একটি গল্প দিয়ে লেখাটা শুরু করি। বছর পাঁচেক আগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সিবিএ নেতা মানে ব্যাংকের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী তার মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দেন রাজধানীর একটি অভিজাত কনভেনশন সেন্টারে। ওই অনুষ্ঠানে তার জেলা-উপজেলার গণ্যমান্যরা ছাড়াও, সরকার দলের নেতা, এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।
ধারণা করা হয় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল অতিথি আপ্যায়নে। হিরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়ানো তার মেয়েকে সাজাতে আরও এক কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এটা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা। সে যাই হোক আদরের মেয়ে খরচ একটু বেশিই করেছেন। কিন্তু এত অর্থের উৎস কোথায়? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
তবে ওই ব্যাংকের যে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হয়েছিল ওই কেলেঙ্কারিতে সিবিএ নেতার নাম ছিল। ইতিমধ্যে তিনি অবসরে গেছেন।
দিব্যি আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন। এই গল্প ব্যাংকিং খাতে মুখে মুখে ছড়িয়ে আছে। একজন সিবিএ নেতার আয়ের সঙ্গে এই অনুষ্ঠান সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। ব্যাংকিং খাতে রিপোর্টিং করতে গিয়ে দেখেছি সিবিএ নেতাদের কি দাপট? জোট সরকারের আমলেও সেই দাপট দেখিয়ে গেছেন এক সিবিএ নেতা। অনেক কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে তাকে জেলখানায় মরতে হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ঋণ কেলেঙ্কারির হোতা ছিলেন।
একটা সময় ছিল সিবিএ নেতাদের কমিশন না দিলে ঋণ অনুমোদন হওয়ার পরেও অ্যাকাউন্টে টাকা যেতো না। এমনকি ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যেও কমিশন নেয়ার নজির আছে।
এত গেল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অনিয়মের একটা দিক। আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তো ঋণ অনুমোদনের ধারও ধারতেন না। বস্তায় বস্তায় টাকা সরাতেন। টাকা পাচার করতেন। সেই ব্যাংকটা যে খাদে পড়েছে আর উঠতে পারেনি। অপধারীদেরও এখনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। বেসরকারি ব্যাংকের আরেক চেয়ারম্যান ঋণ অনুমোদনে বোর্ডের অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করেননি।
ইচ্ছে মতো একে ওকে টাকা ঋণ দিয়ে কমিশন নিয়েছেন। ওই ব্যাংকের কলঙ্ক ঢাকতে নাম পরিবর্তন করা হলো। নাম পরিবর্তন করা হলেও স্বভাব পরিবর্তন করা যায়নি। আরও অনেক কেলেঙ্কারি আছে ব্যাংক খাতের যার একটিরও সুরাহা হয়নি। এই জালিয়াতির মধ্যে ঋণপত্র খোলার নামে অনেক ব্যাংক টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল।
কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তারা ডলার পাচারের অভিযোগে পদও খুইয়েছেন। এতসব কেলেঙ্কারি বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু দেখেই গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বড় বড় শিল্পপতিদের ঋণগুলো আঙ্গুলের ইশারায় কখনো রি-সিডিউল করেছে আবার কখনো পুনর্গঠন করেছে।
এতে বড় বড় ঋণখেলাপিরা উৎসাহ পেয়েছে। ছোটরা ঋণ পেতে কাগজপত্র জমা দিতে দিতে গলদঘর্ম হলেও বড়দের ঋণ নিতে কাগজপত্রের তেমন কোনো বালাই ছিল না। এই তো বছরখানেক আগে একটি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানকে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়ে।
অনুসন্ধানে দেখা গেল ওই প্রতিষ্ঠান যে ঠিকানা ব্যবহার করেছে সেখানে অফিস তো নেই-ই ওই প্রতিষ্ঠানেরই কোনো অস্তিত্ব নেই। এই কথাগুলো বলছি- এ কারণে যে, এত লোকবল, এত কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ থাকার পড়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে এই অনিয়মগুলো সংঘটিত হওয়ার আগে কেন চিহ্নিত হয় না। হলেও কখনো দায় তারা নিতে চায় না। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসেছে তিন গভর্নরের আমলে সবচেয়ে বেশি ঋণ খেলাপি হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনই সরকারের আমলা ছিলেন। অন্যদিকে এক গর্ভনরের আমলে রিজার্ভও চুরি হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ১২ই জুলাই দায়িত্ব নেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
ওই সময় অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের আকার ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৯ শতাংশ। অর্থাৎ আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেয়ার দেড় বছরের মাথায় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।
আব্দুর রউফ তালুকদারের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ফজলে কবির। তিনি দুই মেয়াদে সাত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। তার দুই মেয়াদে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ। পরিমাণ ৬৫ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা।
তিনি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন ২০১৬ সালের ২২শে মার্চ। ওই সময় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। তার দুই মেয়াদের দায়িত্ব শেষ হয় ২০২২ সালের ৩রা জুলাই। অবসরে যাওয়ার আগে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়ায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। ফজলে কবিরের আগে ২০০৯ সালের ১লা মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে যোগ দেন ড. আতিউর রহমান।
প্রথম মেয়াদে চার বছর পূর্ণ হলে সরকার তার মেয়াদ আরও বাড়ায়। তার প্রথম মেয়াদের চার বছরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পায় প্রায় ২০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
দ্বিতীয়বার আরও চার বছরের জন্য দায়িত্ব পেলেও মেয়াদ শেষ করতে পারেননি তিনি। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তাকে আগেই পদত্যাগ করতে হয়। তার দুই মেয়াদে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ৩৬ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা। তিনি দায়িত্ব নেয়ার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। পদত্যাগ করার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ রেখে যান ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকার।
ব্যাংক খাতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ বেড়েছিল এ গভর্নরের আমলে। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০০৫ সালের ১লা মে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। ওই সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
তিনি বিদায় নেন ২০০৯ সালের ৩০শে এপ্রিল। বিদায় নেয়ার সময় ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই গভর্নরের আমলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছিল চার হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ইমেজ সংকট নিয়ে অনেক ব্যাংক এখন আর ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারছে না।
দিনের পর দিন লোকসান গুনতে গুনতে এগুলো এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। এসব ব্যাংকের বেশির ভাগই নতুন ব্যাংক। যেগুলোকে লাইসেন্স দেয়ার আগে দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছিলেন। কারও কোনো কথা কানে তোলা হয়নি। এই দেশের অর্থনীতির তুলনায় ৬২টি ব্যাংক অভাবনীয়। তাছাড়াও অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে নাকাল ব্যাংকগুলো হাঁসফাঁস করছে।
এরই মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাঁচানো বলতে সবল ব্যাংকের ঘাড়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় ব্যাংক একীভূত করার নামে। পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে মার্চ মাসে একটি চুক্তিও সই হয় এ নিয়ে। আরও অন্তত এক ডজন ব্যাংক তালিকায় রয়েছে। কিন্তু গভর্নরের এই একক উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। গভর্নর গত মাসে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক ও বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংককে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু এক সময়ে ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল ব্যাংক ইউসিবিএল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে।
তাদের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে না। নিজেরা ঋণখেলাপি কমিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। বেসিক ব্যাংক বলছে, তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে কোনো বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না।
ব্যাংকগুলো বলছে, গভর্নর একক ভাবে এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এমন কি একীভূত করার বিষয়ে গভর্নর যে বৈঠক করেছেন সেখানেও ন্যাশনাল ব্যাংকের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যার ফলে একীভূত বা অধিগ্রহণ যে নামেই ডাকা হোক না কেন সেটি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? কারা এতে লাভবান হবে। বিশ্ব জুড়ে ব্যাংক একীভূত করার নিয়মই বা কি?
বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত ঋণখেলাপি ও কেলেঙ্কারির হোতাদের বাঁচাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে লাভ তাদেরই। লাভ দুর্বল ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের। তারা শেয়ারের ভালো দাম পাবেন। অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টেনে তুলতে সবল ব্যাংকগুলোর অনেক সময়, দক্ষতা ও শ্রম দিতে হবে। যার ফলে তাদের মুনাফায় টান পড়বে। সবল ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের মুনাফা কমে যাবে। এতে ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। শুধু তাই নয়, কারও চাকরি না গেলেও দুর্বল ব্যাংকের এমডি কিন্তু আর থাকছেন না। তিনি কোনো পদে বহাল হবেন না, তার চাকরি থাকবে কিনা সেটাও একটা বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেবে।
ইতিমধ্যে দু’একটি ব্যাংকের এমডি এমন অপমানজনক অপসারণের হাত থেকে বাঁচতে পদত্যাগ করেছেন এবং অন্য ব্যাংকে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে টিআইবি’র বক্তব্য হচ্ছে, একীভূতকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের ‘নামান্তর।
টিআইবি আরও বলছে, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি এবং এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। শেষ কথা হচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার নামে অপরাধীদের আড়াল করার এই উদ্যোগ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেরিয়ে আসতে হবে।
ঘুরেফিরে বারবার ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে যাদের নাম আসছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ‘বেইল আউট’ পদ্ধতির মধ্যে অর্থ সহায়তা দিয়ে সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্লেষণ করলে অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে এই মুহূর্তে ব্যাংক একীভূত করার উদ্দেশ্য মোটেও সৎ নয়। ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি বেড়ে যাওয়া, মন্দ প্রতিষ্ঠান ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও অদক্ষতা রয়েছে। সেটা ঢাকতে ও অপরাধীদের বাঁচাতে একীভূত কার্যক্রম তাই শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে। অতীতের মতো অপরাধীদের পার পাইয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেরিয়ে আসতে হবে।
আপনার মতামত জানানঃ