মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার অধিভুক্ত সংস্থা গোডার্ড ইনস্টিটিউট অব স্পেস স্টাডিজ (জিআইএসএস)-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, গত ৭ বছর ধরে ধারবাহিকভাবে বেড়েছে বিশ্বের উষ্ণতা, যার চুড়ান্ত প্রকাশ দেখা গেছে ২০২১ সালের জুন মাসে। খবর আল জাজিরা, রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি
জিআইএসএস-এর পরিচালক গ্যাভিন স্মিথ এ সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্ব ক্রমশ উষ্ণ হয়ে উঠছে। আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ বছর উষ্ণতম সময় পার করেছে পৃথিবী।’
দাবানলে জ্বলছে কানাডা
বিশ্বের অন্যতম শীতল আবহাওয়ার দেশ কানাডায় গত ২৬ জুন থেকে শুরু হওয়া অসহনীয় তাপপ্রবাহে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে জনজীবন। দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের লিটন শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া, দেশটির বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
কানাডার জাতীয় আবহাওয়া দফতর ‘এনভায়র্নমেন্ট কানাডা’-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দেশের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, অ্যালবার্টা, সাসকাচুয়ান, নর্থওয়েস্টার্ন টেরিটোরিস এবং ইউকন রাজ্যের কিছু এলাকায় অতিরিক্ত তাপমাত্রাজনিত সতর্কতা জারি করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে, দাবানলে পুড়ছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬২টি জায়গায় নতুন করে আগুন লেগেছে।
ঘণ্টায় ৭১ কিলোমিটার বাতাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে আগুন। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ছে উত্তরাঞ্চলে।
পুড়ে গেছে লাইটন গ্রামের ৯০ শতাংশ। এর আগে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় গ্রামটিতে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মাত্র ১৫ মিনিটে পুরো গ্রাম গ্রাস করে নেয় আগুন।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র এই তাপপ্রবাহে দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫০০-তে। এর মধ্যেই সেখানে শুরু হয়েছে দাবানল। আর তাতেই ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি শহরের ৯০ শতাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের আইনপ্রণেতা ব্রাড ভিস জানিয়েছেন, তীব্র গরমের পর সৃষ্ট দাবানলে প্রদেশটির লিটন শহরের ৯০ শতাংশ ঘর-বাড়ি ও অবকাঠামো পুড়ে গেছে। দিন দুয়েক আগে এই শহরটিতে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
ব্রাড ভিস আরও জানিয়েছেন, দাবানলের কারণে লিটন শহরের তীব্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং গ্রামটির আশপাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবকাঠামোতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লাইটনের মেয়র জ্যান পোল্ডারম্যান বলেন, ‘নিজের জীবন নিয়ে বের হতে পেরেছি, এই অনেক। লাইটনের প্রায় কিছুই অক্ষত নেই। সবটা আগুনে পুড়েছে।’
তিনি বলছেন, ‘(দাবনলের পর) সেখানে খুব বেশি কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। সেখানে সব জায়গাতেই কেবল আগুন।’
বিবিসি’র নিউজআওয়ার প্রোগ্রামে তিনি বলেন, ‘আগুনের প্রাচীর’ তার শহরটিতে ঘিরে ধরেছে। এর আগে তার শহরের সকল মানুষকে তিনি বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেন। তার ভাষায়, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুনের শিখা সারা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
দাবানলের আশঙ্কায় স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামটি থেকে ২৫০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয় প্রশাসন।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হর্গান বলেছেন, দাবানল পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে পড়েছে।
কানাডার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে গত পাঁচদিনে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৪৮৬ জন মারা গেছেন। বিপুলসংখ্যক এই মানুষের মৃত্যুর জন্য তীব্র গরম আবহাওয়াকেই দুষছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের দাবি, গত তিন থেকে পাঁচ বছরে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশটিতে তীব্র গরমের কারণে কেবল তিনজন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আর কেবল গত এক সপ্তাহেই এই সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছুঁয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কানাডার তাপমাত্রা কখনোই ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়নি। আর টানা ৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড করায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
তাপদাহে যুক্তরাষ্ট্র
কানাডার প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যেও সম্প্রতি ব্যাপক উচ্চ তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে। জুনে দেশটির অরিগন অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা রাজ্যের পূর্বের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ১৯৬৫ সালে অরিগনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস এবং চলতি বছর জুনের আগ পর্যন্ত এটিই ছিল রাজ্যটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও অরিগন রাজ্য আর সীমান্ত এলাকায় চলতি সপ্তাহে তীব্র দাবদাহ চলছে। প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিক মানুষের।
তাপদাহে মধ্যপ্রাচ্য
নাসার জিআইএসএস জানিয়েছে, ২০২১ সালের জুন মাসে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্তত ২৩ টি দেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ছিল।
গত ২২ জুন কুয়েতের নুয়াইসিব শহরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে।
কুয়েতের প্রতিবেশী দেশ ইরাকের কয়েকটি এলাকায় এ সময় তাপমাত্রা ছিল ৫১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর কাছাকাছি সময়ে, ইরানের ওমিদিয়াহ এলাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৫১ ডিগ্রিতে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের বিভিন্ন এলাকায় জুন মাসে তাপমাত্রা ছিল ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
এশিয়ার মরুপ্রধান অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের জলবায়ু অবশ্য এমনিতেই অনেক বেশি উষ্ণতাপ্রবণ ও শুষ্ক; কিন্তু জুন-জুলাই মাসে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশে তাপমাত্রা সাধারণত ৪০-৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ওঠে না।
দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
বর্ষাকালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো দিল্লিতে তাপ পড়া অব্যাহত ছিল বৃহস্পতিবার। এ দিন শহরটিতে তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তা ২০১২ সালের পর জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি।
আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শহরের সাফদারজং পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। এই সময়ে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০১২ সালের ২ জুলাই রাজধানী দিল্লিতে বর্ষা মৌসুমের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গেশপুরের পর্যবেক্ষণকেন্দ্রও ওই দিন ৪৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।
শহরের লোদি রোড, রিজ, নারালা, নাজাফগড় ও প্রিতমপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি ছিল।
মূলত সমভূমি অঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রির ওপরে গেলেই তাপপ্রবাহ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনে আরও কয়েকটি তাপপ্রবাহ আসতে পারে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি হতে পারে।
আইএমডি বলছে, চলতি বছর দিল্লিতে ৪৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।
শুক্রবারও চরম তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আইএমডি।
এন্টার্কটিকাতেও তাপপ্রবাহ
বিশ্বের বরফাচ্ছাদিত মহাদেশ এন্টার্কটিকাতেও তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ডব্লিউএমও (ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ৫০ বছরে এন্টার্কটিকার তাপমাত্রা অন্তত ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে এবং ২০২০ সালে মহাদেশের সেইমুর দ্বীপে রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এন্টার্কটিকায় এর আগে কখনও এত বেশি তাপমাত্রা দেখা যায়নি।
গ্যাভিন স্মিথ বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমরা একটি উষ্ণতর বিশ্বে প্রবেশ করছি। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার এবং আমাদের আশঙ্কা, সামনের বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’
‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়লে, তাপদাহে মৃত্যু বাড়বে’
জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে তাপদাহে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি মৃত্যুর প্রধান কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, তাপদাহে মোট মৃত্যুর ৩৭ শতাংশের জন্য দায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন।
‘নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ’ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৭৩২টি শহরে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে— মানুষের দ্বারা প্রতিনিয়ত যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে সেটাই এর মূল কারণ।
তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, এটা সামগ্রিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের একটি খণ্ডচিত্র। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ঝড়, বন্যা, খরায় আরও বেশি মানুষ মারা যায় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়লে তাপদাহে মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে।
গবেষণা দলটির প্রধানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র এই শহরগুলোতেই প্রতি বছরে প্রায় নয় হাজার ৭০০ মানুষ মারা যায়। তবে পুরো বিশ্বকে বিবেচনা করলে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
ন্যাচার ক্লাইমেট চেঞ্জে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু উষ্ণতাজনিত কারণে প্রতিবছর বিশ্বে মৃত্যুবরণ করা প্রতি তিনজনের একজনের প্রাণহানির জন্য দায়ী ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণতা। তবে পরিবেশ বিপর্যয়ে ক্ষতির এই হিসাবই সবটুকু নয়। প্রতি বছর বিশ্বে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা খরায় যতো মানুষ প্রাণ হারান, তাদের বেশিরভাগের মৃত্যুর জন্যও পরিবেশকেই দুষছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জ্বালানি দক্ষতা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রনয়নে মানুষের আচরণ ও অভ্যাসগত বিষয়কে আমলে নেয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের তুলনায় মানুষের আচরণগত পরিবর্তন আনার জন্য যে বিনিয়োগ প্রয়োজন তা একেবারেই কম। কিন্তু অভ্যাস ও আচরণগত পরিবর্তনের প্রতিদান এবং কো-বেনিফিটস অনেক বেশী।
তারা বলেন, কভিড-১৯ এর কারণে আমাদের জীবনযাত্রায় যে আমূল পরিবর্তন এসেছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জ্বালানি দক্ষতা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে আচরণ ও অভ্যাসগত পরিবর্তনকে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ভেবে দেখা যেতে পারে, কী ধরনের সামাজিক প্রণোদনা মানুষের আচরণ ও অভ্যাসগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করতে পারে?
এ কথা অনস্বীকার্য যে, আমরা যদি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই কিংবা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করতে চাই, আচরণ এবং অভ্যাসগত পরিবর্তন আনার কোনো বিকল্প নেই। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, আচরণ ও অভ্যাসগত পরিবর্তন প্রযুক্তি নির্ভর জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালার পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু কখনোই তা প্রযুক্তি নির্ভর নীতিমালার বিকল্প নয়।
তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও তাপমাত্রা স্বভাবিক রাখতে বৃক্ষ রোপণ বৃদ্ধিতে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। বনদস্যুদের হাত থেকে বনাঞ্চল রক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। অপরিকল্পিত বনাঞ্চল নিধনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে পরিবেশ ও উষ্ণতা স্বভাবিক রেখে পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে তুলতে।
এসডব্লিউ/এমএন/কেএইচ/১৬২৮
আপনার মতামত জানানঃ