রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চীনা ভ্যাকসিন প্রস্তুকারক সংস্থা সিনোফার্মা সরকারের কাছে থেকে করোনা ভ্যাকসিন বাজারজাত করার অনুমতি চেয়েছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল চলছে।
সিনোফার্মার দাবি তাদের ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ সফল। যেখানে বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ সফলতার উপরে কোনো ভ্যাকসিন যায়নি, সেখানে চীনা সংস্থার দাবি ঘিরে জোর জল্পনা বৈজ্ঞানিক মহলে। আমেরিকার ফাইজার বা রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভের প্রস্তুকারকরা জানিয়েছে যে তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ সফল। তবে সেই গণ্ডিকে ছাড়িয়ে গেল চীন।
চীনা সংস্থা সিনোফার্মা জানায়, এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ মানুষের শরীরে করোনারোধক এই সুপার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে তাদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাস সংক্রমিত হননি বলে চীনের দাবি। কোভিড প্রতিষেধক হিসেবে এই সুপার ভ্যাক্সিনকে এবারে বাজারে আনতে অনুমোদন চেয়েছে চীনা সংস্থা।
এদিকে, ইতিমধ্যেই সিনোফার্মাকে এই সুপার ভ্যাকসিন সাধারণের উপর প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে চীন সরকার। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সেই সমস্ত শ্রমিক, ছাত্র ও কর্মীদের উপরে প্রয়োগ করা হয়, যারা অতিমারী শুরু হওয়ার পরে বিদেশ সফর করেছেন।
১০টি দেশে করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা জানা গেছে, ৬ নভেম্বর চীন থেকে ভিন্ন দেশে সফরকারী ৫৬,০০০ যাত্রীকে রওনা হওয়ার আগে সুপার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তৈরি সুপার ভ্যাকসিন বর্তমানে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের ১০টি দেশের ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপরে এই পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, চীনের আবিষ্কার করা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি বছরের শেষ দিকে বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাবে। সিনোফার্মার চেয়ারম্যান লিউ জিংজেন বলেছেন, ভ্যাকসিনটির জন্য এক হাজার ইয়েনেরও (১৪০ মার্কিন ডলার) কম খরচ হবে এবং ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ধাপে এ ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বড় শহরগুলোর শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের ভ্যাকসিনটি দেয়ার প্রয়োজন হবে, তবে খুব কম জনবসতিপূর্ণ গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারীদের তা প্রয়োজন হবে না। গুয়ামিং ডেইলিতে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষকেই এ ভ্যাকসিন সেবন করতে হবে না। ’
লিউ আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে দুটি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে সিনোফার্মা। বছরে ২২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাদের।
আপনার মতামত জানানঃ