তিন বছর ধরে ইউক্রেন এমন পরিস্থিতি সহ্য করে আসছে, যা একসময় ছিল অকল্পনীয়। দেশটির রাজধানীতে আকাশ ও স্থল হামলা, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ; ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গ্লাইড বোমা হামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যা— এমন কোনো ঘটনা নেই যা ঘটেনি। কিন্তু এখন কিয়েভ একেবারেই অপ্রত্যাশিত এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেটির উৎস আবার ইউক্রেনের মিত্র বলে পরিচিতি পশ্চিমা বিশ্ব। আরও স্পষ্ট করে বললে, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এসেছে। রাশিয়ার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক গড়ার নগ্ন প্রয়াস সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলেছে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত সৌদি আরব সফর স্থগিত করেছেন জেলেনস্কি। কারণ কিয়েভের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য সংলাপে ‘ঘটনাচক্রে’ অংশ নিতে চাননি তিনি। জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি— এটি খুবই বিস্ময়কর! আমি মনে করি, এটি অনেকের জন্যই অপ্রত্যাশিত ছিল।’ ঠিক পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেলেনস্কিকে সরাসরি ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ বলে আক্রমণ করেন ট্রাম্প।
পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সংলাপের সিদ্ধান্ত এবং ক্রেমলিনের পুনর্বাসনে তাঁর সুস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা কিয়েভের রাজনৈতিক মহলে গভীর আলোড়ন তুলেছে। তবে সেই বিস্ময়ের ঘোর কেটে গেছে, সত্যিকার অর্থে এখন খুব বেশি বিস্মিত নন কেউ। জেলেনস্কির দলের এক জ্যেষ্ঠ এমপি বলেন, ‘যেদিন আমরা খবরটি শুনি, সেদিন আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, তবে এমন কিছু হবে বলে আমরা ধরে নিয়েছিলাম।’ কারণ, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের জন্য ওয়াশিংটনের দরজা যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে, রাশিয়ার ন্যারেটিভ আমেরিকায় কতটা গভীরভাবে শিকড় গেড়েছে!’ ইউক্রেনের বিরোধী দলীয় এক এমপি পার্লামেন্টে বিরাজমান এক ধরনের ‘অশুভ আশঙ্কার’ কথা উল্লেখ করেন। তাঁর আশঙ্কা, এমপিদের এমন এক অপমানজনক যুদ্ধবিরতি চুক্তির পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করা হতে পারে, যা তাদের জন্য লজ্জাজনক হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও, দেশটির টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। মানুষ, রাজনীতিবিদ ও সৈনিক থেকে শুরু করে সবাই ক্লান্ত। হাজারো মানুষ হতাহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছেন। ইউরোপে পালিয়ে যাওয়া ৪৩ লাখ ইউক্রেনীয়দের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশির বয়স ১৮ বছরের কম। তাদের অনেকেই আর কখনো ফিরে আসবে না। দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা ছাড়া যেনতেন একটি চুক্তি হলে অনেক ইউক্রেনীয় বাবা-মার জন্য সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর বিকল্প থাকবে না। বিষয়টি ইউক্রেনের জনমিতিতে বিদ্যমান অসন্তোষকে তীব্রতর করবে। ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের শান্তি প্রয়োজন। এমন এক শান্তি, যা আমাদের ধ্বংস করবে না।’
যেসব পরিবারে কিশোর ছেলে আছে, তাদের কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারা হয় সুযোগ থাকতেই ছেলেদের ইউরোপে পাঠিয়ে দেবে না হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশেই রেখে দিতে হবে। সাবেক সৈনিক সেরহি ভাসিলিউক এমন একটি জটিলতার মুখোমুখি। ১৭ বছর বয়সী ছেলে আন্দ্রিকে বিদেশ পাঠাতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী একমত হলেও ছেলের দ্বিধাহীন অস্বীকার তাঁদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। আন্দ্রি বলেছে, সে অন্য কোথাও ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু আন্দ্রির মা তা কোনোভাবেই মানতে রাজি নন। সেরহি অনিচ্ছাসত্ত্বেও ছেলের ইচ্ছায় সায় দিয়েছেন। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের কাজ তিনিও করেছেন। তাই সেরহির জন্য বিষয়টা তেমন অসহনীয় নয়। তিনি বলেন, ওর মতো ছেলেরা যদি যুদ্ধে না থাকে, তাহলে লড়াই করার কেউ থাকবে না।
এত দীর্ঘ বিপর্যয়ের পরও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এখনো পর্যন্ত চুক্তিতে আসার মতো কিছু হয়নি। কিন্তু ইউক্রেনের জনজীবনে ও রণক্ষেত্রে যে নেতিবাচক ঘটনাপ্রবাহ ঘটে যাচ্ছে, ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে বাইরের দুনিয়ায় ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটছে। রাশিয়া একটি ফাঁদ পেতে রেখেছে। তা হলো- নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও তাৎক্ষণিক নির্বাচন ছাড়া যুদ্ধবিরতির ডাক। সেটা ঘটলে ইউক্রেনের জনগণের ঐক্য বিনষ্ট হবে। ইউক্রেনের অনেকের আশঙ্কা, এখন ট্রাম্প প্রশাসন যে ধরনের ভাষা প্রয়োগ করছে, তাতে রাশিয়ার পাতা ফাঁদের ছায়া দেখা যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, ‘ট্রাম্প জেলেনস্কিকে সরাতে চান বলে মনে হচ্ছে। কারণ, তিনি কখনোই তাঁকে পছন্দ করেননি। জেলেনস্কিকে সামলোনো কঠিন বলে মনে করেন ট্রাম্প। তাই, নির্বাচন তাঁর কাছে কোনো ইস্যু নয়, উদ্দেশ্য জেলেনস্কিকে সরিয়ে দেওয়া।’
ট্রাম্পের গতি দ্রুত শান্তি অর্জনের ক্ষেত্র তৈরি না করলেও ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাব তৈরি করবে। এরপর সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ভার পড়বে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাঁধে। তখন জেলেনস্কি চাপে পড়বেন, সেই ফাঁকে ট্রাম্প আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করবেন। ট্রাম্পের ছক মোটামুটি স্পষ্ট। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনো তাঁর বিপৎসীমাগুলো চিহ্নিত করতে পারেননি।
গত সপ্তাহে ইকোনমিস্টকে জেলেনস্কি বলেন, ‘খুনির’ (পুতিন) সঙ্গে বসার প্রস্তুতি মানেই আপস। তবে এরই মধ্যে জেলেনস্কি নির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি নিরাপত্তার গ্যারান্টি ছাড়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না, বা তাকে এড়িয়ে কোনো চুক্তি হলে তা মেনে নেবেন না। শীর্ষস্থানীয় এক ইউক্রেনের কর্মকর্তা বলেন, চুক্তির অংশ হিসেবে হারানো অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে কখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেবে না ইউক্রেন। তবে ন্যাটোর সদস্যপদ যে খুব দূরের সম্ভাবনা, তা তিনি স্বীকার করেন।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইউক্রেনের জন্য ন্যূনতম ও গ্রহণযোগ্য চাওয়া হলো— পশ্চিমা বিশ্বের সেনাবাহিনীগুলোর সঙ্গে অব্যাহত সম্পর্ক বজায় রাখা, ইউক্রেনে পশ্চিমা বিশ্বের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং বিদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি। সেই বাহিনীর কত বড় হবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউক্রেনে তাদের উপস্থিতি। তিনি বলেন, ‘যখন তারা এখানে থাকবে, আমরা বিশ্বাস করি, তাদের পক্ষে চলে যাওয়া কঠিন হবে।’
তাত্ত্বিকভাবে, ট্রাম্প যে চুক্তি করতে চান সেটির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে ইউক্রেন। তবে বাস্তবতা হলো— সময়ের সঙ্গে ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। উভয় পক্ষের জন্যই যুদ্ধ নির্মম, তবে তা ইউক্রেনীয়দের জন্য বেশি কঠিন। কারণ, দেশটি অপেক্ষাকৃত দরিদ্র ও কম জনসংখ্যার। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুতর সমস্যা আছে এবং কৌশলগত পরিকল্পনার অভাব দেখা যাচ্ছে। ফ্রন্টলাইনে ব্রিগেডগুলো লোকবলের অভাবে ভুগছে, কিছু ব্রিগেডের আকার এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।
এদিকে, সমাধান চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের হাতে অনেক অস্ত্র আছে। তিনি সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন; রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন; ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের যোগাযোগের মেরুদণ্ড স্টারলিংক সেবা বন্ধ; এবং রিয়েল টাইম টার্গেটিং প্রযুক্তির মতো সহায়তাগুলো পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারেন। ইউক্রেনের সামনে নতুন বিকল্প থাকলেও তা এসব সিস্টেম বন্ধের ক্ষতি পোষাতে পারবে না। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি জেলেনস্কি ১৮ এবং ২০ বছর বয়সী ছেলেদের মাঠে নামাতে পারেন, তাহলে লড়াই চালিয়ে যাওয়া অর্থপূর্ণ হতে পারে। তা নাহলে এমন একটি চুক্তি সম্মত হওয়াই তার জন্য সর্বোত্তম পথ।’
ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ট্রাম্পের সংলাপে ইউরোপকে বাদ দেওয়ার ফলে এখন অনেক কিছুই নির্ভর করছে শুধু জেলেনস্কির ওপর। তাঁর পক্ষে ট্রাম্পের চাপিয়ে দেওয়া কঠিন দাবি ঠেকানোর ভাল যুক্তি আছে। এটির ওপর নির্ভর করছে জেলেনস্কির পদ এবং ইতিহাসে অবস্থান। কিন্তু নিজের পরিচয় দিতে শত্রুদের ব্যবহারে সিদ্ধ এক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কাজটি তাঁর জন্য বিপজ্জনক এবং মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে। অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো এরই মধ্যে উদ্বিগ্ন যে, জেলেনস্কি ক্রমাগত একটি সংকীর্ণ বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন। এটি ঠিক এমন এক সময়ে ঘটছে যখন তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যাপক সমর্থন প্রয়োজন। এক সূত্র বললেন, জেলেনস্কিকে ‘না’ বলার জন্য কেউ প্রস্তুত নন এবং তিনি ভুল করেই যাচ্ছেন। অনেক ইউক্রেনীয়ও স্পষ্টভাবে তাদের সমর অধিনায়কের প্রতি হতাশ।
ইউক্রেনের এক জরিপ অনুসারে, জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবচেয়ে জনপ্রিয়, তবে ভবিষ্যৎ নির্বাচনে সাবেক সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনির কাছে ৩০ থেকে ৬৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে পারেন। জালুঝনি এখনও রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি। গত জানুয়ারির এক জরিপে দেখা যায়, জেলেনস্কির প্রতি মানুষের আস্থা কমে ৫২ শতাংশে নেমেছে। এটি যুদ্ধের সময়কালের মধ্যে নিম্নতম। অথচ, যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের ৯০ শতাংশ মানুষ তাঁর প্রতি আস্থা রাখতেন। তবে ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনের মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ জেলেনস্কিকে পছন্দ করে।
ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো ‘সবচেয়ে খারাপ’ না হলেও ট্রাম্প ক্রেমলিনের নীলনকশা বাস্তবায়ন করলে পরিস্থিতি ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে উঠতে সময় লাগবে না। ওই নীলনকশার আওতায় ইউক্রেনকে কার্যকর নিরাপত্তা গ্যারান্টি না দিয়েই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে, রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পরিণত নির্বাচন, দুর্বল প্রেসিডেন্সি, ভগ্ন পার্লামেন্ট, তাঁরপর মাঠ থেকে সেনা প্রত্যাহার, ব্যাপক অভিবাসন এবং শেষ দৃশ্যে ইউক্রেনের ভেতরের সংহতি বিনষ্ট করা হবে।
এমনটা হলে যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনীয়রা যে ঐক্য দেখিয়েছিল তা তখন কেবলই এক দূরবর্তী স্মৃতি হয়ে থাকবে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি অসম্ভব নয়। মনে রাখবেন, দেশে কোটি কোটি অস্ত্র আছে। এমনকি ফ্রন্টলাইনে মাত্র ২ হাজার ৪০০ ডলার দিয়েও একটি রুশ ট্যাংক কিনতে পারবেন।’
ইউক্রেন রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার লক্ষ্য পুতিন ত্যাগ করেছেন— তেমন একটা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ১৭ বছর বয়সী ছেলের দিকে তাকিয়ে সেরহি ভাসিলিউক ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘যতদিন সেই নষ্ট লোক (পুতিন) জীবিত থাকবে’ ততদিন যুদ্ধ চলতে থাকবে। তবে দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটি যুদ্ধের প্রথম কয়েকদিনে অতিক্রান্ত হয়েছে, যখন ইউক্রেনীয়রা রুশ ট্যাংকের সারি কিয়েভের দোরগোড়ায় থামিয়ে দিয়েছিল।
এক সময় সেরহি নিজেই রুশ বাহিনী ঠেকানোর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এখন মশাল তাঁর ছেলের প্রজন্মের হাতে। আগামী ৩ জুন আন্দ্রি ১৮ বছরে প্রবেশ করবে। ওই দিন আন্দ্রির দুটি কাজের পরিকল্পনা আছে— অর্থনীতি বিষয়ক ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হওয়া এবং ইউক্রেনের এলিট অ্যাসল্ট ইউনিটগুলোর একটিতে অংশগ্রহণ করা। এবিষয়ে আন্দ্রির বাবা বলেন, ‘এখন যুদ্ধ শেষ হলেও; যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলেও ভবিষ্যতে যে যুদ্ধ আর হবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। তাই আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে হবে।’
আপনার মতামত জানানঃ