যত সময় এগোচ্ছে ততই দিনদিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এদিকে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলির ওপর চাপ বাড়ছে সেটা বারবার উঠে আসছে।
আবার এখন অনেকেই আছেন যারা নেওয়ার প্রতি ঝুঁকছেন। কারণ এতে বিদ্যুতের বা বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে ঝঞ্ঝাট নেই। যে কারণে এখন অনেকেই আছেন ঘরে ঘরে সোলার প্যানেল বসাচ্ছেন। তবে এই সোলার প্যানেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে বিরাট আবিষ্কার হয়েছে গেল ভারতে। এবার বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাবে পারমাণবিক চুল্লি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের একটি ভারতীয় স্টার্টআপ কোম্পানি বিশ্বের মধ্যে প্রথমবার এমন এক জিনিস আবিষ্কার করেছে, যা ঘরে ঘরে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। বিশেষ বিষয় হল আপনি এই লো-এনার্জি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর আপনার বাড়ির টেবিলে রাখতে পারেন এবং এটি কোনও দূষণ বা কোনও ধরণের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ সৃষ্টি করবে না। আর এই জিনিস আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে হায়দরাবাদের দেশীয় স্টার্টআপ কোম্পানি Hylenr।
কোম্পানির দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম কোল্ড ফিউশন প্রযুক্তি, যা ক্লিন এনার্জি উৎপাদন করে। হায়দরাবাদে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ডঃ প্রহ্লাদ রামা রাও এই জিনিসটি লঞ্চ করেছেন। ডঃ রামরাও একজন সুপরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানী এবং আকাশ মিসাইল সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জিনিসটি লঞ্চ করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাইলাইনারের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ডঃ ভারপ্রসাদ, চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার রাম রামাশেশন এবং সিইও সিদ্ধার্থ দুরাইরাজন। এই আবিষ্কারটির ওপর ভারত সরকারঅ সায় দিয়েছে।
এখন আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে এই লো-এনার্জি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর-এর বিশেষত্ব কী? কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, এই প্রোডাক্টটি পারমাণবিক ফিউশন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে, যা সূর্যের মধ্যেই একমাত্র পাওয়া যায়। এর সাহায্যে গরম বাড়ানো যায়। এই কৌশলে, হাইড্রোজেন অণুগুলি একত্রিত হয়ে তাপ উত্পাদন করে।
ডঃ রামা রাও বলেন, “আমরা জানি যে বেশিরভাগ মানুষ নিউক্লিয়ার ফিউশনের নাম শুনলেই আঁতকে উঠবেন। আমরা এই পণ্যটির সাথে খুব বেশি কিছু করিনি, অতিরিক্ত শক্তি তৈরি করতে কেবল হাইড্রোজেন, নিকেল এবং প্যালাডিয়াম যুক্ত করেছি। এর চুল্লিটিও ইস্পাত দিয়ে তৈরি এবং এটি থেকে নির্গত শক্তি তেজস্ক্রিয় কোনও দূষণ ছড়ায় না।
এই পণ্য কম শক্তি ব্যবহার করে আরো শক্তি এবং তাপ উৎপন্ন করার ক্ষমতা আছে। খুব অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এর বিক্রিয়া শুরু করা যায় এবং এতে শক্তি দেড় থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পাবে। এই পণ্যটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার হিসাবে প্রমাণিত হতে পারে। সংস্থাটি বলছে যে এটি তৈরি করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছে এবং এই পণ্যটির দাম চুল্লি প্রতি ১ লক্ষ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শীতকালে এটি রুম হিটার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এটি বাষ্প উৎপাদন থেকে সমস্ত গার্হস্থ্য এবং শিল্প প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রোডাক্টটি ১০০ থেকে ১৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তাপ উত্পন্ন করে
আপনার মতামত জানানঃ