বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিকে পেছনে ফেলেছে ঢাকা। ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র্যাঙ্কিং-২০২১’ শীর্ষক এই জরিপে ঢাকার অবস্থান ৪০তম। অবশ্য গত বছর ২৬তম স্থানে ছিল ঢাকা। আমিরাতের দুবাইয়ের অবস্থান বর্তমানে ৪২তম এবং আবুধাবির ৫৬তম।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) এ তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ‘মার্সার’। জানা যায়, ২০২১ সালের এই জরিপের জন্য ২০৯টি শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২৬ এ থাকলেও এ বছর তা ১৪ ধাপ পিছিয়ে ৪০তম অবস্থান পেয়েছে। ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকার নিচে রয়েছে বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি বড় শহর। তার মধ্যে ব্যাংকক, রোম, ওয়াশিংটন, মুম্বাই, ম্যানিলা, টরন্টো, নয়াদিল্লি, মিউনিখ, ব্রাসেলস, বার্লিন ও মস্কো অন্যতম।
সূত্র মতে, এই জরিপে হংকংকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী শহর আশখাবাত। ফলে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে হংকং। সূত্র মতে, অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে আশখাবাত প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির ফ্রান্স শাখার গ্লোবাল মোবিলিটি প্র্যাকটিস শাখার প্রধান জ্যাঁ ফিলিপ্পে সারা বলছেন, ‘অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে’ আশখাবাত আগের জরিপে দ্বিতীয় থেকে চলতি বছরের জরিপে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে।
তুর্কমেনিস্তান মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে বিশ্বে জ্বালানির দামের যে পতন শুরু হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে দেশটি। এতে করে দেশটির মুদ্রা মানাতের মান কমেছে এবং দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও দেশটির সরকার গত মে মাসে আশখাবাত নিয়ে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখেভব এটিকে ‘বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। গত বছর তাদের অবস্থান ছিল ৪৫তম। মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দার ফলে মুদ্রাস্ফীতিসহ বহুমুখী সংকটের কারণেই তাদের এ অবনতি।
জরিপে অত্যধিক আবাসন ব্যয়ের শহরের তালিকায় জাপানের রাজধানী টোকিও এক ধাপ পিছিয়ে চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে। পঞ্চম স্থানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, অষ্টম স্থানে জেনেভা এবং দশম স্থানে রয়েছে দেশটির বার্ন শহর। এ ছাড়া ষষ্ঠ স্থানে চীনের সাংহাই এবং নবম স্থানে বেইজিং। তালিকায় সিঙ্গাপুর সিটির অবস্থান ৭ম স্থানে।
এসডব্লিউ/এসএস/২০২১
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ