স্টেটওয়াচ রিসার্চ নেটওয়ার্ক কাজ করছে বাংলাদেশে আইনপ্রয়োগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বাস্তবতা নিয়ে। এর অংশ হিসেবে স্টেটওয়াচ নিউজে আমরা প্রতিদিনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত খবরাখবরগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন নিম্নোক্ত মাধ্যমসমূহ থেকে সংবাদগুলো সংগ্রহ ও তা নথিবদ্ধ করছে আমাদের কর্মীরা: প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, দেশ রূপান্তর, ডেইলি স্টার, নিউ এজ, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ২৪ ডটকম, আমাদের সময়, মানবজমিন। আমরা আশা করি, এই প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার আরো শক্তিশালী হবে।
২৩ জানুয়ারি ২০২১, শনিবার, ৯ মাঘ ১৪২৭, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নির্বাচিত খবরের সার-সংক্ষেপ
কারাগারে বন্দির নারীসঙ্গ, ডেপুটি জেলারসহ ৩ জনকে প্রত্যাহার
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
করোনাকালে দেশের সব কারাগারে দর্শনার্থী প্রবেশে এক ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে। এরপরও জরুরি কোনো কারণে কোনো কারাবন্দির সঙ্গে কারাগারে তার স্বজনের সাক্ষাতের প্রয়োজন হলে কারা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অধিদপ্তরকে অবহিত না করেই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১-এ একজন কয়েদির সঙ্গে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন এক নারী। ওই বন্দির নাম তুষার আহমেদ। তিনি হলমার্কের জিএম ছিলেন। তুষার হলমার্ক কেলেঙ্কারির মূলহোতা তানভীর মাহমুদের ভায়রা। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, কারাগারে গিয়ে তুষারের সঙ্গে এক নারী অন্তরঙ্গভাবে মিশছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই নারীর নাম আসমা শেখ। তিনি তুষারের স্ত্রী। আসমার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ায়। বর্তমানে ঢাকার সবুজবাগে বসবাস করছেন। আসমার মায়ের নাম মোসাম্মৎ রিনা ও বাবা মুসা আহমেদ।
কারাগার অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সমকালকে বলেন, এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে তিনজনকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
ঢাকায় পুলিশে শাস্তির ৫৬% তিন অপরাধে
সমকাল
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
পুলিশের নীতিনির্ধারকরা বর্তমানে যে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন তার মধ্যে একটি হলো- বাহিনীর সদস্যদের অপরাধ-অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে দূরে রাখা। এর পাশাপাশি রয়েছে মাদক-সংশ্নিষ্টতা থেকে পুলিশকে মুক্ত করা। এসব দুষ্টচক্র থেকে পুলিশকে দূরে রাখতে অপকর্মে জড়িয়ে পড়া সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন অনেকে। কারণ, এটা নিশ্চিত হলে বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে একটি কঠোর বার্তা যায়।
দুই লাখ ১২ হাজার সদস্যের পুলিশ বাহিনীর সবচেয়ে বড় ইউনিট হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য ডিএমপিতে নানা পদে কাজ করছেন। গত এক বছরে ডিএমপিতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের অপরাধে জড়ানো ও শাস্তির পরিসংখ্যান বিশ্নেষণ করে দেখা যায়, ৫৬ শতাংশ গুরুদণ্ড হয়েছে প্রধানত তিন অপরাধে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, পারিবারিক সমস্যা ও অদক্ষতা। এরপরই সবচেয়ে বেশি শাস্তি হয়েছে মাদক-সংশ্নিষ্টতায় ও ঘুষ গ্রহণের কারণে। ডিএমপির তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণে উঠে এসেছে- ২০২০ সালে এই ইউনিটের মোট এক হাজার ৯০১ পুলিশ সদস্য লঘু ও গুরুদণ্ড পেয়েছেন। তার মধ্যে লঘু শাস্তি পেয়েছেন এক হাজার ৫৯৩ জন। বড় শাস্তি হয়েছে ৩০৮ জনের। এক বছরে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে মাদকে জড়িয়ে পড়া ২৬ পুলিশ সদস্যসহ ৮০ জনকে। ছোট-বড় উভয় ধরনের অপরাধে বেশি জড়াচ্ছেন কনস্টেবলরা। বাহিনীতে স্বাভাবিক নিয়মেই এই পদবির সদস্য সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। ঘুষ খেলে, মানুষের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করলে, তার যে কাজ করার কথা সেটা না করলে শুধু পুলিশে কেন, অন্য চাকরিজীবীদের জন্য যে ব্যবস্থা আমাদেরও একই ব্যবস্থা। অপরাধের ধরন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইরফান সেলিমের বাসায় অস্ত্র রেখেছে ‘অন্য কেউ’, চার্জশিটে বলল পুলিশ
জাগো নিউজ
বিভাগ: রাষ্ট্রীয় বাহিনী
‘ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে অসৎ উদ্দেশ্যে কে বা কারা উদ্ধার করা পিস্তলটি তার বাসায় রেখে যায়। ইরফান সেলিমের এলাকায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন তথা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অংশগ্রহণের কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে অস্ত্র মামলায় ইরফান সেলিমকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনে (চার্জশিট) এসব কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, চকবাজার থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। প্রতিবেদনটি গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র মামলার ঘটনাস্থল ২৬ নং চাঁন সর্দার দাদাবাড়ী। এই বাসার মালিক বর্তমান ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। মামলার আসামি ইরফান সেলিম তার পুত্র। ইরফান সেলিম বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর। মামলার বাদী এজাহার ও জব্দ তালিকায় মামলার ঘটনাস্থল ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত শয়ন কক্ষে উল্লেখ করেন। তবে মামলাটি সরেজমিনে তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমাণে দেখা যায় যে, মামলার ঘটনাস্থলটি ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত শয়ন কক্ষ নয়। সেটি ছিল একটি অতিথি কক্ষ।
ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
কালের কন্ঠ
বিভাগ: গণমাধ্যম
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জমিজমা সংক্রান্ত কলহের জেরে এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আহত ওই সাংবাদিক হলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আমিনুল ইসলাম (৫৫)।
জানা যায়, পানিমাছকুটি গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে মোখলেছুর রহমান ক্লের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ চলে আসছিলো। গত শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) থানায় অভিযোগ দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে প্রতিপক্ষ। এরই জের ধরে শনিবার সকালে মোখলেছুর তার ভাই মিজানুর রহমান, মানিক মিয়া সহ কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওত পেতে থাকে। আমিনুল ইসলাম স্কুলে যাওয়ার সময় পানিমাছকুটি গ্রামের আবুল মিস্ত্রির বাড়ির সামনে পথ আটকিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। আহত আমিনুল ইসলাম জানান, থানায় অভিযোগ করার কারণে তারা আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
আপনার মতামত জানানঃ