আফগানিস্তানে আবার শুরু হলো তালিবানী আগ্রাসন। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দু’দশক ধরে মোতায়েন করা মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। এমনই ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিন মাস যেতে না যেতে রাষ্ট্রের দখল নিল তালিবান। এর আগে উনিশ শ’ ছিয়ানব্বই সাল থেকে দু’হাজার সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তারা, সেই ভয়াবহ দিনের পুনরুত্থানে ভীতসন্ত্রস্ত সাধারণ আফগান নাগরিকরা।
আফগানিস্তানে তালিবান প্রতিষ্ঠায় শুধু সেই রাষ্ট্রেই এর প্রভাব থেমে থাকেনি। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, এমনকি ভারতও এর প্রভাব থেকে বাদ যায়নি। বাংলাদেশে উগ্রপন্থিদের সঙ্গে তালিবানদের যোগাযোগ স্থাপন তো হয়েছিলই, মৌলবাদী রাজনীতির সঙ্গেও নিবিড় ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় তাদের। নব্বইয়ের দশকে তাদের মিছিলেই স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছিল— বাংলা নাকি আফগান হবে আর তারা নাকি সবাই তালিবান হবে! এই স্লোগান এখনো হচ্ছে। চলতি বছরেই তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী হেফাজতের মিছিলে এই স্লোগান শোনা যায়।
তাদের সেই স্লোগান যে ফাঁকা বুলি ছিল না, দিন যত গড়িয়েছে, বাংলাদেশে ততই তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে। এদেশ থেকে তথাকথিত মুজাহিদীনদের আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানদের পক্ষে যুদ্ধ করার ঘটনা তখনও শোনা গিয়েছিল এখনো শোনা গেছে।
এদিকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উগ্রবাদী কন্টেন্টের ছড়াছড়ি দেখে সহজেই আশঙ্কা জাগে, তালিবানের পুনরুত্থান বাংলাদেশের জন্য কতটা শঙ্কার?
অনলাইনে জিহাদী কন্টেন্টের ছড়াছড়ি
ঢাক ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৭ আগস্ট “জিহাদে যোগ দেওয়ার ৪৪টি উপায়” শিরোনামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা হয়েছিল। “ইবনে নুহাশ” নামে একটি নকল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা সাড়ে তিন মিনিটের ওই ভিডিওটি আরবি ভাষণ দিয়ে শুরু হয়েছিল, যেখানে পবিত্র কাবা এবং অশ্বারোহী যোদ্ধাদের দেখানো হয়েছিল যারা মরুভূমিতে যুদ্ধ করছে। এরপরেই ছিল খুতবার বাংলা ব্যাখ্যা।
মাত্র এক মাস আগে খোলা ওই প্রোফাইলের বেশিরভাগ বিষয়বস্তু, পাঠ্য বা অডিও-ভিজ্যুয়াল মূলত জিহাদ এবং যুদ্ধ প্রশিক্ষণের বিষয় নিয়ে। প্রোফাইলটির লিস্টে বন্ধুর সংখ্যা ১,৮৫৭।
ওই অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারী সম্প্রতি ৩০টি ইসলামিক বইয়ের একটি তালিকা পোস্ট করে। যার মধ্যে অনেক গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসকদের নিন্দা করা হয়েছে এবং কোনো কোনটির বিষয়বস্তু শুধুমাত্র “জিহাদ”।
“মোহাম্মদ বিন কাসিম” নামে আরেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং তাদের উগ্র মতাদর্শের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য নিয়মিত ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য বিষয়বস্তু পোস্ট করে। তার অনেক পোস্টেই সরাসরি “হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া” এবং “জিহাদের জন্য প্রস্তুত হওয়ার” আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে এসব কিছুই একটি বপরিকল্পনার সামান্য অংশ মাত্র।
এসব ব্যবহারকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়ানোর জন্য এবং নকল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ভিপিএন এবং বিশেষ ব্রাউজার ব্যবহার করে। তাদের উদ্দেশ্য ফেসবুকের বন্ধুদের মধ্যে জিহাদি বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দেওয়া।
দু’টি অ্যাকাউন্টই নকল কিন্তু তারা সফলভাবে আল কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করে বেড়াচ্ছে। আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই ধরনের প্রচুর আসল-নকল এবং দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বাংলাদেশিদের হাত দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
যেহেতু ফেসবুক বাংলাদেশিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় তাই এখনও চরমপন্থীরা এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার উপযুক্ত এলাকা বলে মনে করছে। যদিও ফেসবুকের তার প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের উগ্র বিষয়বস্তু সরিয়ে নেওয়ার নীতি আছে।
এছাড়াও তরুণদের আকৃষ্ট করা ও জিহাদের প্রচারে অসংখ্য আইপি, ওয়েবসাইট, ফোরাম, ব্লগ এবং বার্তা চ্যানেল রয়েছে যা বাংলা বিষয়বস্তুতে পূর্ণ এবং যার মাধ্যমে বাংলাদেশে এবং অন্যত্র “আল্লাহর শাসন” প্রতিষ্ঠা করা যায়।
এসব চরমপন্থী গোষ্ঠীর নিজস্ব আইপি-ও (ইন্টারনেট প্রটোকল) আছে। উদাহরণস্বরূপ, যে আইপি ব্যবহার করে “গাজওয়াতুল হিন্দ” নামে একটি প্ল্যাটফর্ম চালানো হচ্ছে, সেটি সম্ভবত ধর্মীয়, মৌলবাদী এবং জিহাদি বিষয়বস্তুর সবচেয়ে বড় ভাণ্ডার।
সেখানে থাকা সব বিষয়বস্তু পড়ে শেষ করতে অন্তত কয়েক মাস সময় প্রয়োজন।
প্রতিটি মৌলবাদী প্ল্যাটফর্মের মতো, গাজওয়াতুল হিন্দ শত শত অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে এসব লিঙ্ক শেয়ার করে। যা সক্রিয়ভাবে উগ্র মতাদর্শ প্রচার করে। এদের মধ্যে একটি হলো “মুওয়াহদিদুন” নামে একটি ব্লগ, যেখানে অনলাইন জিহাদে যোগ দিতে ইচ্ছুকদের জন্য বিভিন্ন নির্দেশিকা শেয়ার করা হয়। সেখানে কীভাবে একাকি একজন মুজাহিদ হিসেবে কাজ করা সম্ভব তার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ফোরামে ৩২টি মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের লিঙ্ক রয়েছে যা একটি আর্কাইভ সেকশনসহ বিভিন্ন মৌলবাদী এবং জিহাদি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিচালিত।
আর্কাইভগুলোর রেকর্ডের মধ্যে, ২৪ জন বাংলাদেশির একটি তালিকা রয়েছে। যারা ’৮০-র দশকে সোভিয়েত সৈন্যদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় আফগানিস্তানে মারা গিয়েছিল। সেখানে একটি নোটে লেখা আছে, “যেসব বাংলাদেশি মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং মারা গেছেন তাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।”
তাদের সাম্প্রতিক নিবন্ধগুলোর মধ্যে একটিতে কীভাবে আল-শাবাবের মুজাহিদিন, পূর্ব আফ্রিকার আল-কায়েদা সমর্থিত জিহাদি গোষ্ঠী, উগান্ডার সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধরত এলাকা দখল করে তার বর্ণনা দেওয়া আছে।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে আইসল্যান্ড থেকে চালু করা এই সাইটটি বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের একটি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। দেশেও তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাঠক রয়েছে।
এই প্ল্যাটফর্মগুলোর অধিকাংশই পরস্পর সংযুক্ত, একে অপরের বিষয়বস্তু শেয়ার করে এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য নিজেদের কার্যক্রম প্রচার করে। এদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্যে সব শেয়ার করে আবার কেউ গোপনে।
গত কয়েক মাস ধরে ঢাকা ট্রিবিউন এ ধরনের প্রায় এক ডজন মৌলবাদী প্ল্যাটফর্মের ওপর গবেষণা করে জেনেছে, এই প্ল্যাটফর্মগুলো খুবই সক্রিয় এবং ঘন ঘন বাংলা কন্টেন্ট আপলোড করে। এর মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা বর্তমান সরকার এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তাঘুত (ইসলামি পরিভাষায় যা ঈশ্বর ব্যতীত অন্য উপাসনাকে নির্দেশ করে) এবং ইসলামপ্রেমীদের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাদের সমালোচনা করে লেখা প্রকাশ করে। কিছু বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে “ইসলামি শাসন কায়েমের” ইঙ্গিত দেয়।
তালিবানের পুনরুত্থান বাংলাদেশের জন্য কতটা শঙ্কার?
গত শতকের ৭০-৮০ এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধ করতে যেসব বাংলাদেশি গিয়েছিল, তাদের হাত দিয়েই বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন গড়ে উঠেছিল। হরকাতুল জিহাদসহ জেএমবির নেতাদের সবার আফগান যোগের বিষয়টি পরে প্রকাশ পায়।
বাংলাদেশের কিছু ধর্মান্ধগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক। ২০ বছর আগে যখন তালিবানের রমরমা অবস্থা ছিল, তখন এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানে যোগ দিয়েছিল। একই সঙ্গে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে স্লোগান দিয়ে বলেছিল, ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালিবান’। তালিবান ফের আফগান মসনদে আসায় বাংলাদেশের ওই ধর্মান্ধগোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে— এমনই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। কাজেই আফগান নিয়ে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে হবে পরামর্শ তাদের।
সোভিয়েত সৈন্যদের আফগানিস্তান ছাড়ার পর গৃহযুদ্ধের মধ্যে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা দখল করে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তালিবান। গোঁড়া এই ইসলামী দলটি পাঁচ বছর পর সেদেশে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর অভিযানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়।
২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর আল কায়দার শীর্ষনেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েই নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছিল তালিবান। তবে ২০ বছর বাদে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ পর্যায়ে এসে আবার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল নিল এই গোষ্ঠী।
বাংলাদেশি জঙ্গি মতাদর্শীদের আগে আফগানিস্তানে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের উত্থানের পর গন্তব্য ঘুরে হয়ে যায় সিরিয়া-ইরাক। কিন্তু আইএসের পতনের কয়েক বছর পর তালিবানের পুনরুত্থানে আগের চিত্রই ফিরে আসার খবর মিলছে।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, তালিবানে যোগ দিতে বাংলাদেশের ‘কিছু মানুষ’ আফগানিস্তানে পৌঁছার চেষ্টা করছে, কিছু ভারতে গ্রেপ্তারও হয়েছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, বাংলাদেশের কিছু ধর্মান্ধগোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক। ২০ বছর আগে যখন তালিবানের রমরমা অবস্থা ছিল, তখন এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানে যোগ দিয়েছিল। একই সঙ্গে ঢাকার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে স্লোগান দিয়ে বলেছিল, ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হব তালিবান’। তালিবান ফের আফগান মসনদে আসায় বাংলাদেশের ওই ধর্মান্ধগোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে— এমনই আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। কাজেই আফগান নিয়ে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থানে থাকতে হবে পরামর্শ তাদের।
তারা বলেন, এদেশ থেকে তথাকথিত মুজাহিদীনদের আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানদের পক্ষে যুদ্ধ করার তথ্য-প্রমাণ আমরা পেয়েছি। দেশে ফিরে তারা শুধু হরকাতুল জিহাদ বা হুজির মতো জঙ্গি সংগঠনই সৃষ্টি করেনি, দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিকে ধ্বংস করতে সচেষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক মিত্র বেছে নিয়ে কৌশলে নিজেদের সংগঠনের প্রসার ঘটিয়েছে, সেই তালিবানি চ্যানেলেই অর্থ পেয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থান যে কতটা প্রভাব ফেলেছিল, জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমানের ফাঁসির আগে দেওয়া জবানবন্দি পড়লে তা আরও স্পষ্ট হয়। বাংলাভাইর হাত ধরে জেএমবি মাঠে নামার আগে শায়খ আবদুর রহমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। হুজির সঙ্গে সেই সূত্র ধরেই তার বৈঠকও হয়েছিল। দেশে প্রগতিশীল রাজনীতির ঐক্য শেষ পর্যন্ত তাদের সফল হতে দেয়নি। কিন্তু তাই বলে তারা তো থেমে নেই।
সংবাদমাধ্যমে এসেছে, দেশে কিছুদিন আগে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে গোয়েন্দারা আফগানফেরত জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। তারা নানা কৌশলে কাজ করছে। জেএমবির বর্তমান আমির সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ভারতে বসে দেশে জঙ্গিদের সংগঠিত করছে। মাস কয়েক আগে ঢাকায় আটক এক জঙ্গি স্বীকার করেছে, সে ভারতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখাও করেছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে অনুধাবন করতে কোনো কষ্ট হয় না যে, আফগানিস্তানে তালিবানদের পূর্ণশক্তিতে প্রত্যাবর্তন আবারও আমাদের দেশে এই উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীকে নতুন করে সন্ত্রাসী তৎপরতার রসদ জোগাতে পারে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তালিবান পুনরুত্থানের জায়গাতে আমরা দেখছি যে আমাদের দেশের জঙ্গিদের একটি অংশ আফগানিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেখান থেকে সহযোগিতা বা পৃষ্টপোষকতা নিয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদকে আবার উজ্জীবিত করা যায় কিনা। তো এখানে যেমন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হবে, তেমনি আমাদের আঞ্চলিক যে ভূ-রাজনীতি আছে, সেটাকেও প্রভাবিত করার জন্য এ শক্তিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হবে। সেটি বাংলাদেশের জন্য একটি শঙ্কার কারণ।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬০২
আপনার মতামত জানানঃ