নাশতার জন্য খরচ করা ১৭ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। অভিযোগ উঠেছিল নিজ পরিবারের সকালের নাশতার জন্য প্রতি মাসে ৩৬৫ ডলার বিল নিচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছিল।
পুলিশ ঘোষণা দিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জনগণের করের টাকা থেকে অবৈধভাবে নিজের নাশতার জন্য ভর্তুকি নিচ্ছেন কি না, তা তদন্ত করা হবে। এরপর স্থানীয় একটি ট্যাবলয়েড এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দাবি করা হয়, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন সরকারি বাসভবন কেসারান্টায় থাকলেও নিজ পরিবারের সকালের নাশতার জন্য প্রতি মাসে ৩৬৫ ডলার বিল নিচ্ছেন। এ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৩৫ বছর বয়সী সানা। যদিও তার ভাষ্য, আগের প্রধানমন্ত্রীরাও এমন সুবিধা পেয়েছেন।
কিন্তু ওই ট্যাবলয়েডের প্রতিবেদনে আইন বিশেষজ্ঞরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সকালের নাশতার খরচ জনগণের করের টাকা থেকে দেওয়ার বিষয়টি ফিনল্যান্ডের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
দেড় বছর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মারিন। এরপর থেকে পরিবার নিয়ে সরকারি বাসভবনে রয়েছেন। ফলে মারিন যে পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তা একেবারে কম নয়। তিনি বলেছেন, ১৭ হাজার মার্কিন ডলার তিনি ফেরত দেবেন।
এ প্রসঙ্গে গতকাল শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘এই নাশতাসংক্রান্ত খরচের অর্থ আমি নিজে দেব।’ এ ছাড়া তিনি এ–ও বলেছেন, যে তদন্ত চলছে তা চলবে এবং এ–সংক্রান্ত কোনো নিয়মকানুন হালনাগাদ করার দরকার থাকলে তা–ও করা হবে।
নাশতার বিল বাবদ অর্থের তদন্তে বেশ বিরক্ত ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই অর্থ নেওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। এ ছাড়া এই তদন্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পরিবারের খাবারের বিষয়টি নিয়ে যে তদন্ত হচ্ছে তার প্রতি দৃষ্টি রাখার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমার আছে।’
এদিকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের নাশতার জন্য খরচ করা ১৭ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত দেয়ার ঘোষণায় বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাল্কা কৌতুকের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে হাসি তামাশায় মেতেছেন।
সাহাব উদ্দিন লিখেছেন, মানুষ এত বোকা হয় কিভাবে, তিনি কি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের চিনেন না? তিনি আরো লিখেন, ইহাকেই প্রধানমন্ত্রী বলে, আর বাংলাদেশ ?
কেউ কেউ বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতিকেও টেনেছেন। আফজাল হোসেন লিখেছেন, এরাই প্রকৃত নেতা যারা ভুল করলে তা অকপটে স্বীকার করে , নিজের ভুল, অনৈতিক কোন কিছু যা দেশ ও জাতির কাছে অশোভন তা কখনো ক্ষমতার উর্ধে মনে করে না। প্রকৃত অর্থে এরা নিজেদেরকে একজন সৎ মানুষ হতে চেষ্টা করেন ক্ষমতার দাম্ভিকতায় নয়। আর আমাদের অবস্থা ?
এসডব্লিউ/এমএন/ এফএ/১৬১৯
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ