচেয়ে খারাপ দেশের মধ্যে মিয়ানমার দ্বিতীয়। প্রথমে রয়েছে চীন। ডিসেম্বরেই মিয়ানমারে জেল দেওয়া হয়েছে ২৬ জনকে। মোট গ্রেপ্তার বা জেলে পাঠানোর চেয়ে বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
মিয়ানমার সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ জন সাংবাদিককে ৩০ জুনের আগে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আত্মগোপনে রয়েছেন আরও ২৬ জন সাংবাদিক। মিয়ানমারের স্থানীয় ম্যাগাজিন ‘ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার’র ব্যবস্থাপক সম্পাদক মার্কিন সাংবাদিক ড্যানি ফেনস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মার্চে। মুক্তি দেওয়া হয় নভেম্বরে।
মান্দালয়ের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘তারা প্রত্যেকের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়। সাংবাদিকরা বাইরে গিয়ে তাদের কাজ করতে পারেন না। কারণ আমাদের ফোনে সবসময় সংবাদের ছবি থাকে।’
তিনি আরও বলেন, আগে ‘প্রেস’ লেখা হেলমেট পরে বাইক চালাতেন। এখন ওই শব্দটি সবচেয়ে বিপজ্জনক।
সাংবাদিকদের কাজ করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোর অন্যতম এখন মিয়ানমার। ৮ই মার্চ সাংবাদিক নাথান মুয়াং এবং হান্থার নিয়েইন সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে তাদের অফিসে গিয়েছিলেন। তাদের ভয় ছিল সামরিক শাসকরা যেকোনো সময় ঘেরাও দিতে পারে তাদের কামায়ুত মিডিয়া হাউজে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সরঞ্জাম সেখান থেকে সরাতে চেয়েছিলেন তারা। এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন তারাই।
গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বর্তমান অভাবের কারণে পালিয়ে বেড়ানো সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার হওয়া এবং না হওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ, পালিয়ে থেকেও স্বস্তিতে নেই তারা।
মিয়ানমার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নাথান মুয়াং বলেন, আমাদের আশঙ্কা ছিল যে, সামরিক জান্তা সন্ধ্যা বা রাতে অফিস ঘেরাও করতে পারে। আমরা যদি আর ৩০ মিনিট সময় পেতাম তাহলে সেখান থেকে সরে যেতে পারতাম। অফিসে প্রবেশ করেই তারা কোনো কিছু বললো না। শুধু আমার নাম ও বয়স জানতে চাইল। ছবি তুললো। আমাদের চোখ বেঁধে ফেললো। নিয়ে গেল সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে। তা চালানো হলো ৩০ মিনিট। এরপরই আমাদের ওপর শুরু হলো নির্যাতন।
নাথান মুয়াং বলেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তার চোখ বেঁধে প্রথম তিন বা চারদিন বেদম প্রহার করে। এ সময়ে তাকে ঘুমাতে বা খেতে দেয়া হতো না। কিন্তু তিনি মার্কিন নাগরিক, এ পরিচয় প্রকাশ হওয়ার পর নির্যাতন কিছুটা কমে আসে। আটদিন পরে খুলে দেয়া হয় চোখের বাঁধন। তাকে পাঠানো হয় ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন জেলখানায়। সেখানে ৪৪ বছর বয়সী এই সাংবাদিক তিন মাস জেল খাটেন। তারপর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এই বড়দিনে ৪০ বছর পূর্ণ হয়েছে সাংবাদিক হান্থার নিয়েইনের। তিনি এখনও বন্দি আছেন। নাথান মুয়াং বলেন, হান্থার নিয়েইন তার ৪০তম জন্মদিন জেলখানায় কাটাচ্ছে এটা দেখে আমি বাস্তবেই এমন আচরণের ঘৃণা জানাই। এ বিষয়টি যেমন আমার জন্য, তেমনি তার পরিবারের জন্য খুবই বেদনার। তার ভাতিজার জন্ম হয়েছে এপ্রিলে। এখনও তার মুখ দেখতে পারেননি তিনি।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন ইয়াঙ্গুনভিত্তিক সাংবাদিক কেপ ডায়মন্ড।
তিনি বলেছেন, যেসব সাংবাদিক স্থানীয় মিডিয়ায় কন্ট্রিবিউট করেন, তারাই রয়েছেন অধিক বিপদের মুখে। কারণ তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করে না বাইরের বিশ্ব। কখনো তাদের নাম উল্লেখ করতে দেখি না। কিন্তু তাদের প্রশংসা করা উচিত।
কেপ ডায়মন্ড বলেন, আমরা মিয়ানমারে কখনোই মুক্ত সংবাদ মাধ্যম দেখিনি। তবে অবশ্যই আমাদের সামনে কিছুটা শিথিলতা এসেছিল। তাকে স্বাধীনতা বলা যায় না। তিনি আরো বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সুচির এনএলডি সরকারের অধীনেও অনেক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে।
সবচেয়ে ভাল উদাহরণ হলেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দু’জন সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কাইওয়া সোয়ে ও। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়ার কারণে তাদেরকে জেল দেয়া হয়েছিল। এর ফলে আন্তর্জাতিক রোষানলে পড়েন অং সান সুচি। কিন্তু তিনি মুসলিম সংখ্যালঘু গ্রুপটির বিরুদ্ধে সেনাদের দমনপীড়নের পক্ষেই সাফাই গান। এমনকি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সাংবাদিক ওয়া লোন এবং কাইওয়া সোয়ে ও’কে গ্রেপ্তারের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে অবস্থান নেন সুচি। বলেন, তাদেরকে সাংবাদিক হিসেবে জেল দেয়া হয়নি।
এ সময় তিনি আদালতের দেয়া রায় পড়তে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। ওই রায়ে এই দুই সাংবাদিককে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতকক্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাটকীয়ভাবে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং স্বীকার করেন এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সাজানো।
সাংবাদিক কেপ ডায়মন্ড বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের আগে থেকেই মিয়ানমারে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অবনমিত। স্পষ্টতই এখন আমাদের এক্ষেত্রে কোনো শিথিলতাও নেই।
সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আরেকটি সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডাস (আরএসএফ) বলেছে, সামরিক অভ্যুত্থান মিয়ানমারের সাংবাদিকদের জন্য অর্জিত অগ্রগতিকে ১০ বছর পিছনে নিয়ে গেছে।
বর্তমানে সেখানে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, জান্তা সরকার মিডিয়া এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের আলাদা করে দেখছে না। উপরন্তু কিছু সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে, নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। মার্চে মান্দালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের খবর কভার করতে গিয়েছিলেন ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের একজন রিপোর্টার। তাকে গুলি করা হয়েছে। ডিসেম্বরে আহত হয়েছেন দু’জন সাংবাদিক। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইয়াঙ্গুনে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ বিক্ষোভকারীদের ওপর একজন সেনা একটি ট্রাক উঠিয়ে দেয়। তাতে ৫ জন নিহত হন।
কেপ ডায়মন্ড বলেন, আপনি একজন সাংবাদিক নাকি প্রতিবাদকারী তার প্রতি তাদের কোনো তোয়াক্কা নেই। একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ কভার করতে গিয়ে তিনি নিজেও সামান্যর জন্য রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা কোনো ক্যামেরা বহন করতে পারেন না। কারণ, এতে তাদেরকে টার্গেট করা হয়। রাতের বেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তাদেরকে চেক করা হয় চেকপয়েন্টে।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একাধিক গণমাধ্যমের নিবন্ধন বাতিল করেছে, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিধিনিষেধ দিয়েছে, কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করেছে। এসবের মাধ্যমে সামরিক জান্তা সত্যকে চেপে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে নামে দেশটির সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর পর থেকেই সহিংস ঘটনা ঘটছে দেশটিতে। দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে অন্তত ১২শ জনের। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আটক করা হয়েছে বহু আন্দোলনকারীকে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সংঘাতপ্রবণ এলাকার বাইরে সংবাদকর্মীদের নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। অনেক দেশেই দুর্নীতি, পাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাংবাদিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। সংবাদ প্রকাশের কারণে চলতি বছর বিশ্বে ২৪ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন এবং বিভিন্ন দেশে কারাবন্দী আছেন ২৯৩ জন।
অনেক দেশেই দুর্নীতি, পাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন কিংবা পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। এছাড়া, অপহরণ, নির্যাতন, ডিজিটাল ও অন্যান্য মাধ্যমে গুজব রটানোসহ নানা হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে সাংবাদিকদের। নারী সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অনলাইন সহিংসতার মাত্রা বেশি বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সাংবাদিকরা আরও অগুনিত হুমকির মুখোমুখি হচ্ছেন। যেমন—অপহরণ, নির্যাতন ও গুম থেকে শুরু করে গুজব রটানো ও হয়রানি, বিশেষত ডিজিটাল মাধ্যমে, অনেক ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। নারী সাংবাদিকরা বিশেষত অনলাইন সহিংসতার ঝুঁকিতে বেশি।
তিনি বলেন, সমাজের ওপর সামগ্রিকভাবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপরাধের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। কারণ তারা তথ্যপ্রাপ্তির মাধ্যমে মানুষকে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেন। কোভিড-১৯ মহামারি এবং ভুল তথ্যের ছায়া মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে যে সঠিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সত্যিকার অর্থেই জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তথ্যপ্রাপ্তি যখন হুমকিতে পড়ে, তখন তা এমন বার্তা পাঠায়, যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনও রাষ্ট্র যদি নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করে, তবে সেখানে গণমাধ্যমের একশভাগ স্বাধীনতা থাকতেই হবে। যে গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে, সেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আবার সেই সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। জনসাধারণের কথাই উঠে আসে গণমাধ্যমে। তাই এই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত না করতে পারলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/২০৫২
আপনার মতামত জানানঃ