ইসরাইলি বাহিনী ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করেনি হামাস যোদ্ধারা এবারের যুদ্ধে এতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং পাল্টা জবাবে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করবে। ফলে যে অহংকার ও মাত্রাতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে তারা হামলা শুরু করেছিল, তা কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টা তির হয়ে বিঁধতে শুরু করে। বাস্তবে ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি হিসাব করলে ফিলিস্তিনিদের ক্ষয়ক্ষতি কয়েকগুণ বেশি হলেও পশ্চিমা মদদপুষ্ট পরাক্রমশালী ইসরাইলি বাহিনীকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা হামাসের জন্য বিজয়ের সামিল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধে হামাস জয় লাভ করবে।
এদিকে, প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ বছর পা রাখতে চলেছে হামাস। হামাসের ইতিহাস জুড়েই অসংখ্য চড়াই-উতরাই। দ্বন্দ্ব কলহের মধ্যেও হামাস ফিলিস্তিনকে ইসরাইল দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির জন্য কাজ করে চলেছে।
ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা বা পিএলও-এর ব্যর্থতা
ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে পিএলও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত পিএলও ছিল দুর্দান্ত এক মিলিট্যান্ট সংগঠন। কিন্তু জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবে আরাফাত তথা পিএলও অস্ত্র পরিত্যাগ করে ইসরাইলের সাথে শান্তি আলোচনায় বসে।
১৯৯৩ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় অসলো শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় ফাতাহ। আর এর বিনিময়ে আরাফাত পান নোবেল পুরস্কার।
এই চুক্তি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের এডওয়ার্ড সাঈদ বলেছেন, ‘অসলো চুক্তি শুধু ফিলিস্তিনি দুর্বলতার প্রকাশই নয়, বরং বড় ধরনের অযোগ্যতা এবং ভুল হিসাবের কারণে হয়েছে, যার ফলাফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। আরাফাত যে একটা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পান নাই তা বুঝতেও তার এক বছরের মতো সময় লেগেছে।’
এরপর ইসরাইল আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল অব্যাহত রাখে আর অবৈধ বসতি স্থাপনের কাজ চলে জোর গতিতে। আলোচনার ফলাফল ফিলিস্তিনি জমিতে নতুন নতুন ইহুদি বসতি। আজকের পশ্চিম তীরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে ইহুদিবসতি।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো মানে পশ্চিম তীর ও জেরুসালেম অঞ্চল মৌমাছির মৌচাকের মতোই ইহুদি বসতিতে ভরে গেছে। পিএলও অস্ত্র পরিত্যাগ করে শান্তি আলোচনায় মনোযোগী হওয়াতে পশ্চিমা নেতাদের বাহবা কুড়ালেও উল্লেখযোগ্য কোনও অর্জন করতে না পারায় তখন থেকেই ফাতাহ’র ক্ষয় শুরু হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই শূন্যস্থান পূরণে উত্থান ঘটে ফাতাহর চেয়ে আরো সাহসী ও দুর্দান্ত যোদ্ধাদের সংগঠন হামাসের।
হামাসের দুই প্রধান নেতাকে হত্যা
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি ধর্মীয় নেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিন। শেখ আহমেদ ইয়াসিন ছিলেন একজন পঙ্গু মানুষ এবং প্রায় অন্ধ ছিলেন। তিনি চলাফেরা করতেন হুইল চেয়ারে করে। যখন তার বয়স ১২ বছর তখন তিনি একটা দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী হন। তিনি মিসরে লেখাপড়ার পর ফিলিস্তিনে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠা করেন হামাস।
২০০৪ সালের ২২ মার্চ ভোরে বাসা থেকে ১০০ মিটার দূরের মসজিদে হুইল চেয়ারে করে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে শেখ আহমাদ ইয়াসিনকে হত্যা করে ইসরাইল। এ সময় তার সাথে থাকা বডিগার্ডসহ আরো ৯ জন পথচারী নিহত হন।
শেখ আহমাদ ইয়াসিনের মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যে ইসরাইল একই প্রক্রিয়ায় হত্যা করে হামাসের সদ্য নতুন প্রধান আবদুল আজিজ আল রানতিসিকে। দিনটি ছিল ১৭ এপ্রিল ২০০৪। রানতিসি একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
ফিলিস্তিনের দু’ভাগ হওয়া
শুরুতে এমনকি ইয়াসির আরাফাত জীবিত থাকাকালে হামাসের তেমন কোনও পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা ছিল না। কিন্তু ফাতাহর ব্যর্থতাই ছিল হামাসের সফলতা। তবে ইয়াসির আরাফাত জীবিত থাকা পর্যন্ত হামাসের সাথে ফাতাহর কোনো দ্বন্দ্বও ছিল না।
কিন্তু দ্বন্দ্ব শুরু হয় তখনই যখন ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হামাস বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় এবং নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এ নির্বাচনে পশ্চিমারা পর্যবেক্ষক ছিল। পশ্চিমারা বলেছিল, তারা নির্বাচনের ফলাফলকে মেনে নেবেন কিন্তু হামাস জয়ী হবে তারা তা কল্পনাও করতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে ঘোষণা করল, হামাস যতদিন সরকার হিসেবে থাকবে ততদিন তারা ফিলিস্তিনিদের কোনো সাহায্য সহযোগিতা করবে না।
অন্যদিকে, ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাবে। ফাতাহ তথা মাহমুদ আব্বাসও সুযোগ খুঁজছিলেন হামাসকে কিভাবে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা যায়। অনেক টানাপোড়েনের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে মাহমুদ আব্বাস হামাস সরকারকে বরখাস্ত করেন ও তার নিজ দল ফাতাহ দ্বারাই সরকার গঠন করেন।
স্বভাবতই নির্বাচনে বিজয়ী হামাস তা মেনে নিতে অস্বীকার করে। ফলে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ফলে ফিলিস্তিন হয়ে পড়ে দু’ভাগ। সেই থেকে পশ্চিম তীর শাসিত হচ্ছে মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহ দিয়ে, আর গাজা শাসিত হচ্ছে হামাস দিয়ে।
হামাসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা
ইসরাইল তার আধিপত্যবাদী অস্তিত্বের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক মনে করে হামাসকে। তাই হামাস গাজার শাসনভার কাঁধে তুলে নেয়ার পর থেকেই ইসরাইল অবরোধের মাধ্যমে এ ক্ষুদ্র জনপদের ১৫ লাখ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ফলে অসহায় গাজাবাসী বিনা দোষে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হয়েছে।
গাজায় যাতে কোনও পণ্যসামগ্রী এমনকি খাদ্য পর্যন্ত ঢুকতে না পারে ইসরাইল কড়াকড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করে আর এ কাজে সহযোগিতা করে আসছে মিসর।
বহির্বিশ্বের সাথে গাজার একমাত্র সংযোগ পথটি হলো রাফা ক্রসিং যা মিশরের নিয়ন্ত্রণাধীন। গাজাবাসীকে এ পথ দিয়ে বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগে সাহায্য করে মিসর। কিন্তু তা হোসনি মুবারকের আমল থেকেই বন্ধ ছিল। মোহাম্মদ মুরসির আমলে সেই পথ খুলে দেয়া হলেও এখন আবার বন্ধ। আর বাকি দিক ইসরাইল দ্বারা পরিবেষ্টিত ও একদিকে সাগর।
হামাসের উদ্দেশ্য
ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামাস। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে বর্তমান ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে ফিলিস্তিনকে একক ইসলামি রাষ্ট্র হিসাবে গড়তে চায় তারা।
২০০৬ সালে গাজার সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে হামাস। ২০০৭ সালে গোটা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ পায় দলটি। সেসময় পশ্চিম তীরের একটি অংশ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মাঝারি ফাতাহ দলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, সমগ্র গাজা অঞ্চল হামাসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এরপর থেকে ফিলিস্তিনিদের ‘আত্মরক্ষা’ ও ‘স্বাধীনতার’ দাবিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ অব্যহত রেখেছে হামাস।
২০০৮-০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়ায় দলটি। ২০২১ সালের মে মাসে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতে জড়িয়েছে দুপক্ষ।
হামাসের উদ্দেশ্য হলো গাজা, ইসরাইল ও ওয়েস্ট ব্যাংক নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আর ইসরাইল চায় সম্পূর্ণ ফিলিস্তিনসহ পাশের দেশগুলো দখল করে বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করা।
ইসরাইলের প্রচুর জমি দরকার কারণ ইসরাইল বিশ্বের সমগ্র ইহুদিদের নিজ নাগরিক মনে করে। তারা মনে করে, একদিন বিশ্বের সমগ্র ইহুদি সম্প্রদায় একত্রিত হবে আর প্রতিষ্ঠা করবে বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্র।
ইজ্জদ্দিন আল ক্কাসাম ব্রিগেড
হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জদ্দিন আল ক্কাসাম ব্রিগেড যাকে সংক্ষেপে আল ক্কাসাম ব্রিগেড বলা হয়। এটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তখন থেকেই ইসরায়েলকে সামরিকভাবে তটস্থ করে রেখেছে তারা। সীমিত সাধ্যের মধ্যেও লিমিটেড টেকনোলজী আর অর্থায়নে ক্কাসাম রকেট দিয়েই ইসরায়েলি বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের আয়রন ডোম অ্যান্টিমিসাইল সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
ইসরায়েলের প্যাট্রিয়ট মিসাইল এবং এফ-১৬ এর মোকাবেলায় ক্কাসাম ব্রিগেডের ব্যবহার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্বল্প মাত্রার আল বানা, আল বাতার এবং আল ইয়াসিন রকেট, এছাড়াও ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাসহ কিছু হালকা যুদ্ধাস্ত্র। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের তলদেশ দিয়ে ইসরায়েলে পৌছে এক দুঃসাহসিক কমান্ডো অভিযানের চেষ্টা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ইরানের পর মুসলিম দেশ হিসেবে সাফল্যজনকভাবে ড্রোন তৈরি করতেও সক্ষম হয়েছে হামাস, যা তেলাবিবের আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
হামাস যোদ্ধারা গ্রাউন্ড কমব্যাটেও যথেষ্ট প্রশিক্ষিত। প্রবাসী হামাস নেতা খালিদ মিশালকে হত্যার একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং সিনবেথ, তবে হামাসের অপারেটিভদের সাহস এবং দৃঢ়তায় তারা সফল হতে পারে নি।
কতটা শক্তিশালী হামাস?
ইসরাইলে আক্রমণ করার জন্য হামাস ও অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর কাছে যথেষ্ট অস্ত্র রয়েছে। এছাড়া তারা হামলা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র। স্থল থেকে স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে হামাসের।
সম্প্রতি ব্যবহার করা কর্নেট গাউডেড অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মিশরের সিনাই উপদ্বীপ থেকে টানেলের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ অস্ত্রই গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে হামাস ও অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর অস্ত্রাগারে তৈরি হয়।
ইসরাইলি এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের ধারনা, ইরান এ শিল্প গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইসরাইলের বিমান হামলার অন্যতম লক্ষ্যও ছিল এ অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণের স্থানগুলো।
হামাসও অস্ত্রগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে। এজন্য তাদের কাছে আসলে কী পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তা অনুমান করা অসম্ভব। তবে সহজেই অনুমান করা যায় তাদের অস্ত্রাগারে বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার অস্ত্র রয়েছে। এ নিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিজস্ব অনুমান থাকলেও, তারা সেটি প্রকাশ করতে রাজি নয়।
ফিলিস্তিনিরা বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। তবে এগুলোর মধ্যে কোনটিই বেসিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নতুন বলে মনে হয় না। তবে তারা সেগুলোর ব্যপ্তি বৃদ্ধি এবং আরো বেশি বিস্ফোরক বহনযোগ্য করে তুলতে চেষ্টা করছে।
কাসাম (১০ কিলোমিটার) ও কুদস ১০১ (১৬ কিলোমিটার) এর মতো স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বিশাল মজুদ রয়েছে হামাসের। এছাড়া রয়েছে গ্রেড সিস্টেম (৫৫ কিলোমিটার) এবং সেজিলের (৫৫ কিলোমিটার) মতো ক্ষেপণাস্ত্রও। হামাসের অস্ত্র ভাণ্ডারে থাকা বেশিরভাগই এই স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। মর্টার ফায়ারের মাধ্যমে এগুলো শক্তিশালী করা যায়।
এগুলোর পাশাপাশি হামাস এম-৫৫ (৭৫ কিলোমিটার), ফজর (১০০ কিলোমিটার), আর-১৬০ (১২০ কিলোমিটার) এর মতো বিভিন্ন ধরনের দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোও পরিচালনা করে। কিছু কিছু এম-৩০২ এস ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যপ্তি ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে হামাসের কাছে এমন অস্ত্র রয়েছে, যা জেরুজালেম এবং তেল আবিব উভয়কেই লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। এছাড়া হামাসের এ ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে পুরো উপকূলজুড়ে ইসরায়েলের সর্বোচ্চ ঘনত্বপূর্ণ জনসংখ্যা এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইলের কারাগারে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমন অনেকেই আছেন যাদের শিশুকালে ইসরাইল ধরে নিয়ে গেছে আর কারাগারেই বাকি জীবনটা পার করে দিয়েছেন। আর হামাস বা ফাতাহর তো হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন আর গুপ্তহত্যার মাধ্যমে এ পর্যন্ত কতজন যে মারা গেছেন তার কোনও ইয়ত্তা নেই। হামাস তবুও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। ইসরায়েলকে পিছু হটতে বাধ্য করছে। ইসরায়েলের দর্প চুর্ণ করছে।
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/২০০৬
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগীতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ