আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষুব্ধ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত ও অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অন্তত পাঁচ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সওগাত ফেরদৌস বলেন, আহত অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন মারা গেছেন।
নিহত চারজন হলেন আহমেদ রেজা (১৮), রনি (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২২)। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবুল্লাহ (১৯) নামের একজন মারা যান। বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিউর রহমান মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক মেহেদী হাসান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের বেতন-ভাতা সময় মতো না দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করছি। পুলিশের গুলিতে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আজ সকালে বেতন-ভাতা নিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা থানায় জানান। পুলিশ এলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও সংঘর্ষে যোগ দেয়।’
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংঘর্ষের পুলিশের গুলিতে চার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। চার পুলিশ সদস্যও গুরুতর আহত হয়েছেন।’
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকালও গণ্ডামারা ইউনিয়ন এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এই বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকরা বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আজ হামলা চালিয়েছে। শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে চার শ্রমিক নিহত হয়েছে। তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রায় ৫০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করে।’
এসডব্লিউ/এমএন/এসএস/১৫০৭
State watch সকল পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, যেটি পাঠকদের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। যে কোন পরিমাণের সহযোগিতা, সেটি ছোট বা বড় হোক, আপনাদের প্রতিটি সহযোগিতা আমাদের নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় অবদান রাখতে পারে। তাই State watch-কে সহযোগিতার অনুরোধ জানাচ্ছি। [wpedon id=”374″ align=”center”]
আপনার মতামত জানানঃ