হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে যারা সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাদের উদ্দেশ্য এবং এর সঙ্গে দেশ বিরোধী কোনো চক্রান্ত জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন তারা।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে সিএমজেএফের নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে সাংবাদিকরা যেভাবে প্রবেশ করে আসছে, তার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সিএমজেএফ মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব সম্পত্তি নয়, এটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। তাই সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ, কোনো দাবি নয়, এটি দেশের সংবিধান স্বীকৃত গণমাধ্যমের অধিকার। ফলে কেউ এই প্রতিষ্ঠানে নিজের এবং নিজের দুর্বলতা আড়াল করতে অতি উৎসাহী হয়ে অস্বাভাবিক কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, অধিকার রক্ষায় সাংবাদিকদের যে কোনো আন্দোলনে পাশে থাকবে সিএমজেএফ।
তারা আরও বলেন, এমন এক সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এই হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলো যখন, ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে সারা দেশেই আলোচনা সমালোচনা চলছে।
এছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি করার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশে সফরে রয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য এবং এর সঙ্গে দেশ বিরোধী কোনো চক্রান্ত জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে সিএমজেএফ।
এই ধরনের সিদ্ধান্ত সংবিধান, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সরকারের অঙ্গীকারের পরিপন্থি। তাই আমরা মনে করি শিগগিরই বাংলাদেশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের শুভবোধের উদয় হবে। অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের পূর্বের ন্যায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আপনার মতামত জানানঃ